1032
Published on নভেম্বর 4, 2021স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে চলমান কপ–২৬ জলবায়ু আলোচনা এগিয়ে নিতে প্রভাব রাখছেন এমন পাঁচ প্রভাবশালী আলোচকের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম বিবিসি। এ তালিকায় রয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ বিষয়ে গত মঙ্গলবার প্রকাশিত বিশেষ প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যমটি বলছে, কপ–২৬ সম্মেলনের সফলতা কিংবা ব্যর্থতা অনেকাংশে নির্ভর করছে প্রভাবশালী এই পাঁচ ব্যক্তির ওপর।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা মানুষের মুখপাত্র হিসেবে উল্লেখ করেছে বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ও ঝুঁকিতে থাকা ৪৮ দেশের জোট ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের হয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি একজন অভিজ্ঞ ও স্পষ্টভাষী রাজনীতিবিদ। জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় তাঁর বাস্তব অভিজ্ঞতা রয়েছে। গত বছরও বাংলাদেশের চার ভাগের এক ভাগ ভূমি বন্যার পানিতে তলিয়ে গিয়েছিল। জলবায়ু সম্মেলনে নিজের অভিজ্ঞতার কথা শুনিয়েছেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনার ভূমিকার বিষয়ে যুক্তরাজ্যের কার্ডিফ ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশ্লেষক জেন অ্যালান বলেন, শেখ হাসিনার মতো একজন মানুষ যখন জলবায়ু সম্মেলনে কথা বলেন এবং মানবিকভাবে নিজের অভিজ্ঞতার কথা শোনান, তখন বিশ্বনেতাদের জলবায়ু পরিবর্তনের আসল চিত্র সম্পর্কে জানার সুযোগ তৈরি হয়।
শুধু তাই নয়, শেখ হাসিনার মাধ্যমে জলবায়ু সম্মেলনে গরিব, উন্নয়নশীল এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলো নিজেদের জোরালো কণ্ঠস্বর তুলে ধরতে পারছে। আলোচনা এগিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়ায় নিজেদের কথাগুলো উচ্চারণ করতে পারছে।
জেন অ্যালান বলেন, অর্থনৈতিক গুরুত্ব ছাপিয়ে এসব দেশের কণ্ঠস্বর বিশ্বদরবারে তুলে ধরছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কেননা ক্ষতিগ্রস্ত হিসেবে একদিকে এসব দেশের কথা বলার নৈতিক অধিকার রয়েছে। অন্যদিকে জাতিসংঘের আওতায় গৃহীত যেকোনো সিদ্ধান্তের ভালো কিংবা খারাপ যেকোনো ফলাফল সরাসরি ভোগ করতে হবে এসব দেশকেই। মূলত এ কারণে কপ–২৬–এর আলোচনা প্রক্রিয়ায় শেখ হাসিনা একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষতিগ্রস্ত ও ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলো গ্লাসগোয় সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে এসেছে, এমনটাই মন্তব্য করেছেন কপ–২৬–এ অংশ নেওয়া বাংলাদেশি আলোচক কামরুল চৌধুরী। তিনি বলেন, এসব দেশের ১০০ কোটির বেশি মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের ফাঁদে আটকে পড়েছেন। তাঁরা এ ফাঁদ থেকে বেরোতে চান। তাঁরা চান শিল্পোন্নত ও ধনী দেশগুলো প্যারিস জলবায়ু চুক্তির শর্ত মেনে নিঃসরণ কমিয়ে আনুক ও ক্ষতিপূরণ দিক। ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষে শেখ হাসিনা তাঁর বক্তব্যগুলোয় বারবার এসব দাবি তুলেছেন।