ইতিহাসের স্বর্ণযুগে বাংলাদেশ : নেতৃত্বে দেশরত্ন শেখ হাসিনা

1442

Published on সেপ্টেম্বর 28, 2021
  • Details Image

মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম রাসেলঃ

বঙ্গবন্ধুতনয়া গণতন্ত্রের মানসকন্যা, মাদার অব হিউম্যানিটি খ্যাত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার জন্মদিন ২৮ সেপ্টেম্বর। যে বাংলাদেশ এক সময় পরিচিতি সমস্যায় ভুগতো, সেই বাংলাদেশ এখন সমগ্র বিশ্বে পরিচিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এবং তাঁরই কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার কারণে। যে বাংলাদেশ যাত্রা শুরু করেছিল শূন্য হাতে সেই বাংলাদেশ এখন মহাশূন্যে উপগ্রহ পাঠায়, নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতু বানায়। ধ্বংসস্তূপের উপর দাঁড়িয়ে যে দেশটি যাত্রা শুরু করেছিল, অনেক ঘাত-প্রতিঘাত ও চড়াই উৎরাই পেরিয়ে সেই বাংলাদেশ এখন বিশ্বের চোখে এক বিস্ময়। এই কৃতিত্বের দাবিদার বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। কারণ তাঁর নেতৃত্ব না হলে এই কঠিন পথ পাড়ি দেওয়া সম্ভব হতো না। শেখ হাসিনা এখন শুধু একজন প্রধানমন্ত্রী নন, তিনি একজন বিশ্ব নন্দিত রাষ্ট্রনায়ক।

বাংলাদেশে বর্তমানে সাক্ষরতার হার ৭৩.২%। ২০৩২ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের বড় ২৫টি অর্থনীতির দেশের একটি হবে। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের ১৪৫টি দেশে বাংলাদেশের ওষুধ রপ্তানি হচ্ছে। ২০০৯ সালে রপ্তানি আয় ছিল ১.২৬ বিলিয়ন ডলার, আর ২০১৮ সালে রপ্তানি আয় বৃদ্ধি পেয়ে হয় ৪১.১ বিলিয়ন ডলার। প্রবৃদ্ধির হার ২০০৯ সালে ছিল ৫.৭৪, তা বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৮ সালে হয় ৭.৮৬। বৈদেশিক বিনিয়োগ ২০০৯ সালে যেখানে ছিল ৯৬.১ কোটি ডলার, ২০২০ সালে এসে তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৩৭২.৮০ কোটি ডলারে। ২০০৯ সালে খাদ্য উৎপাদন ছিল ৩৪৭ লক্ষ মেট্রিক টন, বর্তমানে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৪০০ লক্ষ মেট্রিক টন। বিদ্যুৎ আওতাধীন জনগোষ্ঠী ২০০৯ সালে ছিল ৪৭%, বর্তমানে তা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৯৭%। বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২০০৯ সালে যেখানে ছিল ৪,৯৪২ মেগাওয়াট, বর্তমানে তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ২৩,৫৪৮ মেগাওয়াটে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০০৯ সালে ছিল ১ বিলিয়ন ডলার, আর ২০২০ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৩৯ বিলিয়ন ডলারে। মাথাপিছু আয় ২০০৯ সালে ছিল ৭১০ ডলার, বর্তমানে তা বৃদ্ধি পেয়ে হয় ২,০৬৪ ডলার। রেমিটেন্স আয় ২০০৯ সালে ছিল ৯.৭ কোটি ডলার, বর্তমানে বৃদ্ধি পেয়ে তা ১৮.০৩ কোটি ডলার। গড়আয়ু ২০০৯ সালে ছিল ৬৬.৮ বছর, বর্তমানে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৭২.৬ বছর হয়েছে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম জেন্ডার গ্যাপ ইনডেক্সে অবস্থান ২০০৯ সালে ছিল ৯৩তম, বর্তমানে তা ৫০তম। দারিদ্র্যের হার ২০০৯ সালে যেখানে ছিল ৩৪%, হ্রাস পেয়ে তা ২০২০ সালে হয় ২০.৫%। করোনা ভাইরাসের মহামারীতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর পক্ষ থেকে ১ কোটি ২৫ লাখ ৮ হাজার ৮১ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা এবং ১০ কোটি ৫২ লক্ষ ১৮ হাজার টাকা নগদ অর্থ সহায়তা দেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ছিল কৃষিপ্রধান দেশ। কৃষিপ্রধান থেকে শিল্প ও সেবাপ্রধান অর্থনীতিতে উত্তরণের ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে আধুনিকায়ন এসেছে। এখন জিডিপিতে কৃষির অংশ ১৩ শতাংশ। শিল্প এবং সেবার অংশ যথাক্রমে ৩৫ ও ৫২ শতাংশ। ১৯৭৫-৭৬ সালে বাংলাদেশ মাত্র ৩৮০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রপ্তানি ৪০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের দ্বিতীয় প্রধান তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশের সাফল্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সবচেয়ে বেশি আলোচিত। শত প্রতিকূলতার মধ্যেও উল্লেখযোগ্য হারে দারিদ্র্য হ্রাসে বাংলাদেশের অগ্রগতিকে সম্মান জানাতে ২০১৬ সালে আন্তর্জাতিক দারিদ্র্য বিমোচন দিবসে বাংলাদেশে এসেছিলেন বিশ্বব্যাংকের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭৩-৭৪ সালে বাংলাদেশে দারিদ্র্য পরিস্থিতির প্রথম হিসাব করা হয়। ওই সময় দেশে দারিদ্র্যের হার ছিল ৮২ শতাংশ। সর্বশেষ প্রকাশিত খানা আয় ও ব্যয় জরিপ অনুযায়ী ২০১৬ সালে দারিদ্র্যের হার দাঁড়ায় ২৪.৩ শতাংশ। ২০১৯ সালে দারিদ্র্যের প্রাক্কলিত হার ২০.৫ শতাংশ। বাংলাদেশের নারীরা আজ স্বাবলম্বী। জেন্ডার গ্যাপ ইনডেক্স-এ ১৫৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৫০তম এবং নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে ৭ম। সারাদেশে ১০০ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, দুই ডজনের বেশি হাইটেক পার্ক এবং আইটি ভিলেজ নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলছে। গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)-এর নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুনের মতে, ‘স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশের যাত্রা মসৃণ ছিল না। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ একটি দরিদ্র ও বৈচিত্র্যহীন অর্থনীতি হাতে পায়। আগে থেকেই এ অঞ্চলের অর্থনীতি ছিল কৃষিপ্রধান এবং উৎপাদনশীলতা ছিল খুব কম। শিল্প ও সেবা খাত ছিল খুব অনুন্নত। এর সঙ্গে ছিল দ্রুত বর্ধনশীল জনসংখ্যা এবং দুর্বল অবকাঠামো। এসব বাধা-বিপত্তি সত্ত্বেও বাংলাদেশ গত পাঁচ দশকে অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক অগ্রগতি অর্জন করেছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বিভিন্নভাবে জনগণের সামাজিক জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। দারিদ্র্য কমেছে উল্লেখযোগ্যহারে। মানুষের আয়ুষ্কাল অনেক বেড়েছে। আশির দশকের তুলনায় মাতৃমৃত্যুর হার কমেছে প্রায় ৪ গুণ এবং শিশুমৃত্যুর হার কমেছে প্রায় ৫ গুণ। এছাড়া আরও অনেক দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়েছে। ৫০ বছরে এসে দেশের এসব অর্জন অবশ্যই গৌরবের।’ বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রায় ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা আজ শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যন্ত ব্রডব্যান্ড সুবিধা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।  ‘বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট’-এর সুবিধা কাজে লাগিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে এক বৈল্পবিক পরিবর্তন সূচিত হয়েছে। মুজিব শতবর্ষে দেশের সকল গৃহহীন মানুষকে পর্যায়ক্রমে ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে ৮ লাখ ৯২ হাজার গৃহহীনকে ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে। ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ)-এর গণতন্ত্র সূচক-২০২০ এ চার ধাপ অগ্রগতি হয়েছে বাংলাদেশের। ৫ দশমিক ৯৯ স্কোর নিয়ে সূচকে ১৬৫টি দেশ ও দুটি অঞ্চলের মধ্যে ৭৬তম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। গত বছর ৫ দশমিক ৮৮ স্কোর নিয়ে সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৮০তম। ৫টি মানদণ্ডে ১০ পয়েন্ট ধরে বিভিন্ন দেশের গণতান্ত্রিক পরিস্থিতির বিচার করে প্রতি বছর প্রতিবেদন প্রকাশ করে (ইআইইউ)। এগুলো হলো: নির্বাচনী-ব্যবস্থা ও বহুদলীয় অবস্থান, সরকারের সক্রিয়তা, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ, রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং নাগরিক অধিকার। এ তালিকায় ভুটান রয়েছে ৮৪তম, নেপাল ৯২তম, পাকিস্তান ১০৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশ আজ দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বে ধান উৎপাদনে তৃতীয়, মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে চতুর্থ, সবজি উৎপাদনে চতুর্থ, আলু উৎপাদনে সপ্তম। মাছ-মাংস, ডিম, শাকসবজি উৎপাদনেও স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ। অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ে মাছ উৎপাদন বৃদ্ধির হারে বাংলাদেশ দ্বিতীয় অবস্থানে এবং ইলিশ উৎপাদনকারী ১১ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান প্রথম। 

বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের শ্রেণীকরণে ২০১৫ সালের ১ জুলাই নিম্ন আয় থেকে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়। মাথাপিছু আয় বৃদ্ধিতে ধারাবাহিক উন্নতির কারণে বাংলাদেশ এ তালিকায় আসে। ২০১৮ সালের মার্চ মাসে জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি বাংলাদেশকে এলডিসি থেকে উত্তরণের যোগ্য বলে স্বীকৃতি দেয়। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ওই কমিটি বাংলাদেশকে উত্তরণের জন্য চূড়ান্ত সুপারিশ করে। মাথাপিছু আয়ের পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ অন্যান্য সামাজিক সূচকে উন্নতি এবং অর্থনীতির সক্ষমতার বিচারে বাংলাদেশকে এলডিসি থেকে উত্তরণের যোগ্য বলে মনে করেছে জাতিসংঘ। ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে বের হয়ে ভারত, চীন, মালয়েশিয়ার মতো এলডিসি নয় এমন উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যাবে বাংলাদেশ। ২০২০ সালে দ্য ইকোনোমিস্ট ৬৬টি সবল অর্থনীতির তালিকা প্রকাশ করে, যেখানে বাংলাদেশের অবস্থান নবম। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য বা এমডিজি’র অনেক সূচক অর্জন করে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি কেড়েছে বাংলাদেশ। এমডিজিতে ২০১৫ সালের মধ্যে দারিদ্র্যের হার কমিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি হারে কমাতে বাংলাদেশ সক্ষম হয়। এমডিজি অর্জনের জন্য বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছে বাংলাদেশ। নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ভারতীয় অর্থনীতিবিদ অর্মত্য সেন তাঁর ভারত : উন্নয়ন ও বঞ্চনা গ্রন্থে লিখেছেন, বাংলাদেশ সামাজিক উন্নয়নের পথে দ্রুত এগিয়ে যাবে, এ কথা কেউ ভাবেনি। দেশ স্বাধীনের পর অনেকেই তখন বলেছিলেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। কেউ কেউ তাকে ‘বাস্কেট কেস’ বলে খরচের খাতায় ফেলে দিয়ে বলেছিলেন, এ দেশকে কোনো অর্থনৈতিক সাহায্য দেয়াই উচিত নয়। কারণ, সে জনসংখ্যা বিস্ফোরণের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে খাদ্য উৎপাদন করে উঠতে পারবে না। তিনি আরও বলেছেন, জীবনমানের নানা সুপ্রচলিত মাপকাঠিতে বাংলাদেশ কেবল ভারতের চেয়ে অনেক ভালো করছে না, অনেকটা এগিয়েও গেছে। অনেক সামাজিক সূচক, যেমন: গড় আয়ু, শিশুমৃত্যুর হার, টিকা দেওয়ার মাত্রা, সনাতন প্রজননের হার এবং এমনকি স্কুলশিক্ষার কিছু মাপকাঠিতে বাংলাদেশ ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে।

বৈশ্বিক মহামারী করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত কার্যকর পদক্ষেপের কারণে বিশ্বের উন্নত দেশের চেয়েও এই সংকট ভালভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ, যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ অবকাঠামোগত উন্নয়নে এসেছে নতুন যুগ। স্বীকার করতে হবে, বর্তমান সরকারের টানা তিন মেয়াদে মুক্তিযুদ্ধের ধারায় দেশ ফিরে এসেছে। বঙ্গবন্ধুর খুনী ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্ভব হয়েছে। দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। দক্ষিণ এশিয়ায় কূটনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান সুদৃঢ়। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত মোকাবিলায় বাংলাদেশকে অনুসরণ করছে অন্যান্য দেশ। করোনা ভাইরাসের বৈশ্বিক অতিমারিতেও বাংলাদেশকে দাবায়ে রাখা যায়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার এই অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে। করোনা মোকাবিলার সক্ষমতায় বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম ও বিশ্বে বিশতম। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি মোকাবিলা, নারীর ক্ষমতায়ন, সামাজিক নিরাপত্তা বিধান, অত্যন্ত দক্ষতার সাথে কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণ এবং অনেক উন্নত দেশকেও পেছনে ফেলে জনগণের জন্য ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করা প্রভৃতি বিশ্বের জন্য অনুকরণীয়। সামাজিক-অর্থনৈতিক-অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ নানা সূচকে আজকের বাংলাদেশের যে অগ্রগতি-অবস্থান তা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নিকট রোল মডেল।

সত্যিকার অর্থেই বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলছে প্রিয় স্বদেশ। বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের বিস্ময়কর রোল মডেল। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ স্বল্প উন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ অর্জন করেছে। নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত পদ্মাসেতু এখন পুরোপুরি দৃশ্যমান। বাস্তবায়িত হচ্ছে মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু টানেল ও রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মতো বহু মেগা প্রকল্প। বৈশ্বিক মহামারী করোনা মোকাবিলায় সরকারের গৃহীত কার্যকর পদক্ষেপের কারণে বিশ্বের উন্নত দেশের চেয়েও এই সংকট ভালভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে সরকারের কর্মকাণ্ডের ভূয়সী প্রশংসা করেছে আন্তর্জাতিক বিশ্ব। নারীর ক্ষমতায়ন, নারী শিক্ষা, বিনামূল্যে বই বিতরণ, মাতৃ ও শিশু মৃত্যু হ্রাস, শতভাগ বিদ্যুতায়ন, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি, গড় আয়ু বৃদ্ধি, জীবন মানের উন্নয়ন, ব্যাংকের রিজার্ভ, রেমিট্যান্স, রপ্তানি আয়, প্রবৃদ্ধিসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রতিটি সূচকে এগিয়ে গেছে প্রিয় বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের জনগণকে রাজনৈতিক মুক্তি প্রদান করেন, আর বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা তাঁর সুযোগ্য ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ক্ষুধা ও দারিদ্রকে জয় করে দেশের জনগণকে অর্থনৈতিক মুক্তি প্রদান করার মধ্য দিয়ে বিশ্বসভায় একটি উন্নয়নশীল এবং মর্যাদাবান জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

লেখকঃ সদস্য, প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ; সাবেক উপ-প্রচার সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ; সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক, কবি জসীমউদ্দিন হল ছাত্রলীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

(মতামত লেখকের নিজস্ব। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে)

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত