বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী জিয়াউর রহমান ছিলেন পাকিস্তানের এজেন্ট

790

Published on আগস্ট 25, 2021
  • Details Image

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। তিনি ছিলেন পাকিস্তানের এজেন্ট। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জিয়াউর রহমানের সম্পৃক্ততা ছিল। জিয়া তার সকল কর্মকান্ডের মাধ্যমে প্রমাণ রেখে গেছেন তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিলেন। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে জিয়াউর রহমান ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেন। স্বাধীনতাবিরোধী গোলাম আযমকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দিয়ে রাজনীতি করার সুযোগ করে দেন। এর মাধ্যমে প্রমাণ হয় জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিলেন।

মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) সদর দফতর রমনায় শহীদ প্রকৌশলী ভবনের কাউন্সিল হলে বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের উদ্যোগে 'জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা ও ১৫ আগস্টের সকল শহীদদের স্মরণে' আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী এম. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)’র প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মো. নূরুল হুদা, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. নূরুজ্জামান প্রমুখ।

মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, কোন মুক্তিযোদ্ধা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকতে পারে না। জিয়াউর রহমান কখনোই মুক্তিযুদ্ধ করেনি। সে পাকিস্তানের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করে গেছেন। যদি সে মুক্তিযুদ্ধ করত তাহলে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা সে করতে পারত না। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি আসলে কখনো প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। তিনি আরো বলেন, জিয়াউর রহমান যদি বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনার সাথে না থাকেন তাহলে কেন বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার করলেন না? কেন তাদের পুরস্কৃত করেছেন? তিনি তাদেরকে বিদেশে পাঠিয়ে টাকা পয়সা দিয়ে পুরস্কৃত করেছেন এবং গুরুত্বপূর্ণ পদে চাকরি দিয়েছেন। তার যদি সম্পৃক্ততা না থাকে তবে কেন এসব কর্মকাণ্ড করেছিলেন? এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে প্রমাণ হয় বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের কারিগর ছিলেন জিয়াউর রহমান। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচারের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকর করা হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদসু সবুর বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দীর্ঘ সংগ্রামের ফলে আমরা পেয়েছি একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা উত্তর কালে মাত্র সাড়ে তিন বছরে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পূণর্গঠনের জন্য প্রকৌশলীদের সাথে নিয়ে কাজ করেছেন। কিন্তু ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের সকলকে হত্যা করার মাধ্যমে দেশের অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্থ করে দেশকে পাকিস্তানের ভাবধারায় নিয়ে যায় খুনি জিয়া-মোস্তাক চক্র। পরবর্তিতে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দৃঢ নেতৃত্বের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত করেছেন যা সারা বিশ্বে শেখ হাসিনা মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। বঙ্গবন্ধু যদি বেঁচে থাকতেন তাহলে ২০৪১ সালে নয় ২০২০ এর মধ্যেই আমরা উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশের সকল সুযোগে সুবিধা ভোগ করতাম।

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত