ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সূত্রাপুর থানা এবং ৪২, ৪৩ ও ৪৪ নাম্বার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

820

Published on সেপ্টেম্বর 20, 2022
  • Details Image

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ‘টেকব্যাক বাংলাদেশ’ স্লোগান মানে দেশকে পাকিস্তান আমলে নিয়ে যাওয়া বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।

সোমবার বিকালে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সূত্রাপুর থানা এবং ৪২, ৪৩ ও ৪৪ নাম্বার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।

সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, লন্ডনে বসে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের ‘টেকব্যাক বাংলাদেশ’ এর ঘোষণার মানে হলো বাংলাদেশকে পেছনে নিয়ে যাওয়া, পাকিস্তান আমলে নিয়ে যাওয়া। বিএনপি এখন বাংলাদেশকে আবার পাকিস্তান আমলে নিয়ে যেতে চায়।

বিএনপিকে মিথ্যাচার, অভিযোগের রাজনীতি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, তাদের দলের নেতা-কর্মীরা নিজেরা মারামারি করে আওয়ামী লীগের দোষ দেয়। গত কয়েকদিনে চট্টগ্রাম, বরিশাল, গাজীপুর এবং আজকেও পল্টনে বিএনপির নেতা-কর্মীরা নিজেরা মারামারি করেছেন। মিথ্যাচার, অভিযোগের রাজনীতি বন্ধ করুন।

আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতে বাধা দেয় না উল্লেখ করে মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, বিএনপি বলে আওয়ামী লীগ তাদের কর্মসূচিতে নাকি বাধা দেয়। আমরা কাউকে বাধা দিই না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোনো দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা না দেয়ার জন্য। কেউ আন্দোলনের নামে রাজপথে জ্বালাও-পোড়াও করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের দিকে কেউ চড়াও হলে আমাদের দায়িত্ব আছে। আপনি আক্রমণ করবেন আর আমাদের চুপচাপ বসে থাকা সমীচিন হবে না।

এসময় স্বাধীন বাংলার স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পেছনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সরাসরি জড়িত বলে মন্তব্য করেন হানিফ। তিনি জিয়াউর রহমানকে পাকিস্তানের মদদপুষ্ট বলেও আখ্যা দেন।

নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে সব অপশক্তিতে রুখে দেওয়ার আহবান জানিয়ে হানিফ বলেন, বাংলাদেশে যত উন্নয়ন হয়েছে সব হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে। শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ এখন মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।

বিএনপির দুর্নীতির কথা মনে করিয়ে দিয়ে হানিফ বলেন, তাদের আমলে বাংলাদেশ বারবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তাদের দলীয় প্রধান এখন দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। এই বিএনপি এখন সরকারের দুর্নীতি খুঁজে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পাকিস্তান আমল ভালো ছিলো মন্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ফখরুল সাহেবের এই বক্তব্যের মানে হলো আমাদের ৩০ লাখ শহীদের রক্তকে অপমান করা, ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জতকে অপমান করা। আমাদের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করেছেন তিনি।

ওই বক্তব্যের জন্য মির্জা ফখরুলকে জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান হানিফ। বলেন, আপনি জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চান। নতুবা বাংলার জনগণ এর প্রতিশোধ নেবে।

বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, সম্মেলন করে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক ইউনিট আরও শক্ত করা হচ্ছে। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে আগামী জাতীয় নির্বাচন। আগামী জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ আবার শেখ হাসিনাকে বিজয়ী করবে। শেখ হাসিনার উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান। জনগণ বুঝে গেছে দেশের উন্নয়নের জন্য কাকে নির্বাচিত করতে হবে।

‘আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ একত্তরের খুনি, পচাঁত্তরের খুনি এবং ২০০৪ সালের খুনিদের পরাজিত করবে’—বলেন মির্জা আজম।

বিশেষ অতিথির বকৃতায় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক দপ্তর বড়ুয়া বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার ৫০ বছরে আওয়ামী ক্ষমতায় ছিলো মাত্র ২০ বছর। এই ২০ বছরেই বাংলাদেশে যত উন্নয়ন হয়েছে। এছাড়া সবাই এদেশকে লুটেপুটে খেয়েছে। সামনে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থেকে সব অপশক্তিতে রুখে দিতে হবে।

সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবু আহাম্মদ মোহাম্মদ মন্নাফি, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা।

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত