বিএনপি নেতাদের মিথ্যাচারের জবাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি’র বিবৃতি

1851

Published on এপ্রিল 6, 2022
  • Details Image

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি আজ এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতাদের অব্যাহত মিথ্যাচার ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে জনাব ওবায়দুল কাদের এমপি বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতাদের নিরবচ্ছিন্নভাবে প্রতিনিয়ত বাস্তবতাবর্জিত বক্তব্য ও মিথ্যাচার শুনে দেশের জনগণ ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। গণতান্ত্রিক রীতি-নীতিকে ধারণ না করে বিএনপি নেতারা শুধুমাত্র লিপ সার্ভিসের মাধ্যমে দূরভিসন্ধিমূলক রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চায়। বিএনপি কখনো জনকল্যাণকর কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ করেনি। এ কারণেই লক্ষ্যহীন অকার্যকর ও ব্যর্থ রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে বিএনপি। বিএনপির কোনো প্রকার বক্তব্য জনগণ সমর্থন করে না। বিএনপির আসল উদ্দেশ্য যেনতেন উপায়ে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল। বিএনিপর কাছে দেশের জনগণের কল্যাণের চেয়ে ক্ষমতা দখলের রাজনীতিই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বৈরশাসনের কথা বলে আজ জাতিকে নসিহত করার চেষ্টা করছেন! কিন্তু বাংলাদেশে স্বৈরশাসনের জনক অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী জিয়াউর রহমান। স্বৈরাচার জিয়াউর রহমান জাতির পিতাসহ জাতীয় চার নেতার খুনিদের পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান ও স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার-আলবদর যুদ্ধাপরাধীদের স্বাধীন বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করেছে এবং দলছুট নীতিভ্রষ্ট নেতাদের নিয়ে টাকার বিনিময়ে বিএনপি নামক রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেছে। জন্ম সূত্রেই সংবিধান ও গণতন্ত্রকে হত্যা করে যে দল সামরিক শাসন কায়েম করেছে তাদের মুখে স্বৈরশাসন শব্দটি মানায় না। বিএনপি হলো স্বৈরাচারের প্রতিভ‚ এবং খুনি, যুদ্ধাপরাধী, দুর্নীতি-দুর্বৃত্তায়ন সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক। বিএনপি’র ইতিহাস স্বৈরশাসনের ইতিহাসÑ অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের ইতিহাস, হত্যা-ক্যু ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের ইতিহাস, যুদ্ধাপরাধীদের পৃষ্ঠপোষকতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী রাজনীতির ইতিহাস, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও সিরিজ বোমা হামলার ইতিহাস, ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের ইতিহাস, হাওয়া ভবন-খোয়াব ভবন খুলে দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়নের অভয়ারণ্য প্রতিষ্ঠার ইতিহাস।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঐহিত্যগতভাবে গণতান্ত্রিক রীতি-নীতি ও আদর্শকে ধারণ করেই রাজনীতি করে। দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন ও কল্যাণই আওয়ামী লীগ ও জননেত্রী শেখ হাসিনার রাজনীতির মূল লক্ষ্য। আওয়ামী লীগ সরকার কখনো বিরোধী মতের প্রতি দমন-পীড়ন নির্যাতনে বিশ্বাস করে না। বরং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের হাতে আওয়ামী লীগের লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী নির্যাতন-নিপীড়ন ও প্রাণহানির শিকার হয়েছে। বিএনপি যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই বিরোধী রাজনৈতিক শক্তির উপর নির্যাতনের স্টিম রোলার চালিয়েছে এবং রাজনৈতিকভাবে নির্মূল করতে চেয়েছে। সামরিক স্বৈরাচার জিয়াউর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ১৯৯১-৯৬ ও ২০০১-০৬ সময়কালে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার-নির্যাতন ও নিপীড়নের ভয়াবহ নজির স্থাপন করে। অপারেশন ক্লিনহার্টের মাধ্যমে বিএনপি বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের উপর দুর্বিষহ নির্যাতন চালায়। যারই ধারাবাহিকতায় বিএনপি-জামাতের প্রত্যক্ষ মদদে ২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের জাতীয় নেতাদের হত্যার উদ্দেশ্যে নারকীয় গ্রেনেড হামলা সংঘটিত করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন সময় অন্তত ১৯ বার আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালানো হয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের আলোর দিশারী হয়ে সকল প্রতিবন্ধকতা জয় করে ও বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়ে বাঙালি জাতির অবিভাজিত স্বপ্ন-আকাক্সক্ষাকে ধারণ করে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর নেতৃত্বে এক সময়ের দুর্ভিক্ষ কবলিত ও দারিদ্র্যপীড়িত বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা তথা উন্নত-সমৃদ্ধ ও কল্যাণকর রাষ্ট্র বিনির্মাণের অভিযাত্রায় দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ দীর্ঘজীবী হোক।

 

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত