721
Published on ডিসেম্বর 14, 2021যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ শেখ ফজলুল হক মণি’র ৮৩ তম জন্মদিন উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগ কর্তৃক আয়োচিত শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আজ ১৩ ডিসেম্বর দেশব্যাপী যুবলীগের মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক ভ্রাম্যমান চলচ্চিত্র প্রদর্শনীসহ নানা কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন করেন-যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ, সঞ্চালনা করেন-সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন-পাক হানাদার বাহিনী বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করার জন্য আমাদের দেশের কৃতি সন্তান, মেধাবী প্রফেসর, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিককে বেচে বেচে ঘরে ঘরে ঢুকে তাদেরকে তুলে নিয়ে নির্মম দুর্বিসহ অত্যাচার-যুলুম করে হত্যা করা হয়। আমি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি সকল শহীদকে ও সহানুভূতি জানায় তাদের পরিবারের প্রতি। আমি গভীর শ্রদ্ধার সাথৈ স্বরণ করছি হাজার বছরের অবিসংবাদিত নেতা স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যার নেতৃত্বে ৯ মাসের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা অর্জন করেছি। আমি আরও শ্রদ্ধা জানাই ৩০ লক্ষ শহীদ ও ২ লক্ষ মা-বোনদের যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে ১৯৭১ সালে আজকের এই বিজয় অর্জিত হয়েছিল। আমি আরও শ্রদ্ধা জানাই আমার বাবা মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ শেখ ফজলুল হক মণি ও আমার মা শহীদ আরজু মণিকে।
স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধু শব্দটি এক ও অভিন্ন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ছাড়া আমরা স্বাধীনতা কল্পনা করতে পারি না। তাঁর ২৩ বছরের সংগ্রাম, জেল-যুলুম, অত্যাচার আর নির্যাতন সহ্য করে তিনি আমাদেরকে দিক নির্দেশনা দিয়ে বাঙাািল জাতিকে এই বিজয় নিয়ে এসেছিলেন। দেশের স্বাধীনতার জন্য তাঁর যে ত্যাগ তা কোন ভাষায় প্রকাশ বা সংজ্ঞায়িত করা সম্ভব না। স্বাধীনতার আন্দোলনে তিনি যে স্বপ্ন দেখেছিলেন বাংলার অধিকার আদায়ে সেটা তিনি ছয় দফার মাধ্যমে প্রকাশ করেছিলেন এবং বাংলার তরুণ-যুবসমাজ ছয় দফাকে বুকে ধারণ করে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে, ’৭০-এর নির্বাচন ও ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে। তিনি লড়েছিলেন শুধু একটি দেশ বা মানচিত্রের জন্য না, তিনি লড়েছিলেন বাঙালি কৃষ্টি, সংস্কৃতি আর সাহিত্যের উন্মেষ বিকাশের জন্য। তিনি জানতেন বাঙালির সাহিত্য একটি পরিচয় আছে একটি ঐতিহ্য আছে, তিনি লড়েছিলেন সেই পরিচয় আর ঐতিহ্যের জন্য। তার সেই লড়াই শুরু হয়েছিল ১৯৫২ সাল থেকে যখন বাংলা ভাষার উপর প্রথম আঘাত করা হয়েছিল। শুধু আমাদের বাঙালি জাতীয়তাবাদ বেঁচে থাকার জন্য, বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশ সাধণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং আবশ্যকীয়। আমরা মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছি তার মধ্যে মহান বিজয় দিবস ও ডিসেম্বর মাস উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী ভ্রাম্যমান চলচ্চিত্র প্রদর্শনী অন্যতম।
তিনি আরও বলেন-সারা দেশব্যাপী শীতবস্ত্র বিতরণ, খাদ্য বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গতকালই আমরা ঘোষণা দিয়েছি। আমি আহ্বান জানাবো বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সকল ইউনিটকে যে, আপনারা সততা, শৃঙ্খলার সাথে আমাদের ঘোষিত কর্মসূচি পালন করবেন। চলচ্চিত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও শক্তিশালী মাধ্যম। আমাদের চলচ্চিত্রের একটি ঐতিহ্য আছে। আপনাদের নেতা যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মণি ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে চলচ্চিত্রের ওপর পত্রিকা “সাপ্তাহিক সিনেমা” পত্রিকা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এটা বাংলাদেশের প্রথম পত্রিকা যা সিনেমার ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তিনি ছিলেন সংস্কৃতিমনা, তিনি বাংলার সংস্কৃতি, কৃষ্টি কালচারের প্রতি অনুরাগী ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ছাত্র ছিলেন এবং সেই কারণে তিনি বিশ্বাস করতেন বাংলার সংস্কৃতি বেঁচে থাকবে, বাংলার সংস্কৃতিতে যুবকদের জন্য যুব শক্তি হিসেবে রূপান্তরিত করার জন্য বাংলার সংস্কৃতি বিশেষ করে চলচ্চিত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বাবার সাথে আমারও ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন কিছু স্মৃতি আছে। তিনি আমাদের সিনেমা দেখতে নিয়ে যেতেন। বিভিন্ন কালচারাল বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নিয়ে যেতেন। আমি মনে করি আমাদের সংস্কৃতি বা চলচ্চিত্রের উন্নয়ন দরকার কারণ এর ভিতরে আমাদের পরিচয় নিহিত রয়েছে। এছাড়াও তিনি যুবলীগের প্রতিষ্ঠা চেয়ারম্যান শহীদ শেখ ফজলুল হক মণি’র ৮৩তম জন্মদিন উপলক্ষে ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণ ও উত্তর কর্তৃক আয়োজিত মাদ্রাসার এতিম শিক্ষার্থীদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে বলেন-বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে যুবলীগ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একটি সুখী, সমৃদ্ধ, ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র গঠন করার স্বপ্ন দেখেছিলেন আমার পিতা আপনাদের নেতা শহীদ শেখ ফজলুল হক মণি।
যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন-ডিসেম্বর মাস বিজয়ের মাস। ডিসেম্বর মাসকে সামনে রেখে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। তার মধ্যে ভ্রাম্যমান চলচ্চিত্র প্রদর্শনী অন্যতম। এছাড়াও রয়েছে শীতবস্ত্র বিতরণ, খাদ্য সামগ্রী বিতরণ, মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক আলোচনা সভা।
তিনি বলেন-যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ আমাদেরকে যে কর্মসূচি দিয়েছেন তা পালনের মধ্য দিয়ে ’৭১-এর পরাজিত শক্তিদের জবাব দিতে হবে। জবাব দিতে হবে জামাত-বিএনপিকে যারা ৩০ লক্ষ শহীদ ও ২ লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রম নষ্টে পাকিস্তানীদের সহায়তা করেছিল। জবাব দিতে হবে তাদের যারা দেশবিরোধী শক্তি। যারা ৩০ লক্ষ মানুষকে হত্যা করেছে, যারা আমার মা-বোনের সম্ভ্রম নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে তাদের অবস্থান এই বাংলার মাটিতে হতে পারে না। আমাদের যুব-সমাজ, ছাত্র সমাজকে আজ শপথ নিতে হবে এই বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে উঠবে নাকি দেশবিরোধী রাজাকার, জামাত-বিএনপিদের চেতনায় গড়ে উঠবে। সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় এখনই। বঙ্গবন্ধুকন্যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুর্বার গতিতে উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সামনে সংসদ নির্বাচন, যুব-সমাজ, ছাত্র-সমাজসহ দেশের সকল নাগরিক অবশ্যই বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার পাশে থাকবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।
তিনি আরও বলেন-আপনারা জানেন বাংলাদেশের উন্নয়নকে দাবিয়ে রাখার জন্য দেশীয় এবং বিদেশীরা নানা ধরণের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। কিন্তু বাংলার যুব সমাজ, বঙ্গবন্ধুকন্যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার প্রশ্নে আপসহীন, সকল ষড়যন্ত্রের দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিতে এগিয়ে যাবে যুবলীগ।
শপথ নিতে হবে বাংলার শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষের। যেন কোন অপশক্তিই শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারাকে বাধাগ্রস্ত করতে না পারে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন-প্রেসিডিয়াম সদস্য মঞ্জুর আলম শাহীন, ডা. খালেদ শওকত আলী, শেখ ফজলে ফাহিম, মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন, সুভাষ চন্দ্র হাওলাদার, ইঞ্জি. মৃনাল কান্তি জোদ্দার, তাজ উদ্দিন আহমেদ, মোঃ জসিম মাতুব্বর, মোঃ আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, সুব্রত পাল, মুহাম্মদ বদিউল আলম, ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মোঃ মাজহারুল ইসলাম, মোঃ সাইফুর রহমান সোহাগ, মোঃ জহির উদ্দিন খসরু, মোঃ সোহেল পারভেজ, আবু মুনির মোঃ শহিদুল হক চৌধুরী রাসেল, মশিউর রহমান চপল, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ জহুরুল ইসলাম মিল্টন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ শামছুল আলম অনিক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মোস্তাফিজ, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মীর মোঃ মহি উদ্দিন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আব্দুল মুকিত চৌধুরী, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা খলিলুর রহমান সরদার, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক এড. মুক্তা আক্তার, উপ-দপ্তর সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক কাজী খালিদ আল মাহমুদ টুকু, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ-সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ফজলে রাব্বি স্মরণ, উপ-শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মোঃ ফিরোজ আল-আমিন, উপ-কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোল্লা রওশন জামির রানা, উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ গোলাম কিবরিয়া শামীম, উপ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হরে কৃষ্ণ বৈদ্য, সহ-সম্পাদক আবির মাহমুদ, তোফাজ্জল হোসেন তোফায়েল, গোলাম ফেরদৌস ইব্রাহিম, মোঃ আবদুর রহমান জীবন, নাজমুদ হুদা ওয়ারেছী চঞ্চল, মোঃ আরিফুল ইসলাম, মোঃ আলমগীর হোসেন শাহ জয়, মোঃ বাবলুর রহমান বাবলু, আহতাসামুল হাসান ভূইয়া রুমি, মোঃ মনিরুজ্জামান পিন্টু, মোঃ মনিরুল ইসলাম আকাশ, বর্ষন ইসলাম, মোঃ মুজিবুর রহমান, ইঞ্জি. মোঃ মুক্তার হোসেন চৌধুরী কামাল, এড. মোঃ শওকত হায়াত, ইঞ্জি. মোঃ আসাদুল্লাহ তুষার, মানিক লাল ঘোষ, মোঃ মোবাশ্বার হোসেন স্বরাজ, মোঃ মুজিবুর রহমান মুজিব, মোঃ তারিখ আলম মামুন, ইঞ্জি. মোঃ শহিদুল ইসলাম সরকার, ডাঃ মোঃ আওরঙ্গজেব, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইসমাইল হোসেন, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজাসহ কেন্দ্রীয়, মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।