495
Published on অক্টোবর 19, 2022আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি বলেছেন, ‘পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারকে হত্যা করেছে জিয়াউর রহমান। শুধু হত্যাই করে নাই, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বরের হত্যাকাণ্ডের বিচার যেন কোন আদালতে না হয় সে জন্য আইন করা হয়েছিল।’
বুধবার ঘিওর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। মির্জা আজম আরও বলেন, ‘আজ তারা আমাদের গণতন্ত্রের কথা বলে। ২০০৪ সালে শেখ হাসিনা শুধু আওয়ামী লীগের সভাপতিই ছিলেন না তিনি বিরোধী দলের নেতা ছিলেন। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার বিষয়ে সংসদে আলোচনা করতে চেয়েছিলাম বেগম খালেদা জিয়া আলোচনা করতে দেয়নি। আমরা সেদিন সংসদ বর্জন করেছিলাম। সেদিন সারারাত সংসদ চলেছিল। খালেদা জিয়া বলেছিল গ্রেনেড নাকি শেখ হাসিনা ভ্যানেটি ব্যাগে করে নিয়েছিল।’
তিনি আরো বলেন, ‘এতিমদের টাকা মারার কারণে খালেদা জিয়া জেলে। তার সময়ে বাংলাদেশ পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। খালেদা জিয়া চোর আর তারেক জিয়া খুনি। ১৯৯৪ সালে মাগুরায় ভোট করেছে। সেটা ছিল মাগুরা স্টাইল নির্বাচন। এখন আমাদের ভোট কিভাবে নিতে হবে, কিভাবে নিরপেক্ষ করতে হবে- তারা আমাদের শিখাতে চায়। তারা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। নির্বাচন আসলেই ষড়যন্ত্র শুরু হয়। সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে এগিয়ে যতো হবে।’
ঘিওর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহীউদ্দীন। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এস এম নাঈমুর রহমান দুর্জয়, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য মো. শাহাবুদ্দিন ফরাজী, প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পিপি আব্দুস সালাম।
এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল মজিদ ফটো, যুগ্ম সম্পাদক বাদরুল ইসলাম খান বাবলু, সুলতানুল আজম আপেল ও কাজী এনায়েত হোসেন টিপু প্রমুখ। দ্বিতীয় অধিবেশনে আব্দুল আলীম মিন্টুকে ঘিওর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও হামিদুর রহমান আলাইকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়।