রাজপথে বিএনপিকে মোকাবিলা করতে যুবলীগই যথেষ্ট: শেখ পরশ

1037

Published on অক্টোবর 28, 2022
  • Details Image

শেখ মণি স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে মুজিব আদর্শ ও মুজিববাদ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে শুধু একজন সম্মুখ যোদ্ধা এবং প্রধান সেনাপতিই ছিলেন না, তিনি সেই যুদ্ধে প্রথম শহীদ। শেখ মণির হত্যার পর সেই ধারাবাহিকতায় তাঁর সৃষ্ট যুবলীগ প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। ঠিক যেভাবে প্রগাড় দেশপ্রেম দ্বারা তাড়িত হয়ে শেখ ফজলুল হক মণি মুজিব আদর্শ, তথা ক্ষুধা দারিদ্র মুক্ত এবং শোষণমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ত্যাগ-তিতিক্ষা ও যুদ্ধ করেছেন, জেল-জুলুম সহ্য করেছেন, ঠিক সেই ধারাবাহিকতায় যুবলীগ দেশরত্ন শেখ হাসিনার ভোট ও ভাতের অধিকার আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনসহ প্রতিটি আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুকন্যার প্রধান শক্তি হিসাবে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে। আমি মনে করি এই সমাবেশে সশরীরে উপস্থিত হওয়ার সম্মতি দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যুবলীগের উপর সর্বচ্চ আস্থা রেখেছেন। এখন সেই আস্থার মর্যাদা আমাদেরই দিতে হবে। আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি জামাত গোটা বাংলাদেশে যে নৈরাজ্য ও সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে তার জবাব যে যুবলীগ সংগঠন হিসাবে যেকোন সময় দেবার সক্ষমতা রাখে সেই প্রমাণ এই মহাসমাবেশের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হবে ইনশাল্লাহ। এরই ধারাবাহিকতায় রাজপথে বিএনপিকে মোকাবিলা করতে যুবলীগই যথেষ্ট।

চ্যালেঞ্জ এবং দাঁয়িত্ব কাঁধে নিয়ে আমাদের ১১ নভেম্বরের মহাসমাবেশ সফল করতে হবে। কারণ আমাদের উপলব্ধি করতে হবে যে কোন প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধুকন্যা যুবলীগকে এই মহাসমাবেশ আয়োজন করতে বলেছেন। কেন বলেছেন এবং কি উদ্দেশ্যে বলেছেন নিশ্চয়ই আপনারা অনুধাবন করতে পারবেন। কারণ স্বাধীনতা বিরোধীরা যেভাবে মাথাচাঁড়া দিয়ে উঠছে তাতে রাজনৈতিক শক্তি এবং সামর্থ্য প্রদর্শন করা এখন অপরিহার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা ওদের সতর্ক করতে চাই যে ঐ স্বাধীনতা বিরোধীদের মোকাবেলার করার জন্য যুবলীগ একাই একশ। এছাড়া সারা দেশে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে চেতনা যারা লালন পালন এবং ধারণ করে তাদেরকে এই মহাসমাবেশ উৎসাহিত করবে এবং অনুপ্রেরণা দিবে। সুতরাং এই সময় আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার অপরিহার্য এবং অনস্বীকার্য। আগামী ১১ নভেম্বর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ারদি উদ্যানে যুব মহাসমাবেশ সফল ও সার্থক করার লক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগ আয়োজিত এই পস্তুতি সভায় সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুলের সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক ইসমাইল হোসেনের সঞ্চালনায় যুবলীগ চেয়ারম্যান এ কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, ১১ নভেম্বর আপনাদের প্রিয় সংগঠন আওয়ামী যুবলীগের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও সুবর্ণ জয়ন্তী। এক প্রকার কাঁকতালিয় ভাবে আমার জন্য পরম সৌভাগ্যেরও ব্যাপার যে যেই প্রতিষ্ঠানটি আমার পিতা, আপনাদের নেতা ও প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, শেখ ফজলুল হক মণি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে গঠন করেছিলেন, সেই গর্বিত সংগঠনটিকে এই সুবর্ণজয়ন্তীর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আপনাদের সহযোদ্ধা হিসাবে আমার নেতৃত্ব দেবার সুযোগ হয়েছে। এই সম্মান এবং সুযোগ পাওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে হাজারো শুকরিয়া। কারণ আপনারা জানেন স্বাধীনতার শত্রুরা যারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও আপনাদের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, শেখ মণিকে ১৫ আগস্ট হত্যা করেছিল, তারা কিন্তু ভিন্ন ভাবে পরিকল্পনা ও নীল নক্সা সাজিয়েছিল। তারা মনে করছিল যে, শেখ মণিসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের ১৮ জন সদস্যদেরকে হত্যার পর এই বাংলাদেশে আমরা আর উঠে দাঁড়াতে পারব না এবং এই বাংলার মাটিতে আওয়ামীলীগ বা যুবলীগ বলে কিছু থাকবে না। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে, তারা পরাজিত হয়েছে। এই সংগঠনে আপনাদের মতো লক্ষ্য লক্ষ্য নিবেদিত নেতা কর্মী অর্থাৎ আপনাদের আত্মত্যাগ, পরিশ্রম ও সমর্থনের কারণে খুনি ও স্বাধীনতা বিরোধীরা সফল হতে পারে নাই। যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তীর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উৎসব যুবলীগের অগণিত নেতাকর্মীদের উৎসব। এই সংগঠনটিকে আপনারা এবং আপনাদের পূর্বসূরিরা পরম ভালবাসার সাথে লালন পালন করে শুধু জীবিত রেখেছে তা নয়, সর্ব বৃহৎ এবং সর্ব শক্তিশালী যুবসংগঠন হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। এই অর্জন আপনাদের কৃতিত্ব। এই সুবর্ণ জয়ন্তীর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আপনাদের কৃতিত্বর প্রতীক। তাই আমি এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সকল আনন্দ, উৎসব এবং সাফল্য আপনাদেরকে উৎসর্গ করছি। যুবলীগের গর্বিত ইতিহাস আজকে আমরা যেই অর্জন ও সফলতা উদযাপন করতে যাচ্ছি সেই পথটা একবারেই মসৃণ ছিলনা। যুবলীগের নেতা-কর্মিরা অপরিসীম ও অবর্ণনীয় নির্যাতন ও নিপীড়েনর শিকার হয়েছে বিভিন্ন কর্তৃত্ববাদী ও মিলিটারি শাসকদের দ্বারা। তারপরও বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গবন্ধু কন্যাকে ভালবেসে আপনারা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে লালান-পালন করে এই সাফল্যের দারপ্রান্তে নিয়ে এসেছেন।
সভায় বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ত্যাগী এবং কর্মীবান্ধব সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, যুবলীগের নেতা-কর্মিরা আদশের এই সংগঠনকে ভালোবাসে বলেই শেখ হাসিনার ডাকে রাজপথে নেমে আসে। সভায় আরো বক্তব্য রাখেন সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবের আহবায়ক ও সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন এমপি। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক বাবু সুব্রত পাল, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, ত্রান ও সমাজকল্যান সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন পাভেল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মুস্তাফিজ, উপ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম দূর্জয়, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তর এর সহ-সভাপতি মজিবর রহমান বাবুল, আকতারুজ্জামান আকতার, সাব্বির আলম লিটু, যুগ্ম সম্পাদক তাজবিরুল হক অনু, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর রহমান, সিদ্দিক বিশ্বাস, সিবলী সাদিক, মামুন সরকার, প্রচার সম্পাদক রাকিব হোসেন মিরন, দপ্তর সম্পাদক এ এইচ এম কামরুজ্জামান, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক এম এইচ পাটোয়ারী বাবু, শিল্প ও বানিজ্য সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শাহীন, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক কাইসুর রহমান সোহাগ, উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক জালাল উদ্দিন, সহ-সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, সদস্য ষামনুল আলম ফারুক, আব্দুল বাতেন, শেখ আল আমিনসহ বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক অনেকে।

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত