5542
Published on এপ্রিল 11, 2022বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি আজ এক বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রচারিত ও প্রকাশিত মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশপ্রণোদিত বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এমপি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দুঃসময়ের কথা বলে দেশের জনগণকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছেন। আসলে দেশে কোনো দুঃসময় নেই, দুঃসময় যাচ্ছে বিএনপির রাজনীতিতে। তাদের নেতাকর্মীরা এখন হতাশ। শীর্ষ নেতাদের নেতৃত্ব ও সক্ষমতা নিয়ে তারা সন্দিহান। বিএনপি'র নেতাকর্মীরা এখন দিশেহারা পথিক। তারা এখন বিএনপি'র শীর্ষ নেতাদের ব্যর্থ নেতৃত্ব থেকে মুক্তি চায়। আর জনগণ চায় বিএনপি'র আমলের দুঃশাসন ভুলে যেতে। ফলে জনগণ বার বার আওয়ামী লীগকেই বেছে নিয়েছে এবং বরাবরের ন্যায় আগামী নির্বাচনেও জনগণ আওয়ামী লীগকেই বেছে নিবে। সেটা বুঝতে পেরেই বিএনপি এখন দুঃসহ যন্ত্রণায় ভুগছে।
বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সম্প্রতি পাকিস্তানে ঘটে যাওয়া বিষয়গুলো ধারণ না করলে, না বুঝলে তাদের নাকি মুক্তি হবে না। বিএনপির মহাসচিবের এ ধরনের বক্তব্য থেকেই বোঝা যায়, তারা এখনো পাকিস্তানি ভাবধারার রাজনীতি থেকে বের হতে পারেনি। তাদের অন্তরে এখনো পাকিস্তান রয়ে গেছে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও বাংলাদেশের স্বাধীনতায় তারা বিশ্বাস করে না এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে না। বিএনপিকে বুঝতে হবে পাকিস্তানকে পরাজিত করে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। বাংলাদেশ আজ আর্থ-সামাজিক সকল সূচকে পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গেছে। তাই বাংলাদেশ আর পাকিস্তান হবে না।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, মির্জ ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দাবী মতে মুক্তির নাকি একটাই পথ; জিয়াউর রহমানের দেখানো পথে গিয়ে একটা ঘটনা ঘটানো। জিয়াউর রহমান তো হত্যা-ক্যু-ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে গণতন্ত্রের সমাধি রচনা করে তার উপর পাকিস্তানি ভাবধারার বীষবৃক্ষের বীজ বপন করেছিল, অবৈধ ও অসাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করেছিল। জনগণ তাই শঙ্কায় আছে, না জানি বিএনপি কখন কি দুর্ঘটনা ঘটিয়ে বসে। কারণ বিএনপির ইতিহাস মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলুন্ঠিত করার ইতিহাস, গণতন্ত্র হত্যার ইতিহাস, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে লুন্ঠন ও দুর্নীতির রাজত্ব কায়েমের ইতিহাস। বিএনপি মহাসচিব দাবী করেছেন যে, তারা নাকি নির্বাচনে বিশ^াস করে! ফলে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, এটা কি তাদের মনের কথা? কারণ তারা একদিকে বলছে নির্বাচনে বিশ^াস করে। অন্যদিকে ক্ষমতা দখলের নেশায় দেশ ও গণবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। বিএনপির কাছে নির্বাচন মানে মাগুরা মার্কা নির্বাচন, ১৫ই ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন প্রহসনের নির্বাচনের পাশাপাশি ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে ১ কোটি ২৩ লক্ষ ভুয়া ভোটার সৃষ্টি। তাদের কাজই হচ্ছে অপতৎপরতায় লিপ্ত থেকে দুরভিসন্ধিমূলক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে জাতির কপালে একের পর এক কলঙ্কের তিলক পরানো। বিএনপি নির্বাচনের নামে আসলে কী চায়, সেটা তাদেরকে জনগণের সামনে স্পষ্ট করতে হবে। তারা তাদের অতীত কর্মকাণ্ডের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ক্ষমতা পরিবর্তনের উপায় হিসেবে যদি সত্যিকার অর্থে নির্বাচনে বিশ^াস আনে তাহলে তা বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য শুভ লক্ষণ।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, বিএনপির নেতারা বার বার বলছে- তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নাকি সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এখন মীমাংসিত একটি বিষয়। কাজেই নতুন করে এ নিয়ে কোন প্রকার দুঃস্বপ্ন দেখে লাভ নেই। নির্বাচন হবে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে। সরকার শুধু নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করবে। তাই বিএনপিকে বলবো, নির্বাচনে যদি বিশ্বাস করেন, জনগণের উপর যদি আস্থা থাকে তবে ষড়যন্ত্রের পথ পরিহার করে আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিন। আশা করি, বিএনপির শুভবুদ্ধির উদয় হবে।
তারিখঃ ১১ এপ্রিল ২০২২
প্রেস বিজ্ঞপ্তি