মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের প্রতিবাদে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি’র বিবৃতি

968

Published on আগস্ট 16, 2021
  • Details Image

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি আজ এক বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিবৃতির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। বিবৃতিতে তিনি তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, বর্তমান সরকার গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের উপর প্রতিষ্ঠিত সরকার, কারও উপর দমন-পীড়নে বিশ^াসী নয়। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আইনের শাসন ও বিচারের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর। যেসব ব্যক্তি বা সংগঠন রাষ্ট্রের শান্তি-শৃঙ্খলা পরিপন্থী বা জননিরাপত্তা ভঙ্গ ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একজন ছাত্রদল নেতার জামিন না হওয়ায় নিলর্জ্জভাবে সরকারের সমালোচনা করেছেন। অথচ যে কোন ব্যক্তির জামিন প্রাপ্তি একটি সুনির্দিষ্ট আইনি প্রক্রিয়া, এটি সম্পূর্ণ আদালতের এখতিয়ার। এখানে সরকারকে দোষারোপের বিষয়টি রাজনৈতিকভাবে সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আসলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ধান ভানতে শিবের গীত গাইতে চেয়েছেন। ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস, বাঙালি জাতির জীবনে এক গ্লানিময় অপবিত্র অধ্যায়। এই দিনে জাতির পিতাকে হত্যার বেনিফিশিয়ারি গ্রুপ এবং খুনীদের পৃষ্ঠপোষকতাকারীদের প্রতিনিধি হিসেবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তথাকথিত ভয় ও আতঙ্কের গল্পের আড়ালে বাঙালির কষ্টার্জিত আইনের শাসনের প্রতি যে রক্তচক্ষু প্রদর্শন করেছেন বাঙালি জাতি তার পরোয়া করে না। ১৫ই আগস্টের ইতিহাসের বিয়োগান্তক অধ্যায় থেকে বাঙালি জাতি শিক্ষা গ্রহণ করে সকল প্রকার ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করবে।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার দেশকে কখনোই বিএনপি শুন্য করতে চায় নি, এটি আওয়ামী লীগের রাজনীতিও নয়। বরং বিএনপি নীতিবিবর্জিত হত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্রের রাজনীতিকে বৈধতা দিয়েছে। এমনকি ২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে নারকীয় গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে। অতীত কর্মকাণ্ডের ফল হিসেবে বিএনপি আজ নিশ্চিহ্ন প্রায়। বিএনপি রাজনৈতিক মাঠে নয়, নিরপত্তা বেষ্টনীতে বসে শুধুমাত্র লিপ সার্ভিসের মাধ্যমে গণমাধ্যমের উপর ভর করে টিকে আছে। আসলে বিএনপি ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়নি, নিবেও না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মধ্য দিয়ে অবৈধ ও অসাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী সেনাশাসক জিয়াউর রহমান সেনা আইন ও সংবিধান লংঘন করে সেনা ছাউনিতে দলটি প্রতিষ্ঠা করেন। জন্মলগ্ন থেকেই বিএনপি যে কোন উপায়ে ক্ষমতা দখলে উন্মত্ত, গণতান্ত্রিক নিয়মনীতি রক্ষা করে রাষ্ট্র ও সরকার পরিচালনায় সর্বদা ব্যর্থ হয়েছে। তাই বিএনপির মিথ্যা-বানোয়াট-ভ্রান্তিমূলক বয়ান বাংলার জনগণ সবসময় ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশের রাজনীতিতে জনসাধারণের প্রতিনিধিত্ব প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছেন। স্বাধীনতার সুফল যখন বাংলার জনগণের নিকট পৌঁছে দিচ্ছিলেন তখনই দেশি-বিদেশি চক্র সম্মিলিতভাবে গভীর ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর পাকিস্তানি ভাবাদর্শের আদলে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী স্বৈরশাসক জিয়া ও এরশাদ বাংলাদেশকে খাদের কিনারায় নিয়ে যায়। আজ বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা তথা উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বিরামহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পরে খুনী-ঘাতকচক্র তাঁর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের চরিত্র হননের হীন অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল। তেমনিভাবে আজও একটি চিহ্নিত মতলবি মহল শেখ হাসিনা সরকার ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।

বিবৃতিতে তিনি শোকের মাস আগস্টে শোককে শক্তিতে পরিণত করে বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধভাবে সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।

জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।

তারিখ: ১৬ আগস্ট ২০২১
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত