1245
Published on আগস্ট 8, 2022৮ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী, মহীয়সী নারী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে আজ বেলা ১১টায়, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজরে শামস্ পরশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি। সম্মানিত অতিথিহিসেবে উপস্থিত ছিলেন-ওয়ার্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর মাননীয় উপাচার্য, প্রফেসর ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী। সঞ্চালনা করেন-যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
এছাড়াও সকাল ৮:৪৫ মিনিটে বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন-আগস্টের ট্রাজেডির সবচেয়ে বড় ট্র্যাজিক কুইন বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব। তাঁর সমগ্র জীবনটা অনুসরণ কররে দেখা যায়, তাঁর মত ভুক্তভোগি মানুষ খুব কম আছে। মাত্র ৪ বছর বয়সে বাবা-মা দুইজন হারিয়ে তিনি অনাথ হয়েছেন। অর্থাৎ জীবনের শুরুতেই জীবনের সবচেয়ে বড় হোঁচট। আমার মত যারা শিশু বয়সে বাবা-মা হারিয়েছে, তারা বুঝবে একজন এতিমের কষ্ট। তারপর বাল্য বিবাহ; প্রিয়তম স্বামী রাজনীতি করে, বেশিরভাগ সময় জেলে থাকে। জননেত্রী শেখ হাসিনা “শেখ ফজিলাতুন নেছা, আমার মা” রচনায় লিখেছেন, স্বামীকে তিনি খুব কম সময় কাছে পেতেন, কখনো একটানা দুটি বছর আমরা কিন্তু বাবাকে কাছে পাইনি। কাজেই স্ত্রী হিসাবে আমার মা ঠিক এভাবে বঞ্চিত ছিলেন। বাচ্চাগুলো নিয়ে শ্বশুর-শাশুড়ি, দেবর-ননদদের ঘিরে তাঁর জীবন। বেশিরভাগ সময়ই প্রিয়তম স্বামীর অপেক্ষায় নির্মম সময় কাটে। সকল কষ্টের অবসান ঘটিয়ে যখন স্বাধীন হল স্বস্তির নিশ্বাস ফেললেন আমাদের বঙ্গমাতা, ভাবলেন এবার হয়তোবা স্বামীকে কাছে পাবে। বাকি জীবনটা কিছুটা স্বস্তিতে কাটানো যাবে। কিন্তু না, সেই সুখ তাঁর কপালে জুটল না। স্বাধীনতা অর্জনের ৪ বছরের মধ্যে ইতিহাসের সেই নারকীয় এবং বীভৎস হত্যাকা- তাঁর সকল স্বপ্ন গ্রাস করে সবকিছু চুরমার করে দিল। তিনি যখন জানলেন যে তাঁর কামালকে হত্যা করা হয়েছে, যখন দেখলেন তাঁর প্রিয়তম স্বামীকে তাঁর সামনে গুলি করা হলো, কি রকম ভয়াবহ ছিল সেই শেষ মুহূর্তগুলো? তারপরে আবার জামাল, রাসেল, সুলতানা, খুকি আর রোজির জীবনের নিরাপত্তার আশঙ্কা নিয়ে কি তাঁর শেষ নিশ্বাস ছাড়তে হলো বাংলার ট্রাজিক কুইন ফজিলাতুন নেছা মুজিবের? অতি সাধারণ জীবন যাপন ছিল বেগম মুজিবের। তাঁর কোন জৌলুশ ছিল না, ছিল না কোন চাকচিক্য, অতি সাধারণ জীবন যাবনে অভ্যস্ত ছিলেন বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব। তিনি দুইবার মন্ত্রীর স্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী, প্রেসিডেন্টের স্ত্রী, কিন্তু তারপরেও তাঁর চালচলনে ছিল-শাশ্বত বাঙালি মধ্যবিত্ত নারীর আটপৌঢ়ে রূপ। ছিল না কোন লোভ-লালসা বা সখ-আহ্লাদ। জীবনে কোন কিছু আবদার করে নাই স্বামীর কাছে বা শ্বশুরের কাছে। জননেত্রীর লেখায় “মা কখনও বলেননি যে আমার টাকার অভাব। সংসার চালাতে হচ্ছে।” নিভৃতে তিনি সকল কষ্ট সহ্য করেছেন। আজন্ম কষ্ট, বঞ্চনা এবং বিয়োগব্যাথা তাঁকে এক অসাধারণ মানবিক ব্যক্তিত্বে রূপান্তরিত করেছিল। বঙ্গমাতাকে কাছ থেকে দেখার সামান্য সৌভাগ্য থেকে আমি মনে করি, যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে যে মানবিক ও চারিত্রিক গুণাবলি দেখে আমরা বিমোহিত হই, তাঁর প্রত্যেকটা শেখ হাসিনা উত্তরাধিকারী করেছেন তাঁর মা, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব থেকে। স্বাধীনতা উত্তর বিরঙ্গনাদের পুনর্বাসনে তিনি বিশেষ অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন এবং সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন। জননেত্রীর ভাষায়; স্বাধীনতার পর যেসব মেয়ে নির্যাতিত ছিল, নির্যাতিত মেয়েদের সাহায্য করা, তাদেরকে হাসপাতালে দেখতে যাওয়া। ওই মেয়েদের যখন বিয়ে দিতো, মা নিজেও তখন উপস্থিত থেকেছেন। নিজের গহনা দিয়ে দিয়েছেন। আমাকের একদিন বললেন, মাত্র ১৪ বছরের বাচ্চা মেয়ে তাকে যেভাবে অত্যাচার করেছৈ, তা দেখে তার খুব মন খারাপ হয়েছে। এভাবে নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়ান, যে এসে যা চেয়েছে হাত খুলে তা দিয়ে দিয়েছেন, দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ছিল না।
শিশুদের প্রতিও ছিল তাঁর অগাধ উদারতা। শিশুদেরকে তিনি বিশেষ মনোযোগ দিতেন এবং অকৃত্রিম মমত্ববোধ প্রদর্শন করতেন। শিশুদের আবদার এবং বায়নার প্রতি বঙ্গমাতা নজর রাখতেন। শুধু মানুষ নয়, যেকোন পশু-পাশি, জীবজন্তুর প্রতি ছিল তার অগাধ মমত্ববোধ। তিনি বাগান করতেন, কুকুর, কবুতর, মুরগি পোষতেন এবং ওদের যতœ নিতেন। আমার ছোটবেলার একটা ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণ করছি। একবার ৩২নং বাসায় গিয়ে দেখি যে, একটা মুরগি অনেকগুলা বাচ্চা দিয়েছে। আমি ওদেরকে নিয়ে মাতওয়ারা হয়ে গেলাম এবং ওদেরকে ছাড়া আসতে চাচ্ছিলাম না। আমি বায়না ধরলাম যে আমারও ঐ মুরগিগুলি লাগবে। মা তো মহা মুসিবতে পড়লো। আমি কিছুতেই ওদের পিছ ছাড়ি না। মা আমাকে একরকম জোর করে বাসায় নিয়ে আসল। আমি কাঁদতে কাঁদতে ওবাসা থেকে চলে আসলাম। বাসায় আসার পর, বিকালে দেখি আপন দাদী (বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব) মুরগি আর মুরগি বাচ্চাগুলো আমাকে পাঠিয়ে দিয়েছেন। ঐ বাসায় আমি আপন দাদীর অনেক ভক্ত ছিলাম। আমার নিজের দাদীকে বাদ দিয়ে ওনাকেই ‘আপন দাদী’ বলে ডাকতাম। এমনই মায়াবতী এবং মমতাশীল ছিলেন বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব শিশুদের প্রতি। আমি মনে করি এই সকল মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিই তাঁকে রাজনৈতিকভাবে সচেতন এবং সক্রিয় করে তুলেছিলেন। শেখ হাসিনা লিখেছেন; আওয়ামী লীগের কোন নেতা-কর্মীর অসুখ-বিসুখ হলে তাকে সাহায্য করা, যারা বন্দি তাদের পরিবারগুলো দেখা, কার বাড়িতে বাজার হচ্ছে না, সে খোঁজ-খবর নেওয়া এবং এগুলো করতে গিয়ে মা কখনও কখনও গহনা বিক্রি করেছেন। আমার মা কখনও কিছু না বলতেন না। সর্বক্ষেত্রে তিনি বঙ্গবন্ধুকে সহযোগিতা করেছেন, একাগ্রচিত্তে এবং নিঃশর্তভাবে। জাতির পিতার জীবন সঙ্গিনী হিসাবে তিনি ছিলেন অসাধারণ। এভাবে তিনি নিপীড়িত বাঙালির মুক্তি সংগ্রামে নেপথ্যে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে। আমদের মুক্তির সংগ্রামে ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগের সাথে যোগাযোগ ও সমন্বয় করে আন্দোলন-সংগ্রাম সংগঠিত করেছে। সংকট মুহূর্তে এ ধৈর্য ধরে, মাথা ঠা-া রেখে তিনি সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত গুলো নিতে পেরেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর লেখায়; অনেক ঘাঁত-প্রতিঘাত এসেছে। কিন্তু আমার মাকে আমি কখনও ভেঙ্গে পড়তে দেখিনি। এমনি দৃঢ় চিত্তের অধিকারী ছিলেন বঙ্গমাতা বেগম মুজিব। তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতাও ছিল অতুলনীয়
যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মণি’র রাজনৈতিক এবং লেখক হিসাবে গড়ে উঠার পেছনে প্রেরণারও কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন বঙ্গমাতা। পড়াশোনার প্রতি ছিল তাঁর অদম্য আগ্রহ। শেখ মণি’র লেখক এবং সাংবাদিক হওয়ার পিছনেও বেগম মুজিবের অবদান অপরিসীম। সুতরাং বেগম মুজিবের চারিত্রিক গুণাবলি থেকে আমাদের প্রজন্মের অনেক কিছু শিক্ষণীয়, বিশেষ করে মানবিকতা এবং রাজনৈতিক ক্ষেত্রে তিনি যে উদাহরণ রেখে গেছেন তা সত্যি অনুকরণীয়।
স্বাধীনতা বিরোধী চক্র, যার অন্যতম হোতা, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ৭৫ এ নির্বিচারে নারী-শিশু হত্যাকা-ের সাথে জড়িত ছিল, যেটা জাতির কাছে আজ পরিষ্কার। যেই হত্যাকা-ে পরিত্রাণ পায় নাই ৪ বছরের শিশু সুকান্ত বাবু, ১০ বছরের শিশু শেখ রাসেল ও আরিফ সেরনিয়াবাত। রক্ষা পায় নাই মহীয়সী নারী শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব ও অন্তসত্ত্বা গৃহবধূ আরজু মণি সেরনিয়াবাতসহ নিরীহ অবলা নারী সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল। এ দিক দিয়ে বিচার করলে এই হত্যাকা- গণহত্যার সামিল, কারণ নারী-শিশুদের নির্বিচারে এবং বাছার করে সেদিন হত্যা করা হয়েছিল। এই সুদূরপ্রসারী এবং পরিকল্পিত হত্যাকা-ের মাধ্যমে আমাদের স্বাধীনতার সূর্য সম্পূর্ণরূপে উদিত হওয়ার পূর্বেই আকস্মিকভাবে অস্তমিত করা হয়েছিল। নস্যাৎ করা হয়েছে বাঙালির দুই শতাধিক বছরের স্বাধীনতার আকাঙ্খা। এই হত্যাকা-ের মাধ্যমে স্বাধীনতা যুদ্ধে পরাজিত শত্রুরা তাদের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিয়েছিল বাঙালি জাতির উপর। কাজেই জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার আজ এই প্রজনেমর সময়ের এবং নৈতিক দাবি। এই নির্দয় গণহত্যাকা- যদি আমরা আর মেনে নেই, তাহলে আমরা ন্যায়পরায়ণ এবং মানবিক সমাজব্যবস্থা কায়েম করতে ব্যর্থ হবো এবং তাদের বিপন্ন হবে প্রগতি, বিপন্ন হবে মানবতা। সুতরাং এই হত্যাকা-ের মূল হোতা জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার এবং অচিরেই সাজাপ্রাপ্ত পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকর করার দাবি জানাচ্ছি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন-বঙ্গবন্ধুর সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া এবং কোন পিছু টান তাকে ধরতে না পারার পিছনে যিনি নিজেকে তিল তিল করে উৎসর্গ করেছেন তার নাম বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী থেকে দেখা যায় একজন বালিকাবধু কিভাবে বঙ্গবন্ধুর প্রেরণাদায়িত্রী এবং শুধু সুখ দুঃখের নয় মরণেও সহযাত্রী হয়েছেন। বেগম মুজিবের জীবনটা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় সুখ কোথায় ছিল? ছিলতো শুধু কারাগার আর কারাগারের শিক ধরে বেগম মুজিবের নিরব অশ্রুপাত। বেগম মুজিব বঙ্গবন্ধুর গৌরবে গৌরবান্বিত বোধ করতেন এবং বঙ্গবন্ধুকে তাঁর জীবনের ধ্রুবতারা হিসেবে গ্রহণ করে সকল কষ্টকে পরিহার করে গেছেন। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধুকে যখন কারাবন্দি করা হলো তখন অনেক দিন কেউ জানতো না বঙ্গবন্ধুকে কোথায় রাখা হয়েছে। তখনও বঙ্গমাতা তার সন্তানদের সাহসের সাথে বলতেন তোমার বাবার মুক্তি হবে, মাথা উচু করেই মুক্তি হবে। বঙ্গমাতা ছিলেন বঙ্গবন্ধুর আজীবন সহযাত্রী, ’৭৫-এর ১৫ আগস্টে নিজের জীবন দিয়েই তা প্রমাণ করেছেন বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব।
সম্মানিত অতিথি প্রফেসর ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী বলেন-আজ ৮ আগস্ট বঙ্গমাতা বেগম মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী, কিন্তু আমরা প্রাণোজ্জল পরিবেশে পালন করতে পারছি না, এজন্য আমাদের কষ্ট হয়। কারণ ১৫ আগস্টে আমাদের সব আনন্দ বিলিন হয়ে গেছে। রাসেলে রাসেলের নামকরণ করেছিলেন বঙ্গমাতা। যতি বার্ট্রান্ড রাসেলের নাম অনুসারে নামকরণ করতে পারেন এবং যিনি বঙ্গবন্ধুকে ফ্রেন্ড ফেলো শিপার এবং গাইড হিসাবে নিয়ন্ত্রণ করেছেন। তার জ্ঞানের পরিধি চিন্তা করতে গেলে আমাদের বিস্মিত হতে হয়। আমি যুবলীগের বন্ধুদের বলতে চাই-আমাদের একটা কথা মনে রাখতে হবে শেখ ফজলুল হক মণি ছিলেন মুক্তি সংগ্রামী এবং মুক্তিযোদ্ধা।
যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন-আগস্ট মাস শোকের মাস। আজ আমরা বঙ্গমাতা বেগম মুজিবের জন্মদিন পালন করছি। কিন্তু আমাদের অন্তরে শান্তি নেই। কারণ জিয়াউর রহমানের নির্দেশে ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছিল। তাই আগস্ট মাস আসলেই বঙ্গবন্ধু প্রেমীদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম মুজিব ছিলেন একজন সাহসি নারী, একজন দেশ প্রেমিক, একজন মমতাময়ী মা এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে সিদ্ধান্ত গ্রহণে দূরদর্শী। বঙ্গবন্ধুর প্রত্যেকটি পদক্ষেপে পাশে থেকে তিনি বঙ্গবন্ধুকে সাহস যেগাতেন। পর্দার অন্তরালে থেকে দলকে সুসংগঠিত করা এবং দলের প্রতিটি নেতা-কর্মীর খোঁজ-খবর রাখতেন। ঘাতকেরা যখন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছির তখন তিনি চিৎকার করে ঘাতকদের বলেছিলেন আমাকেও হত্যা করো। এটাই ছিল বঙ্গমাতার স্বামীভক্তির নিদর্শন। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার পর জামাতকে রাজনীতি করতে সুযোগ করে দিয়েছিলেন এবং বঙ্গবন্ধু হত্যার যেন বিচার না হয় এজন্য ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে বিচারের পথ বন্ধ করেছিলেন আর তার স্ত্রী বেগম জিয়া যুদ্ধাপরাধী নিজামী-মুজাহিদকে মন্ত্রী বানিয়ে তাদের গাড়ীতে লাল-সবুজের পতাকা তুলে দিয়েছিলেন। জামাত-বিএনপি ২০০২ সালের ১৭ আগস্ট সারাদেশে একযোগে সিরিজ বোমা হামলা করে বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিল। তারা আবার দেশে আরেকটি ১৫ আগস্ট সৃষ্টি করতে চায়। কিন্তু যুবলীগের একজন নেতাকর্মী বেঁচে থাকতে তাদের এই আশা কোনদিন পূরণ হবে না। তিনি যুবলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন-যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশের নেতৃত্বে আমরা রাজপথে থেকে তাদের প্রতিহত করবো। সকল ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিবো।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন-যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা: খালেদ শওকত আলী, মোঃ হাবিবুর রহমান পবন, এনামুল হক খান, ড. সাজ্জাদ হায়দার লিটন, মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন, সুভাষ চন্দ্র হাওলাদার, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, তাজউদ্দিন আহমেদ, মোঃ আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, সুব্রত পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মোঃ মাজহারুল ইসলাম, মোঃ সাইফুর রহমান সোহাগ, জহির উদ্দিন খসরু, সোহেল পারভেজ, আবু মুনির মোঃ শহিদুল হক চৌধুরী রাসেল, মশিউর রহমান চপল, অ্যাড. ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইসমাইল হোসেন, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ জহুরুল ইসলাম মিল্টন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক কাজী সারোয়ার হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মোঃ সাদ্দাম হোসেন পাভেল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ শামছুল আলম অনিক, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ মোঃ ফরিদ রায়হান, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মীর মোঃ মহিউদ্দিন, জনশক্তি ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক শাহীন মালুম, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আবদুল হাই, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আবদুল মুকিত চৌধুরী, ধর্ম সম্পাদক মাওলানা খলিলুর রহমান সরদার, উপ-শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও পাঠাগার সম্পাদক কাজী খালিদ আল মাহমুদ টুকু, উপ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সফেদ আশফাক আকন্দ তুহিন, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক ফজলে রাব্বী স্মরন, উপ-ক্রীড়া সম্পাদক মোঃ আবদুর রহমান, উপ-পরিবেশ সম্পাদক সামছুল ইসলাম পাটোয়ারী, উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া শামীম, উপ-ধর্ম সম্পাদক হরে কৃষ্ণ বৈদ্যসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।