955
Published on মার্চ 2, 2022এই পতাকা আমার আবেগের নাম l রক্তের রঙে আঁকা মুক্তির জয়গান l একটি পতাকা একটি জাতির অস্তিত্বের প্রমাণ। কিন্তু আমাদের পতাকা আরো কিছু বেশি। এই পতাকার রঙেই মিশে আছে বাঙালির মুক্তির সংগ্রাম।
বাংলাদেশের প্রথম পতাকাটিতে ছিল সবুজ জমিনের ওপর লাল বৃত্ত, সেই বৃত্তের মাঝখানে একটা সোনালি মানচিত্র। এই মানচিত্রটি আমাদের স্বাধীন ভূখণ্ডের সীমারেখা নির্দেশ করার জন্য যুক্ত করা হয়েছিল। স্বাধীনতার স্বপ্ন বাস্তবায়নের পর, তাই, ১৯৭২ সালের ১২ জানুয়ারি, বাংলাদেশের পতাকা থেকে মানচিত্রটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এরপর ১৯৭২ সালের ১৭ জানুয়ারি রাষ্ট্রীয়ভাবে জাতীয় পতাকা হিসেবে গ্রহণ করা হয় সবুজ জমিনের মধ্যে লাল বৃত্তের এই পতাকা।
১৯৭০ সালের নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে সরকার গঠনের অধিকার লাভ করে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। কিন্তু পাকিস্তানি জান্তারা ক্ষমতা হস্তান্তর না করে, ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়, কালক্ষেপণ করতে থাকে। তাদের মনোভাব বোঝার পরে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে আপামর বাঙালি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৭১ সালের ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করে শিক্ষার্থীরা।
৩ মার্চ পল্টন ময়দানে ছাত্র-জনতার সমাবেশে, বঙ্গবন্ধুর উপস্থিতিতে, আবারও পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন বঙ্গবন্ধু। ২৩ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাসাসহ সারা দেশে উড়তে থাকে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা। এই পতাকা উড্ডীন রাখতেই প্রাণ দিয়েছেন ত্রিশ লাখ মানুষ। এই পতাকার সবুজে মিশে আছে আমাদের প্রিয় জন্মভূমি, শহীদের রক্তে রঙিন লাল বৃত্তে প্রতি প্রভাতেই উঁকি দেয় সমৃদ্ধ দিনের স্বপ্ন।
জয় বাংলা বলে আগে বাড়ো।