শোক দিবস উপলক্ষ্যে কৃষক লীগের আলোচনা সভা ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

635

Published on সেপ্টেম্বর 1, 2021
  • Details Image

৩১ আগস্ট ২০২১ মঙ্গলবার বিকেল ৩ টায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ২০২১ পালনে বাংলাদেশ কৃষক লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কৃষকরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা এমপি’র পক্ষ থেকে কম সৌভাগ্যবান মানুষদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, মাননীয় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী জননেতা জনাব ওবায়দুল কাদের এমপি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জননেতা মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক জননেতা মির্জা আজম এমপি, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ। সভা সঞ্চলনা করেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাননীয় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী জননেতা জনাব ওবায়দুল কাদের এমপি বলেন যে, ২০০ বছরের ইতিহাসে সকল অন্যায়ের প্রতিবাদ ও আন্দোলন সংগ্রামে কৃষকের অবদানের বিভিন্ন বর্নণা দেন যে সিপাহী বিদ্রোহ থেকে বিভিন্ন আন্দোলন ও সংগ্রাম পুঞ্জিভূত হলেও স্বাধীনতা আসে নাই। স্বাধীনতা এসেছে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ও সংগ্রামে ফলশ্রুতিতে। স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে টুঙ্গিপাড়ায় মার্কিন কাপড়ে ,৫৭০ সাবানে গোসল দিয়ে ১৮ জন মানুষ জানাজা দিয়ে দাফন করে ,যার সবটাই জিয়াউর রহমানের মস্তিষ্কপ্রসূত। অজপাড়াগায় সেই টুঙ্গিপাড়া আজ বাঙালির তীর্থস্থানে পরিণত হয়েছে।

সভাপতির ভাষণে কৃষিবিদ সমীর চন্দ বলেন যে, বাংলাদেশ কৃষক লীগকে সুসংগঠিত করার জন্য মাত্র ১৮ মাসে ১০০০ ইউনিয়ন কৃষক লীগের সম্মেলনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা হয়েছে। আমরা আগামী ৩, ৪ মাসের মধ্যে আরো ১০০০ ইউনিয়নে সম্মেলনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করবো আশা করি। ১ বছরে ৪০ লক্ষ গাছের চারা রোপন করে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করার চেষ্টা করা হয়েছে। করোনার ভয়াবহতার মধ্যে কৃষি শ্রমিক না পাওয়ার কারণে কৃষক লীগ স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে ধান কেটে ঝাড়াই মাড়াই করে কৃষকের গোলায় তুলে দিয়েছে।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জননেতা মাহবুব উল হানিফ এমপি বলেন যে, কৃষক লীগের সুশৃঙ্খলতা ও আধুনিকতা সকলের দৃষ্টি কেড়েছে। আমরা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কৃষক লীগকে অভিনন্দন জানাই। বঙ্গবন্ধুর ৪৬ তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন ৭ মার্চের অনবদ্য দ্ব্যার্থহীন কন্ঠে স্বাধীনতার ঘোষণা বাংলার কৃষক শ্রমিক সাধারণ মানুষকে স্বশস্ত্র যুদ্ধে উদ্বুদ্ব করেন। ৯ মাস যুদ্ধের মাধ্যমে পৃথিবীর মানচিত্রে বাঙালি জাতির নিজস্ব একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি বলেন, ৭১ এর পরাজিত শক্তির মদদে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয় যার প্রত্যক্ষ বেনিফিশিয়ারী জিয়াউর রহমান। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধে ইনডেমনিটি আদেশ সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করে এবং জেলজত্যা কান্ডের পর হত্যাকারীদের বিদেশী দূতাবাসে চাকরি দেয়। জিয়াউর রহমান গোলাম আজমকে এদেশে ফিরিয়ে আনে এবং শাহ আজীজ, আব্দুল আলীমকে মন্ত্রী বানায়। ২০০১ সালে অনুরূপভাবে খালেদা জিয়া নিজামী ও মোজাহিদকে মন্ত্রী বানায়। পাকিস্তান প্রীতির এমন নজীর বিরল।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি বলেন যে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের মধ্যে কৃষক লীগ সবচাইতে সুশৃঙ্খল ও ডিজিটাল সংগঠনে রূপান্তরিত হয়েছে যা অন্যান্য সংগঠনের জন্য অনুকরণীয় হতে পারে। তিনি বাংলাদেশের বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামের ধারাবাহিক বর্ণণা দিয়ে জেল, জুলুম, অত্যাচার, নির্বাচন ও স্বাধীকার স্বায়ত্বশাসনের আন্দোলন ও অভ্যুথানের পরিসমাপ্তি, মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব ও বাঙালির স্বাধীন রাষ্ট্র কায়েমের বিজয়গাথা বর্ননা করেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী তার বক্তব্যে বাংলাদেশ কৃষক লীগ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শাহাদত বার্ষিকী পালন করায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন এখনো বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তিনি বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ ও মহিমার অজানা কথা সারাদেশে কৃষকের মাঝে প্রচার করার পরামর্শ দেন।
বাংলাদেশ কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি বলেন যে, বাংলাদেশ কৃষক লীগ ১ আগস্ট রক্তদান কর্মসূচীর মাধ্যমে জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচী শুরু করে বঙ্গবন্ধুর রক্তের ঋণ পরিশোধের চেষ্টা করে যাচ্ছে। সারা মাসব্যাপি ৩১ আগস্ট পর্যন্ত কৃষক লীগের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে খাদ্য সামগ্রী বিতরণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করে।

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের সহ—সভাপতি আলহাজ্ব শেখ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, আলহাজ্ব আকবর আলী চৌধুরী, মহাবুবউল আলম শান্তি, হোসনে আরা বেগম এমপি, কৃষিবিদ ড. নজরুল ইসলাম, রেজাউল করিম হিরন, কৃষিবিদ শাখাওয়াত হোসেন সুইট, আলহাজ্ব মাকসুদুল ইসলাম, যুগ্ম—সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটু, এ্যাড. শামীমা শাহরিয়ার এমপি, আলহাজ্ব একেএম আজম খান, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. গাজী জসিম উদ্দিন, আসাদুজ্জামান বিপ্লব, কৃষিবিদ ড. হাবিবুর রহমান মোল্লা, সৈয়দ সাগিরুজ্জামান শাকীক, নূরে আলম সিদ্দিকী হক, অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম পানু, হিজবুল বাহার রানা, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য এ্যাড. রুমানা আলী টুসি, আলহাজ্ব মোঃ নাজির মিয়া, রেজাউল করিম রেজা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কৃষক লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুস সালাম বাবু, ঢাকা জেলা দক্ষিণ কৃষক লীগের সভাপতি আলহাজ্ব জাকিউদ্দিন আহমেদ রিন্টু, ঢাকা মহানগর উত্তর কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ হালিম খান, ঢাকা জেলা দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন, ঢাকা জেলা উত্তর কৃষক লীগের সদস্য সচিব আহসান হাবীব।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ ১৫ আগস্টের সকল শহীদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কৃষকরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা এমপি সহ আওয়ামী পরিবারের সকলের দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত শেষে কম সৌভাগ্যবান মানুষদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত