শনিবার (২৩ জুলাই) এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং অর্বাচীন বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।
বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের মাধ্যমে বিএনপির মানসিক দেউলিয়াত্বের চিত্র ফুটে উঠেছে। বিএনপির মহাসচিব বারবার নির্বাচনে না আসার মতো শিশুসুলভ বক্তব্য প্রদান করে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ বারবার বলে যাচ্ছে, দেশের সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের তার বিবৃতিতে বলেন, নির্বাচনে জনগণের ভোটের রায়ে ক্ষমতার পরিবর্তন হবে। কোনো শর্ত দিয়ে নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বাক্সবন্দি করার ষড়যন্ত্র ও অগণতান্ত্রিক অশুভ অপশক্তির হাতে রাষ্ট্রক্ষমতা প্রত্যাবর্তন জনগণ মেনে নেবে না।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি তার অতীত কর্মকাণ্ডের জন্য জনগণের মুখোমুখি হতে ভয় পায় বলেই তারা সাংবিধানিক পন্থার ব্যত্যয় ঘটিয়ে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখলের দিবাস্বপ্নে নিমজ্জিত হয়ে আছে।
বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি দেশবাসীকে স্বৈরশাসন, দুর্নীতি-লুটপাট-সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও উগ্র সাম্প্রদায়িকতা ব্যতীত ভালো কিছু উপহার দিতে পারেনি।
বিএনপি ক্ষমতাকে নিষ্কণ্টক করতে বিএনপির শীর্ষ নেতারা প্রত্যক্ষ মদত ও পৃষ্ঠপোষকতায় তৎকালীন প্রধান বিরোধী দল আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য ২১ আগস্ট নারকীয় গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি যখনই ক্ষমতায় এসেছে, তখনই তাদের রাষ্ট্রীয় ফ্যাসিবাদের আগ্রাসি রূপ দেশের জনগণকে দুঃশাসন ও শোষণের জাঁতাকলে পিষ্ট করেছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির আমলে দেশে কোনো উন্নয়ন-অগ্রগতি হয়নি বলেই আজ দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন দেখে বিএনপির গা জ্বালা করছে।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আওয়ামী লীগই এ দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের মধ্য দিয়ে দেশে দারিদ্র্যের হার হ্রাস পেয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বিবৃতিতে আরও বলেন, আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করতে করতে বিএনপির দেশবিরোধী চরিত্র স্পষ্ট হয়ে উঠেছে, তাই তারা আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ও মর্যাদাকে ভূলুণ্ঠিত করতে মরিয়া হয়ে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রত্যাশা করে বিবৃতিতে বলেন, একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি নেতারা দায়িত্বশীল আচরণ করবে এবং জনগণের স্বার্থ পরিপন্থি কর্মকাণ্ড পরিহার করবে। অন্যথায়, বাংলাদেশের জনগণ বিএনপিকে ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত করবে।