750
Published on ডিসেম্বর 28, 2021নবনীতা চক্রবর্তীঃ
’’ যে জিনিসটা সব থেকে এখন আমাদের জন্য পীড়াদায়ক সেটা হচ্ছে মেয়েদের ওপর সহিংসতা । আমরা যদিও আইন করে দিয়েছি ,যেমন আমরা ধর্ষণের বিরুদ্ধে আইন করেছি ।আমরা নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে আইন করেছি ।আমরা পারিবারিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় জন্য আইন করে দিয়েছি । তবে শুধু আইন করলে হবে না মানসিকতাটাও বদলাতে হবে ।চিন্তা-চেতনায় পরিবর্তন আনতে হবে ।“
৯ ডিসেম্বর ২০২১ এর রোকেয়া পদক প্রদান অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমনটাই বলছিলেন । একজন প্রধানমন্ত্রী একজন নারী হিসেবে এমন ধারণা পোষণ করেন বলেই কাঠমোল্লাদের দ্বারা যখন এক নুসরাতের মতো শত নুসরাতদের পুড়িয়ে মারা হয় তখন প্রধামমন্ত্রী শক্ত হাতে বিচারের কাজটি সমাধা করেন । নিমতলির ট্র্যাজেডিতে সর্বহারাদের আপন কন্যা জ্ঞান করে তাদের জীবনভরের দ্বায়িত্ব তুলে নেন ।।আর ঠিকানাহীন আসপিয়াদের ঠিকানাসহ কর্মসংস্থান হয়। কিন্তু সেই প্রধানমন্ত্রীকেও মুখোমুখি হতে হয় নানান কটূক্তির । যেমন ঃ পটুয়াখালীর রাঙ্গাবলী উপজেলার মহিউদ্দিন টিকটকে প্রধানমন্ত্রীর ছবি বিকৃত করে তার ফেসবুকে পোস্ট করেছিল ,এরপর নাটোরে বড়াইগ্রামের এক কলেজ ছাত্র সজল আহমেদ প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটুক্তিমূলক পোস্ট ফেসবুকে প্রচার করে , জয়পুরহাটের কালাইয়ের আমানুল্লাহ আমান , চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা যুব দলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শহীদুল হক হায়দারী প্রধানমন্ত্রীর সম্পর্কে কুরুচিপূর্ন কটূক্তি করে তাদের স্বীয় ফেসবুক দেয়ালে পোস্ট প্রচার করেন । ঘটনাগুলো একই সময়ে ঘটছে না তবে ধারাবাহিকভাবে ঘটছে সেটি বিবেচনায় আনা গুরুত্বপূর্ন। আর অতিসম্প্রতি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদ দলের যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে অতি কুরুচিপূর্ন মন্তব্য করেন যা ভাষায় বা লেখায় প্রকাশযোগ্য নয় ।
প্রশ্ন হচ্ছে কেন এই কুরুচিপূর্ন আক্রমণ ।।বাংলাদেশ বিভিন্ন জাতি বর্ণ ধর্মের মানুষের সমাহারে বসবাসের দেশ ।এখানে সবাই যার যার মতো করে তাদের মতামত ,যুক্তি চিন্তা ভাবনা প্রকাশ করবে । নিজস্ব মত ও রাজনৈতিক আর্দশের ভিন্ন হলেই তাকে আক্রমণ করতে হবে, এমন কুরুচিপূর্ন মনোবৃত্তি ও ভাষা নৈতিক ,সামাজিক ,রাজনৈতিক ভাবে যেমন গ্রহনযোগ্য নয় তেমনি আইনসিদ্ধও নয় । আর ভাষা কখন সহিংসতার পর্যায়ে চলে যায় সেটাও গভীরভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে । এধরনের কটুক্তি অপমান জন্ম দেয় সহিংসতার , এবং সন্ত্রাসের পথকে সুগম করে তোলে ।
দেখা যাক আইন কি বলছে , ২০১৮ সালে মহান সংসদে পাশ হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫ ধারায়,
“ আক্রমণাত্মক, মিথ্যা ও ভীতি প্রদর্শন, তথ্য-উপাত্ত প্রেরণ, প্রকাশ, ইত্যাদি বিষয়ে (ক) উপধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে, এমন কোনো তথ্য-উপাত্ত প্রেরণ করেন, যাহা আক্রমণাত্মক বা ভীতি প্রদর্শক অথবা মিথ্যা বলিয়া জ্ঞাত থাকা সত্ত্বেও, কোনো ব্যক্তিকে বিরক্ত, অপমান, অপদস্ত বা হেয়প্রতিপন্ন করিবার অভিপ্রায়ে কোনো তথ্য-উপাত্ত প্রেরণ, প্রকাশ বা প্রচার করেন, বা খ) রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুণ্ণ করিবার, বা বিভ্রান্তি ছড়াইবার, বা তদুদ্দেশ্যে অপপ্রচার বা মিথ্যা বলিয়া জ্ঞাত থাকা সত্ত্বেও, কোনো তথ্য সম্পূর্ণ বা আংশিক বিকৃত আকারে প্রকাশ, বা প্রচার করেন বা করিতে সহায়তা করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ। এই অপরাধের শাস্তি অনধিক ৩ বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ৩ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয়দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। দ্বিতীয়বার বা পুনঃপুনঃ অপরাধের জন্য ৫ বছরের কারাদণ্ড ও ৫ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয়দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।“
আইনগত ভিত্তি থাকা সত্ত্বেও নারীর প্রতি এই সহিংসতায় মানুষের বিকার নেই । দুর্ভাগ্যজনকভাবে সত্য হল নারীদের কটূক্তি, শাব্দিক সহিংসতা বা বুলিং এর শিকার হতে হয় সবচেয়ে বেশি । বালিকা থেকে বয়স্ক , গৃহবধূ থেকে দেশের প্রধানমন্ত্রী কারো রেহাই নেই । এটি পুরুষ তান্ত্রিক চিন্তার একটি কদর্য চিত্র । এখানে উল্লেখ্য যে পুরুষ এবং পুরুষতান্ত্রিকতা এক বিষয় নয় । আবার পুরুষ্তান্ত্রিক মনোবৃত্তি শুধু পুরুষরাই পোষন করেন বা করবেন তা নয় একজন নারীও এই ধ্যান ধারনা দ্বারা আক্রান্ত হতে পারেন ক্ষেত্র বিশেষে হয়েও থাকেন ।এখানে মানসিকতা একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয় । প্রচলিত পুরুষতান্ত্রিক সমাজ কাঠামোয় একজন নারীর সম্পর্কে মিথ্যাচার ,অর্ধসত্য,নিন্দা, কুৎসা রটনা,অপবাদ ,একপেশে অভিযোগ প্রভৃতি কার্যক্রমের দ্বারা তাকে সামাজিক ভাবে অপদস্থ অপমান এবংহেয় প্রতিপন্ন করার মাধ্যমে প্রতিহিংসামূলক নারীটির চরিত্র হনন ও অবদমন করার একটি সহজ পন্থা বলে বিবেচিত হয় । এর ফলে সে অবদমিত হতে থাকে । প্রতিনিয়ত এই সম্মানহানি , শোষন ও অবদমনের ফলে তার ব্যক্তিগত , সামজিক ও কর্ম বলয় বাধাগ্রস্থ হতে থাকে । ক্ষেত্র বিশেষে আত্মহননের ঘটনা ঘটে । যেমন বখাটেদের টিজিং এর কারণে ২১ বছরের তরুণী নারায়ণগঞ্জের চারুকলার শিক্ষার্থী সিমি বানুর আত্মহত্যার ঘটনাটি নিশ্চয়ই বিস্মৃত হইনি ।
এখন যদি আমরা আইনের সুস্পষ্ট প্রয়োগ ও সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তু্লতে না পারি তবে এই সহিংসতা বাড়তেই থাকবে সমাজে এর প্রভাব হবে মারাত্মক । এই যে আমরা বার বার সহিংসতার প্রসঙ্গটি তুলছি এখন স্পষ্ট হওয়া দরকার সহিংসতা বলতে আমরা কি বুঝি । কারন অনেক ক্ষেত্রেই আমরা জানি না নিজস্বার্থ হাসিলে কখন শিষ্টাচার নীতি মাড়িয়ে সহিংসতায় পর্যবস্তিত হয় ।
সহিংসতার ধরন বিভিন্ন রকম হতে পারে । শারীরিক , মানসি্ক অর্থনৈতিক ও সামাজিক এসমস্ত নিপীড়নই সহিংসতা। তাই এর মাত্রার ভিন্নতা, তীব্রতা, উদ্দেশ্য এবং ফলাফলের পার্থক্য সবকিছুই উল্লেখযোগ্য । শারিরিক নির্যাতন তথা সহিংসতার রুপটি কম বেশি আমরা সবাই মোটামুটি জানি । ‘’ শরীরে আঘাত , চড় , চেচাঁমেচি (আঘাত করা, লাথি মারা, কামড় দেওয়া, চেঁচামেচি করা, বাধা দেয়া, চড় মারা, কোন কিছু ছুঁড়ে মারা, মারধর করা ইত্যাদি) বিভিন্ন হুমকি; যৌন নির্যাতন; নিয়ন্ত্রণ বা কর্তৃত্ব; ভয় দেখানো; লাঞ্ছিত করা ইত্যাদি শারীরিক ক্ষতির উদ্দেশ্যে শারীরিক আগ্রাসন । ‘’
অনুরুপভাবে , ইস্তাম্বুল কনভেনশন অনুযায়ী মানসিক সহিংসতা হল "জবরদস্তি বা হুমকির মাধ্যমে একজন ব্যক্তির মানসিক স্বাতন্ত্র্যকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার ইচ্ছাকৃত আচরণ"। হুমকি, বিচ্ছিন্নতা, জনসমক্ষে লাঞ্ছনা, নিরলস সমালোচনা, অনবরত ব্যক্তিগত অবমূল্যায়ন, জোরপূর্বক নিয়ন্ত্রণ, যোগাযোগ বা সহযোগীতা করতে অস্বীকার এবং ব্যক্তির নিজের সম্পর্কে সন্দেহ প্রবেশ করানো অন্তর্ভুক্ত ।‘’
এখানে মৌখিক আক্রমণের বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ ভাবে জড়িত । এইজন্যই গুরুত্বপূর্ণ যে নেতিবাচক তথা অপরাধ্মূলক আচরন দ্বারা অপরাধীদের ক্ষমতায়িত হওয়ার সুযোগ হয় এবং ভূক্তভোগীরা হয় অক্ষমতায়িত । সেই সাথে ভূক্তভোগীর মানবাধিকার সীমত হয় । তার স্বাধীনতার অধিকার ক্ষুন্ন হয় । সেইসাথে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হওয়া সহ ব্যক্তির কর্ম ক্ষমতা হ্রাসের সম্ভাবনা তৈরী হয় । সুতারাং কটূক্তিকে হালকাভাবে নেওয়ার কিছু নেই । এটির প্রভাব ,ধরন ও পরিভাষার বিস্তার অনেক গভীরে । এটির বিরুদ্ধে আইনী ,সামাজিক ,রাজনৈতিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে, বাস্তবিক অর্থে যার কোন বিকল্প নেই ।
ইতিমধ্যেই নানান কটুক্তি করার মাধ্যমে সহিংসতার ধরন এমন একটি জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে যে আমরা প্রধানমন্ত্রীকেও ছাড় দিচ্ছি না । রাজনৈতিক মতবিরোধ থাকতেই পারে । আর্দশ ,দর্শন ,চেতনা ও রাজনৈতিক কৌশল একে অপরের থেকে ভিন্ন হতেই পারে । কিন্তু সহিংসতা একেবারেই সহনীয় নয় । সেইসাথে এটিকে রাজনৈতিক মোড়কে মুড়ে ভিন্ন পথে প্রবাহিত করার কিছু নেই । বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে এটি একটি অপরাধ । সামাজিক ভাবেও অগ্রহণযোগ্য । তাই যখন কেউ কটূক্তি করেন ,শিষ্টাচারের সমস্ত সীমা লঙ্ঘন করেন তখন সেটার বিচার হওয়া উচিত । শুধু বিচার নয় সামাজিক ভাবেও তাকে প্রত্যাখ্যান করা উচিত । আপনি বা আমি চাইলেই দেশের প্রধান নির্বাহীকে নিয়ে এমন কথা বলতে পারি না । কারণ একটি গণতান্ত্রিক সরকার আমরাই নির্বাচন করেছি । তাই উপর দিকে থুতু ছিটালে দিনশেষে সেটা নিজের গায়েই পরে । সেই সাথে একটি বিষয় নেতা ( তা সরকার দলীয় হোক আর বিরোধী দলের হোক ) এবং জনতা উভয়কেই স্মরণ রাখতে হবে নেতারা মানুষের প্রতিনিধিত্ব করেন । তাদের দেখে সমাজের মানুষরা শিক্ষা গ্রহন করেন ।তাদের ভাষা তাদের চিন্তা হতে হবে সব দিক থেকে নিঁখুত । তারা একটি সভ্য সমাজ ও মানবিক মূল্যবোধের চর্চায় নিজেদের সর্বদা নিয়োজিত রাখবেন এটাই কাম্য । অন্যদিকে জনতাদের তাদের নেতার হাব,ভাব ,কথা, চিন্তা ও কর্মকান্ড খুব স্পষ্টভাবেই বুঝে নিতে হবে । নজর হতে হবে তীক্ষ্ণ । কারন নেতা আর জনতার মিথস্ক্রিয়ায় গড়ে উঠে সমাজ , দেশ ও মানুষের ভবিষ্যৎ । একটি স্বাধীন রাষ্ট্রে সে দেশের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ক্টূক্তি ও অপপ্রচার করা দেশের নাগরিকদের জন্য শুভদায়ক নয় । এই সহিংসতা একটি সন্ত্রাস । কোন সন্ত্রাসমুলক আচরণ ,বক্তব্য এবং কর্মকান্ড মোটেও সর্মথনযোগ্য নয় । নৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকেও তা প্রত্যাখ্যানযোগ্য । কোনটা সমালোচনা আর কোনটা গালি এটির বিভেদ আমরা অবশ্যই বুঝি । স্বাধীনতা ও স্বেচ্ছাচারিতার রেখাভেদ এখানেই টানতে হবে । আর সবচেয়ে জরুরি হল আইনের প্রয়োগ ও শাসন । তিনি যে রাজনৈতিক দলের ,যে সংগঠনের কর্তাব্যক্তি হউন না কেন আইনের আওতায় আনা সবচেয়ে জরুরি ।
মনে রাখা প্রয়োজন মানুষের এই মুখ নিঃসৃত শব্দ যোগাযোগের ও ভাবের পরিপূর্ন প্রকাশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় । কারন শব্দ দিয়ে প্রকাশ পায় মানুষের অনুভূতি ,ভাবনা ও তার আমিত্বের । শব্দ চয়ন শুনে বা পড়ে মানুষটির সম্পর্কে আমাদের ধারণা তৈরী হয় । শিষ্টাচার ,সদাচার , আদবকেতার একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয় হল এই শব্দ । আপনি বা আমি আরেকটি মানুষকে কি বলছি তার মাধমে স্পষ্ট হয় অপর ব্যক্তির সম্পর্কে আমি কি ধারণা পোষন করি এবং আমি ব্যক্তি মানুষটি কেমন । সুতারাং নিজের সম্বন্ধে ও অপরের সমন্ধে একটি পারস্পারিক ধারণার সেতূবন্ধন গড়ে দেয় এই শব্দ ।
সম্পর্কভেদে মানুষ মানুষের সাথে শব্দ প্রয়োগ করে থাকে । যেমন ; বয়স্ক ও গুরুজন স্থানীয় ব্যক্তিদের সাথে যে ধরনের বাক্যলাপ হয়ে থাকে সেটির সাথে বন্ধু,ভাই-বোন,প্রতিবেশী স্থানীয়দের থেকে ভিন্ন হয় । যেমন বাবার সাথে যে ধরনের শব্দ ব্যবহার করে আলাপ আলোচনা করা যায় মায়ের সাথে আবার বাক্যলাপটি ভিন্ন । সম্পর্কের মধ্যকার বোঝাপড়া ও তারতম্যের ভিত্তিতে শব্দ ব্যবহ্রত হয়ে থাকে । তবে সম্পর্কের মধ্যকার রসায়ন যাই হোক না কেন একটি মাত্রা থাকে একটি শিষ্টাচারের নিক্তি থাকেই । যেটির সীমা লঙিত হলে আমরা বলে থাকি শিষ্টাচারবর্হিভূত । আর এই সীমা বা মাত্রার পারদটি আরো সংবেদনশীল হয়ে উঠে যখন নিজের সম্পর্কের আওতার বাইরে সামাজিক বলয়ের মানুষদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করি । তাই শব্দ কাউকে জব্দের হাতিয়ার না হয়ে সুন্দরের হোক ,সহমর্মিতার হোক ,প্রতিবাদের হোক,,প্রয়োজনে সমালোচনার হোক । কোনভাবেই সহিংসতার নয় । আইন প্রয়োগ ও বিচারের দ্বারা রুখে দেই যেকোন ব্যক্তির প্রতি সহিংসতা । সর্বোপরি দেশের সর্বোচ্চ স্তরে আসীন একজন দায়িত্বশীল প্রধানমন্ত্রীর সাথে এহেন অপরাধমূলক আচরণ তথা সহিংসতা সমাজের জন্য অশনি সংকেত। তাই ভবিষ্যতে এমন ঘটনা বারংবার ঘটতে না পারে সে লক্ষ্যে অপরাধী আইনের বিচারের আওতায় আসুক এবং সমাজের জন্য একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন হোক সেই দিকে আমাদের দৃষ্টি হোক সর্তক ।
লেখকঃ শিক্ষক ,ইউনিভার্সিটি অফ ইনফরমেশন টেকনোলজি সায়েন্স, ঢাকা
(মতামত লেখকের নিজস্ব। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে)