নীলফামারীতে শেখ মুজিব এবং যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন

1237

Published on নভেম্বর 28, 2021
  • Details Image

জাহাঙ্গীর আলম সরকার:

ভারত ভাগ-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন বিশেষ স্থান দখল করে আছে। ১৯৫৪ সনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বাঙালিরা ক্ষমতায় আসলেও সেই ক্ষমতা বেশিদিন টিকে থাকেনি। পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকদের ষড়যন্ত্রে যুক্তফ্রন্ট সরকারে পতন ঘটে অল্প সময়ের ব্যবধানে। যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে অন্যান্য জাতীয় নেতার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকা অগ্রগণ্য। তিনি সারাদেশে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে দলীয় প্রার্থীদেরকে বিজয়ী করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল সফর করেন। এরই অংশ হিসেবে তিনি নীলফামারীতে এসেছিলেন। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চার বার-১৯৫৩, ১৯৬৯, ১৯৭০ এবং ১৯৭৩-নীলফামারীতে আনুষ্ঠানিক সফরে এসেছিলেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৩ সালের ২২ জানুয়ারি প্রথম নীলফামারী এসেছিলেন। সে সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব নীলফামারী টাউন ক্লাব মাঠে জনসভা করেন। ঐতিহাসিক সেই জনসভায় সভাপতিত্ব করেছিলেন রংপুর জেলা আওয়ামী মুসলিম লীগের সভাপতি দবিরউদ্দিন আহমদ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব নীলফামারী টাউন ক্লাব মাঠের বক্তৃতায় সাম্রাজ্যবাদবিরোধী মনোভাব, সাধারণ মানুষের জীবনচিত্র, অসাম্প্রদায়িক ভাবাদর্শ এবং বাঙালি জাতীয়তাবাদ চেতনার বিষয়ে নীলফামারীর সাধারণ জনগণকে জানান দেন। সেদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব নীলফামারীর জনসভায় বলেছিলেন-

“আজ তো স্বাধীন হয়েছি। কথা সত্য, ‘পাকিস্তান’ নামটা পেয়েছি; আর কতটুকু স্বাধীন হয়েছি-আপনারা নিজের দিকে তাকালেই বুঝতে পারবেন। চীন দেশ কৃষিতে বিপ্লব করে যাচ্ছে।”

নীলফামারীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সে সময় সাংগঠনিকভাবে যোগাযোগ রক্ষা করতেন দবিরউদ্দিন আহমদ এবং খয়রাত হোসেনের সাথে। মূলত দবিরউদ্দিন আহমদ শুধু নীলফামারী নয় বরং রংপুর জেলা আওয়ামী মুসলীম লীগের সভাপতি হিসেবে প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ ছিলেন। আওয়ামী লীগের জন্মলগ্ন থেকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সাথে এই দুই নেতার সম্পর্ক। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে খয়রাত হোসেনের সম্পর্কের নানা মাত্রা খুঁজে পাওয়া যায়। সাংগঠনিকভাবে খয়রাত হোসেনের সম্পৃক্ততার বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তাঁর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’র ৯১ পৃষ্ঠায় বলেছেন-

‘আমরা তাড়াতাড়ি একশত বারজন কাউন্সিল সদস্যের দস্তখত নিয়ে একটা রিক্যুইজিশন সভা আহ্বান করার দাবি করলাম। মোহাম্মদ আলী, তোফাজ্জল আলী, ডাক্তার মালেক, আবদুস সালাম খান, এম এ সবুর, আতাউর রহমান খান, কামরুদ্দিন, শামসুল হক, আনোয়ারা খাতুন, খয়রাত হোসেন ও অনেকে এতে দস্তখত করলেন।’

পাকিস্তান আমলে পূর্ব পাকিস্তান আইন সভার অধিবেশন চলাকালে প্রায় প্রতিদিনই ঢাকায় শোভাযাত্রা বের হচ্ছিল। সে সময় কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে নীলফামারীর খয়রাত হোসেন ঢাকার আন্দোলন-সংগ্রামগুলোতে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ছিলেন। ফলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সাথে খয়রাত হোসেনের একটি সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কখনো কারাগারে, কখনো রাজপথে, আবার কখনো একই মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে যুক্তভাবেই রাজনীতির পথ চলেছেন উভয়েই। ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’র ৯৩ পৃষ্ঠায় খয়রাত হোসেন প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব উল্লেখ করেন। যথা-

‘আন্দোলন দানা বেঁধে উঠেছে। ওয়াদুদ ও বখতিয়ার দুজনেই ছাত্রলীগ কর্মী, তাদের ভীষণভাবে আহত করে জেল হাসপাতালে রাখা হয়েছে। এই সময় শেরে-বাংলা, খয়রাত হোসেন, আনোয়ারা খাতুন ও আরও অনেকে মুসলিম লীগ পার্টির বিরুদ্ধে ভীষণভাবে প্রতিবাদ করলেন।’

জাতীয় এবং আঞ্চলিক ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর সাথে খয়রাত হোসেনের সম্পর্কের বিভিন্ন দিক দেখতে পাওয়া যায়। ১৯৫৩ সালের ৫ আগস্ট পাকিস্তান ইনটেলিজেন্স ব্রাঞ্চের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বঙ্গবন্ধুর লেখা একটি চিঠির প্রসঙ্গ। সাংগঠনিক বিষয়ে নীলফামারীর খয়রাত হোসেনের কাছে শেখ মুজিবের একটি চিঠি গোয়েন্দা সংস্থার নজদারিতে আসে। সিক্রেট ডকুমেন্টস অব ইনটেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অব দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গ্রন্থের (ভলিউম-৩) ১৫৯ নম্বর চিঠিটি খয়রাত হোসেনের কাছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের চিঠি।

উক্ত চিঠিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব খয়রাত হোসেনকে ‘প্রিয় খয়রাত ভাই’ সম্বোধন করেছিলেন। চিঠি পড়ে মনে হয় পারিবারিকভাবেই খয়রাত হোসেনের পরিবারের সাথে যোগাযোগ ছিল। দীর্ঘদিন উভয়ের মধ্যে দেখা না হওয়ার আক্ষেপও ছিল সেই চিঠিতে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব চিঠির মাধ্যমে জানতে চেয়েছিলেন কবে নাগাদ খয়রাত হোসেন নীলফামারী থেকে ঢাকা আসবেন? চিঠিতে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন-খয়রাত হোসেনের ঢাকা আসার পর তাঁর (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের) সাথে সাংগঠনিক বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। চিঠিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব খয়রাত হোসেনকে জানান মাওলানা ভাসানীর পাঁচবিবি সফর সম্পর্কেও। উক্ত চিঠিতে আরো উল্লেখ রয়েছে, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা সে সময় বগুড়ায় অবস্থান করবেন; কিন্তু তিনি ফিরে আসবেন ঢাকা, কারণ আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটির নাম পরের দিন ঘোষণা হবে। এ রকম বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গের নিখুঁত বর্ণনা খুঁজে পাওয়া যায় চিঠিটিতে। নিঃসন্দেহে চিঠিটি আঞ্চলিক ইতিহাসের একটি অসাধারণ দলিল।

এবার আসা যাক যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন প্রসঙ্গে। যুক্তফ্রন্ট পার্লামেন্টারি বোর্ড কর্তৃক নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ১৮টি কেন্দ্রে যুক্তফ্রন্টের মনোনীত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়, তন্মধ্যে নীলফামারী দক্ষিণের প্রার্থী ছিলেন জসিমউদ্দিন আহমদ। নীলফামারী মহকুমা সদরের অংশ, জলঢাকা ও কিশোরগঞ্জ এলাকা নিয়ে যুক্তফ্রন্টের মনোনীত প্রার্থী ছিলেন খয়রাত হোসেন, ডোমার-ডিমলা এলাকায় যুক্তফ্রন্টের মনোনীত প্রার্থী ছিলেন দবিরউদ্দিন আহমদ এবং সৈয়দপুর ও নীলফামারী মহকুমা সদরের অংশবিশেষ এলাকা নিয়ে গঠিত নির্বাচনী এলাকার যুক্তফ্রন্ট প্রার্থী ছিলেন সগীর হাশমী। খয়রাত হোসেনের সাথে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন মুসলিম লীগের প্রার্থী কাজী কাদের। দবিরউদ্দিন আহমদ তাঁর নির্বাচনী এলাকায় মুসলিম লীগের মশিউর রহমানের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়লাভ করেছিলেন। তৎকালে দবিরউদ্দিন আহমদ ও খয়রাত হোসেন আওয়ামী মুসলীম লীগের আদর্শে বিশ্বাসী হলেও সগীর হাশমী অবাঙালি উর্দুভাষী ছিলেন। মূলত হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সাথে ব্যক্তিগত সম্পর্ক থাকার কারণে তিনি মনোনয়ন পান। তবে হোসেন শহীদ সোহরওয়ার্দী এবং ভাসানী গ্রুপের আনুকূল্যে সগীর হাশমী মনোনয়ন পাওয়ার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সৈয়দপুরের স্থানীয় বিষয় সম্পর্কে ধারণা থাকায় মন্তব্য করেছিলেন-

‘সৈয়দপুর আসনে যুক্তফ্রন্ট প্রার্থী পরাজয় বরণ করবে।’

পরবর্তী সময়ে ভোটের ফলাফলও সেটাই হয়েছিল, অর্থাৎ সৈয়দপুর সম্পর্কে শেখ মুজিবের অনুমান সত্য হয়েছিল। নির্বাচনে সগীর হাশমী সৈয়দপুরের স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. জিকরুল হকের কাছে পরাজয় বরণ করেন। তবে এই আসনে মুসলিম লীগের প্রার্থী ছিলেন ডা. শাহানউদ্দিন। সমগ্র পাকিস্তানে ওই একটি আসনেই (সৈয়দপুরে) যুক্তফ্রন্ট পরাজয় বরণ করেছিল। তবে শেষ অবধি ডা. জিকরুল হক আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবেই শপথ গ্রহণ করেন।

দবিরউদ্দিন আহমদ ১৯৫৪ সালে মুসলীম লীগ প্রার্থী মশিউর রহমান যাদু মিয়াকে দুই হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে পূর্ব পাকিস্তান আইন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৫৪ সালে পূর্ব পাকিস্তানে প্রথম সাধারণ নির্বাচনের তারিখ ঘোষিত হলে মুসলীম লীগ সরকারকে সংঘবদ্ধভাবে নির্বাচনে মোকাবিলা করার জন্য শের-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে মুক্তি সনদ ২১ দফার ভিত্তিতে গঠিত হয় যুক্তফ্রন্ট।

১৯৫৪ সালে নীলফামারী সদর, কিশোরগঞ্জ ও জলঢাকা থানা নিয়ে সৃষ্ট নির্বাচনী এলাকায় খয়রাত হোসেন যুক্তফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মুসলিম লীগের প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব একই নির্বাচনী এলাকার কাজী আবদুল কাদেরের সাথে। যুক্তফ্রন্টের সেই নির্বাচনে খয়রাত হোসেন এত জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন যে পুরো নির্বচনী এলাকায় স্থানীয়ভাবে একটাই রব উঠেছিল-

‘খয়রাতের ভোটের জন্য হাঁস, মুরগি, হাঁড়ির জিয়ল মাছ পর্যন্ত খয়রাত! খয়রাত! করেছিল।’

১৯৫৪ সালে নির্বাচনের সময় খয়রাত হোসেন ৩০-৪০ মাইল নির্বাচনী এলাকায় সাইকেল, গরুর গাড়িতে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছিলেন। তিনি নির্বাচনের পূর্বেই নীলফামারীর বিভিন্ন প্রান্তিক অঞ্চলে নিরলস পরিশ্রম করে সংগঠন গড়ে তুলেছিলেন। কোনো প্রকার মাইক ছাড়াই খালি গলায় নীলফামারী মহকুমার বিভিন্ন নির্বাচনী জনসভায় বক্তৃতা করেছিলেন। শুধু নীলফামারী নয়; বরং সমগ্র উত্তরবঙ্গ তথা পূর্ব পাকিস্তানে কেউ তাঁর সমকক্ষ ছিলেন না। ১৯৫৪ সালে খয়রাত হোসেন নীলফামারী মহকুমার নীলফামারী সদর, কিশোরগঞ্জ ও জলঢাকা নির্বাচনী এলাকা থেকে মুসলীম লীগের প্রভাবশালী প্রার্থী কাজী আব্দুল কাদেরকে ৬০ হাজার ভোটের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করেছিলেন। নীলফামারীর খয়রাত হোসেন যুক্তফ্রন্টের মনোনয়নে পূর্ব পাকিস্তান আইন সভার সদস্য নির্বাচিত হন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সাথে খয়রাত হোসেনের নিবিড় যোগাযোগ ছিল। ১৯৫৪ সালের এপ্রিলে অনুষ্ঠিত পাকিস্তানের প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব পূর্ববঙ্গ আইন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়ে কৃষি ও বন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ১৯৫৬ সালে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ কোয়ালিশন সরকারে যোগ দিয়ে শিল্প, বাণিজ্য, শ্রম, দুর্নীতিরোধ ও গ্রামীণ সহায়তা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। আতাউর রহমান খানের মুখ্যমন্ত্রিত্বে গঠিত কোয়ালিশন সরকারের অন্যতম মন্ত্রী হন খয়রাত হোসেন। তিনি কৃষি, পশু পালন ও পশু চিকিৎসা মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বৃহত্তর রংপুর জেলার একজন সফল মন্ত্রী হিসেবে সুনাম অর্জন করেন নীলফামারী মহকুমার এই কৃতী সন্তান।

সীমান্তবর্তী জেলা হিসেবে নীলফামারীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আগমন নীলফামারী অঞ্চলের রাজনৈতিক ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য অধ্যায়। এ অঞ্চলে তাঁর আগমন নিঃসন্দেহে স্থানীয় জনসাধারণের মাঝে রাজনৈতিক সচেতনতা সৃষ্টি করেছিল। তিনি তাঁর প্রতিটি সফরে নীলফামারীর বিভিন্ন স্থানে জনসভা করেছিলেন। যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনের আগেও তিনি নীলফামারী সফর করেছিলেন এবং যুক্তফ্রন্টের প্রার্থীদের বিজয় নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন সাংগঠনিক তৎপরতা নিয়ে কাজ করেছেন। ফলে নীলফামারী অঞ্চলের মানুষ ধীরে ধীরে রাজনৈতিক অধিকারের বিষয়ে সচেতন হতে শুরু করে।

লেখক : আইনজীবী ও পিএইচডি গবেষক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

(মতামত লেখকের নিজস্ব। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে)

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত