বিএনপির মহাসচিব মির্জা আলমগীরসহ তাদের নেতৃবৃন্দের বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি’র বিবৃতি

808

Published on অক্টোবর 5, 2022
  • Details Image

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি আজ এক বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা আলমগীরসহ তাদের নেতৃবৃন্দের বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এমপি বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নস্যাৎ করে যাদের রাজনীতির যাত্রা শুরু হয়েছে, তাদের মুখে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের কথা শোভা পায় না। দেশবাসী ভালো করেই জানে, বিএনপি নামক রাজনৈতিক দলটি এদেশের সাম্প্রদায়িক রাজনীতির ভরকেন্দ্র। বিএনপি যতবারই ক্ষমতায় এসেছে, ততবারই সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করেছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সামরিক স্বৈরাচার জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় লালিত বাংলাদেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় পিছনের দিকে নিয়ে যায়। ১৯৭২ সালে প্রণীত সংবিধানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছিলেন। কিন্তু অসাংবিধানিক ও অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী জিয়াউর রহমান সংবিধান সংশোধন করে রাজনীতিতে ধর্মের অপব্যবহারের বৈধতা দিয়েছিলো। সেই দলের নেতা হিসেবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মুখে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের কথা কুমিরের মায়াকান্না মাত্র।

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, অসাম্প্রদায়িকতা ও গণতন্ত্রের জন্য বিএনপি মহাসচিবের ছদ্মবেশ ধারণ দেশের জনগণের সঙ্গে এক ধরনের পরিহাস। এদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে আওয়ামী লীগের হাত ধরে। তাই গণতন্ত্র বিকাশ ও তা সমুন্নত রাখতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগই সর্বোচ্চ কাজ করে যাচ্ছে। বিপরীতে বিএনপি কখনোই জনগণের শক্তিকে পরোয়া করে না; সর্বদা অগণতান্ত্রিক পন্থায় ক্ষমতা দখল করে রাখার বা করার অপতৎপরতা চালিয়ে যায়। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশ সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের অভয়ারণ্যে পরিনত হয়। তারা ক্ষমতাসীন হয়ে সন্ত্রাসী ও উগ্রবাদী গোষ্ঠীকে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদানের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল। বিরোধী মতকে দমন করতে ২১শে আগস্টের নারকীয় হত্যাযজ্ঞের পাশাপাশি সকল ধরনের অপচেষ্টা চালিয়েছিল। গণতান্ত্রিক সকল প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে জবাবদিহি ও দায়বদ্ধতার টুঁটি চেপে ধরে দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিল। আর আজ বাংলাদেশের উন্নয়ন ও গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে সুগভীর ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে উন্নয়ন ও অগ্রগতির মহাসড়কে। বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার এদেশের জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এদেশের গণমানুষের প্রতিনিধিত্ব করে; আর শেখ হাসিনা হলেন তার কেন্দ্রবিন্দু। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ স্থানীয় দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্টের একটি নিবন্ধে বাংলাদেশে নারীদের বিস্ময়কর অগ্রগতি, শিক্ষা ও দারিদ্র্য নিরসন, সন্ত্রাসবাদ দমনের পাশাপাশি বিশ^মঞ্চে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব প্রদানের জন্য সফল রাষ্ট্রনায়ক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ভ‚য়সী প্রশংসা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা জনগণের ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করে এবং জনগণের উপরই আস্থা রাখে। তাই জননেত্রী শেখ হাসিনা স্পষ্ট ভাষায় বলতে পারেন ‘জনগণ ভোট দিলে ক্ষমতায় থাকবো, না দিলে আফসোস নেই’।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সরকার আছে বলেই বাংলাদেশ একের পর এক উন্নয়নের মাইলফলক অর্জন করছে; বিশ্বসভায় প্রশংসিত হচ্ছে। শেখ হাসিনা আছেন বলেই দেশে গণতন্ত্রের সুবাতাস বইছে। এদেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখতে পিতা মুজিবের মতো তিনিও বদ্ধপরিকর। তাই আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, কোন অশুভ শক্তি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে এদেশের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিকে নস্যাৎ করতে চাইলে তাদেরকে দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি
তারিখ : ৫ অক্টোবর ২০২২

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত