767
Published on সেপ্টেম্বর 29, 2022সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন আজ। গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছার কোল আলোকিত করে জন্ম নেন শেখ হাসিনা। শৈশব-কৈশোর কেটেছে বাইগার নদীর তীরে নিভৃত পল্লিতে। বাবা শেখ মুজিবুর রহমান তখন জেলে বন্দি, রাজরোষ আর জেল-জুলুম ছিল তার নিত্য সহচর। রাজনৈতিক আন্দোলন এবং রাজনীতি নিয়েই কাটত শেখ মুজিবুর রহমানের দিনরাত। বাঙালির মুক্তি আন্দোলনে ব্যস্ত বাবার দেখা পেতেন কদাচিৎ। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে শেখ হাসিনা ছিলেন সবার বড়। তার ভাই-বোনরা হলেন—শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রেহানা এবং শেখ রাসেল। শেখ হাসিনা গ্রাম-বাংলার ধুলোমাটি আর সাধারণ মানুষের সঙ্গেই বেড়ে উঠেছেন। গ্রামের সাথে তাই তার নিবিড় সম্পর্ক। নতুন বাংলাদেশের নির্মাতা শেখ হাসিনা নবপর্যায়ের বাংলাদেশের ইতিহাসের নির্মাতা। উন্নত সমৃদ্ধ ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার। বাঙালির আশা-আকাঙ্ক্ষার একান্ত বিশ্বস্ত ঠিকানা, বাঙালির বিশ্বজয়ের স্বপ্ন-সারথী। বিশ্বরাজনীতির উজ্জ্বলতম প্রভা, বিশ্বপরিমণ্ডলে অনগ্রসর জাতি-দেশ-জনগোষ্ঠীর মুখপাত্র। বারবার মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসা মৃত্যুঞ্জয়ী মুক্তমানবী। তিমির হননের অভিযাত্রী, মাদার অব হিউম্যানিটি। আত্মশক্তিসমৃদ্ধ সত্য সাধক। প্রগতি, উন্নয়ন শান্তি ও সমৃদ্ধির সুনির্মল মোহনা। এক কথায় বলতে গেলে সমুদ্রসমান অর্জনে সমৃদ্ধ শেখ হাসিনার কর্মময় জীবন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেধা-মনন, সততা, নিষ্ঠা, যোগ্যতা, প্রজ্ঞা, দক্ষতা, সৃজনশীলতা, উদারমুক্ত গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গী ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত হয়েছে। একসময়ের কথিত ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ দারিদ্র্য-দুর্ভিক্ষে জর্জরিত যে বাংলাদেশকে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সংগ্রাম করতে হয়েছে, শেখ হাসিনার কল্যাণমুখী নেতৃত্বে সেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বজয়ের নবতর অভিযাত্রায় এগিয়ে চলছে। বিশ্বসভায় আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাঙালি জাতি।
বাঙালি জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক জননেত্রী শেখ হাসিনার ৭৬ তম জন্মদিন বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে উদযাপন করেছে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ।
রাত ১২:০১ মিনিটে সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে কেক কাটার মধ্য দিয়ে জন্মদিন পালনের কর্মসূচি শুরু হয়। সকাল ১১ টায় শুরু হয় আনন্দ র্যালি। আনন্দ র্যালিটি ঐতিহাসিক রেজিস্ট্রারী মাঠ থেকে শুরু হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শেষ হয়।
বাদ জোহর হযরত শাহজালাল (রহ:) মাজার মসজিদে অনুষ্ঠিত হয় মিলাদ মাহফিল, দোয়া ও শিরনী বিতরণ। সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ নাসির উদ্দিন খান এর নেতৃত্বে এসব কর্মসূচিতে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।