1483
Published on আগস্ট 14, 2021মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম রাসেলঃ
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডও হঠাৎ ঘটে যাওয়া কোনো দুর্ঘটনা ছিল না। এই দিনে জাতির পিতাকে সপরিবারে নৃশংস ও নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। দেশের নির্বাচিত রাষ্ট্রপ্রধানকে পরিবারসহ এরূপ ভয়াবহভাবে হত্যারঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। ঘাতক খুনিচক্র এমন বর্বর হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশের অগ্রগতিকে চিরতরে স্তব্ধ করে দিতে চেয়েছিল। ধ্বংস করে দিতে চেয়েছিল জাতীয় মুক্তিসংগ্রামের সকল অর্জনকেÑরাষ্ট্রীয় চার মূলনীতি ও সংবিধানকে, আওয়ামী লীগকে, সর্বোপরি বঙ্গবন্ধুর চেতনাকে। অবৈধ পন্থায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে কুখ্যাত ‘ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ’ চাপিয়ে দিয়ে তৎকালীন সামরিক সরকার এই ঘৃণ্য মানবতাবিরোধী হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের পথ রুদ্ধ করে রেখেছিল। দীর্ঘ ২১ বছরের লড়াই-সংগ্রাম শেষে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার সরকার অবৈধ ইনডেমনিটি বিল সংবিধান থেকে অপসারণ করে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারের পথ সুগম করেন। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরে বাংলাদেশের জনগণের গণরায়ের ভিত্তিতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সরকার গঠন করে জাতির পিতার হত্যাকারীদের ফাঁসির রায় কার্যকর করে বাঙালি জাতি কিছুটা হলেও কলঙ্কমুক্ত হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর নিরাপত্তার কথা কেউ তাঁকে বলতে গেলে উল্টো তাদের বোঝাতেন। নূহ-উল-আলম এ প্রসঙ্গে লিখেছেন, আমরা তাঁর কাছে গিয়েছিলাম তাঁর নিরাপত্তার ব্যাপারে আমাদের উদ্বেগের কথা বলতে, সেই সঙ্গে সংবিধান সংশোধন করার পর কী কী পদক্ষেপ তিনি নিতে যাচ্ছেন, সে সম্পর্কে ধারণা দিতে। কিন্তু সেসব বলার আগেই তিনি আমাদের মনের কথা সব বলে দিলেন। বাইরের ষড়যন্ত্র, মার্কিনিদের চাপ, দৃষ্টিভঙ্গি, পাকিস্তান ও পেট্রো-ডলারের তৎপরতা এবং এসবের সঙ্গে দলের কারও কারও সংশ্লিষ্টতা ইত্যাদি সম্পর্কে কিছুটা খোলামেলা, কিছুটা আকারে-ইঙ্গিতে আমাদের বুঝিয়ে বললেন। বললেন, আওয়ামী লেিগর সীমাবদ্ধতার কথাও। ত্রিদলীয় গণ ঐক্য জোট বভভবপঃরাবষু কিছু করতে পারেনি, আওয়ামী লীগও একা পারেনি। বললেন, তাই তো সবাইকে নিয়ে নতুন জাতীয় দল করেছি। তোদের সবাইকে মিলে একটা একক ছাত্র সংগঠন করতে হবে। কৃষক, শ্রমিক, যুব সব হবে। সবাই মিলে কাজ করতে হবে। পুরো সিস্টেমের পরিবর্তন করতে হবে।... কপালে চিন্তার বলিরেখা। আবেগঘন হয়ে আসে তাঁর কণ্ঠস্বর।... বলেন, ‘ক্যাস্ট্রো পারলে আমি পারব না কেন! ক্যাস্ট্রো তো প্রথমে জাতীয়তাবাদী ছিলেন। প্রসঙ্গত, ১৯৭৩ সালে জোটনিরপেক্ষ শীর্ষ সম্মেলনে কিউবার রাষ্ট্রপতি ফিদেল ক্যাস্ট্রোর সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ আলাপচারিতার কথা বললেন। ক্যাস্ট্রো তাঁকে বলেছিলেন, ‘বিপ্লবের শত্রুদের বাড়তে দেওয়া ঠিক নয়। সুযোগ পেলেই তারা ছোবল হানবে।’ সতর্ক থাকতে বলেছিলেন ক্যাস্ট্রো। সতর্কতার কথা উঠতেই বললাম ৩২ নম্বর বাড়ির নিরাপত্তাহীনতার কথা। তাঁর প্রায় অরক্ষিত থাকার কথা। আমরা অনুরোধ করলাম তিনি যেন সপরিবারে গণভবনে উঠে যান। বিশাল মানুষটি হাসির ঝলকে কেঁপে উঠলেন। আমাদের কথা পাত্তাই দিলেন না। ধ্যানস্থ হয়ে বললেন, ‘দ্যাখ আমি আমারে নিয়ে ভাবি না।’ পরিহাসের সুরে হাসতে হাসতে বললেন, ‘আমারে বড়জোর ফাদারল্যান্ডে পাঠিয়ে দিতে পারে। সুকর্ণর মতো করতে পারে।...দেখলি না ইন্দোনেশিয়ায় কী ঘটেছে।...আমি তো সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চাই। আমার নিজের জন্য ভাবি না।’
বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার দু’বছর আগেই ১৯৭৩ সালে চিলির বিপ্লবী নেতা আলেন্দেকে হত্যা করে সাম্রাজ্যবাদের দালালরা সেদেশে প্রতিবিল্পব সংঘটিত করেছিল। বিষয়টি বঙ্গবন্ধু উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন। আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী এ প্রসঙ্গে লিখেছেন, “১৯৭৩ সালের দিকে চিলিতে... অশান্তি গোলযোগের কথা সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অজানা ছিল না। ১৯৭৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু আলজিরিয়ার রাজধানী আলজিয়ার্সে যান ৭৩ জাতি জোটনিরপেক্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে। তাঁর সফরসঙ্গী দলে আমিও ছিলাম। কথা ছিল এই সম্মেলনে চিলির প্রেসিডেন্ট আলেন্দেও যোগ দেবেন। কিন্তু তাঁর দেশে প্রচণ্ড শ্রমিক অসন্তোষের জন্য তিনি আলজিয়ার্সে আসতে পারেননি। কিন্তু আলজিরিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হুয়ারি বুমেদিনকে লেখা দীর্ঘ চিঠিতে তাঁর না আসতে পারার কারণ দর্শিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন। হুয়ারি বুমেদিন বঙ্গবন্ধুকে জানান, আলেন্দে লিখেছেন, তাঁর এই সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আগ্রহের পেছনে একটা কারণ ছিল বাংলাদেশ নামক নতুন স্বাধীন রাষ্ট্রের স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা এবং দুই দেশের সাম্রাজ্যবাদবিরোধী ভূমিকা সম্পর্কে আলোচনা করা। কিন্তু তাঁর দেশে সাম্রাজ্যবাদীদের অনুচররা এমন ব্যাপক গোলযোগ সৃষ্টি করেছে যে তিনি তা মোকাবিলায় ব্যস্ত এবং এই সংকট মুহূর্তে দেশ ছেড়ে আসতে পারছেন না। তবে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের তিনি সাফল্য কামনা এবং জোটনিরপেক্ষ সম্মেলনের উদ্দেশ্য ও কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।... আলজিয়ার্স সম্মেলন শেষে বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে আসেন। এর কিছুদিন পরেই আলেন্দেকে নির্মমভাবে হত্যা করা সিআইএ’র নীলনকশা অনুযায়ী ঘাতক জেনারেল পিনোচেট ক্ষমতা দখল করেন এবং চিলিতে শুরু হয় গণপীড়ন, নির্যাতন, সন্ত্রাস, গুম, খুন, ধর্ষণসহ নানা বর্বরতার এক দীর্ঘ অন্ধকারের যুগ। ঢাকায় গণভবনে বসেই বঙ্গবন্ধু আলেন্দে হত্যার খবরটি পেয়েছিলেন। ওই দিনই প্রয়াত এম আর আখতার মুকুলের সঙ্গে আমি গণভবনে গিয়েছিলাম। বঙ্গবন্ধু তাঁর বেডরুমে বিশ্রাম গ্রহণ করছিলেন। অত্যন্ত বিষণ্ন চেহারা ছিল তাঁর। মুকুলকে দেখে বললেন, ‘মুকুল, বলতে পার, পরবর্তী বুলেটের টার্গট কে? আমার বুকে হাত দিয়ে দেখো তো, বুলেটটা কোন জায়গা দিয়ে ঢুকবে।”
বঙ্গবন্ধু নিজের নিরাপত্তার ব্যাপারে ছিলেন উদাসীন। মেজর জেনারেল সুজান সিং উবান ১৯৭১ সালে স্পেশাল ফ্রন্টিয়ার ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন; যিনি পার্বত্য অঞ্চলে মুক্তিবাহিনীর পাশে থেকে যুদ্ধ করেছেন। জাতীয় রক্ষী বাহিনী গঠনে সহায়তা করার জন্য বঙ্গবন্ধুর অনুরোধে ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী ১৯৭৩ সালে উবানকে ঢাকায় প্রেরণ করেন। সুজান সিং উবান তাঁর স্মৃতিকথামূলক গ্রন্থ ফ্যান্টামস অব চিটাগং গ্রন্থে লিখেছেন, তিনি বঙ্গবন্ধুর ৩২ নম্বর বাড়িতে গিয়ে দেখেন বাড়িটি সম্পূর্ণ অরক্ষিত এবং সবার জন্য বাড়ির দরজা অবারিত। এ বিষয়ে তিনি বঙ্গবন্ধুর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘জনগণ আমাকে জাতির পিতা বলে ডাকে। তাদের জন্য তো আমার দরজা খোলা রাখারই কথা।’ ‘র’-এর এককালের শীর্ষ কর্মকর্তা আর কে যাদব তাঁর গ্রন্থ মিশন র’তে লিখেছেন, বাংলাদেশে যে একটি সামরিক অভ্যুত্থানের পরিকল্পনা হচ্ছে তা তাঁরা তাঁদের সোর্স থেকে জানতে পেরেছিলেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর অনুমতি নিয়ে ‘র’-এর অন্যতম নীতিনির্ধারক আর এন কাউ ১৯৭৪ সালের ডিসেম্বর মাসে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বঙ্গভবনে দেখা করে তাঁকে এই ষড়যন্ত্র সম্পর্কে অবহিত করলে বঙ্গবন্ধু তা হেসে উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ‘ওরা সবাই আমার সন্তান। ওরা আমার কোনো ক্ষতি করতে পারে না।’ কাউ হতাশ হয়ে দিল্লি ফিরে যান। ‘র’ ১৯৭৫ সালে সর্বশেষ আরেকজন কর্মকর্তাকে দিল্লি থেকে ঢাকা পাঠায়। তিনি বঙ্গবন্ধুকে এই সম্ভাব্য অভ্যুত্থানের ব্যাপারে শুধু একটি পূর্ণাঙ্গ চিত্রই দেননি, এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে কারা জড়িত তাদের নামও তাঁর কাছে প্রকাশ করেন। কিন্তু ফলাফল ছিল একই।
দেশ স্বাধীনের পর এক নতুন সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে তিনি এতটাই বিভোর হয়ে উঠেছিলেন যে, শত্রু-মিত্র কাউকে বাদ দিতেন না, তিনি চাইতেন এই দেশটাকে সবাই মিলে সোনার বাংলা তৈরি করি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন হয়তো ঠিক ছিল কিন্তু তাঁর শত্রুরা ছিল অতিমাত্রায় প্রতিশোধপরায়ণ, হিংস্র; যাদের লক্ষ্য ছিল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে চিরতরে স্তব্ধ করে দেওয়াÑ পারলে বঙ্গবন্ধুর জীবন বিপন্ন করে হলেও। সেই লক্ষ্যেই তারা এগোতে থাকে। তাদের এই ষড়যন্ত্রের পেছনে দেশীয় চক্রান্তের সঙ্গে বিদেশি ষড়যন্ত্রও ওতপ্রোতভাবে মিশেছিল। একাত্তরে হেরে যাবার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য এই অপশক্তিটি দেশ স্বাধীনের পরদিন থেকেই তৎপর হয়ে ওঠে এবং তা চলে পঁচাত্তরের পনেরোই আগস্ট পর্যন্ত। পঁচাত্তর-পরবর্তী সময়গুলোতেও এই অপশক্তি নানাভাবে তৎপর থেকে বাংলাদেশকে কীভাবে পেছনের দিকে টেনে নিয়ে যাওয়া যায় সেই দুঃস্বপ্নে বিভোর ছিল। একজন ব্যক্তির দেশপ্রেম, তাঁর দৃঢ়তা, সাহস ও আপসহীনতা কতটা সুউচ্চ হলে তিনি জনগণের হৃদয়ে এতটা শ্রদ্ধা ও আস্থার আসন অর্জন করতে পারেন, বঙ্গবন্ধু তাঁর এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। বঙ্গবন্ধু হিসেবে তিনি কারারুদ্ধ হয়েছিলেন, আর সেখান থেকে মুক্ত হয়ে দেশে ফিরলেন জাতির পিতা হিসেবে। দেশ ও দেশের মানুষকে একাগ্রচিত্তে ভালোবসে, দেশমাতৃকার জন্যে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের সাহসিকতা দ্বারা পরিচালিত হয়ে তাঁর এরূপ বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির পিতা হয়ে ওঠা। আজ দেশ যে সংকটে পরিণত হয়েছে তার মূলে রয়েছে পঁচাত্তরের পরিকল্পিত হত্যাযজ্ঞ এবং এর মধ্যদিয়ে দেশকে প্রতিক্রিয়াশীলতার পথে নিয়ে যাওয়ার এক গভীর দেশীয় ও বৈশ্বিক ষড়যন্ত্র। এমন সংকট থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে আমাদের বঙ্গবন্ধু নির্দেশিত পথে অগ্রসর হতে হবে।
বিবিসি টেলিভিশনের দূরপ্রাচ্য সংবাদদাতা ব্রায়ান ব্যরন বঙ্গবন্ধু হত্যার কয়েকদিন পর বিভিন্ন দেশের সাংবাদিকদের সঙ্গে ঢাকা পৌঁছান। তৎকালীন হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে তিনদিন আটক থাকার পর তাদের সবাইকে বাংলাদেশ ত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়। ১৯৭৫ সালের আগস্ট মাসের শেষ সপ্তাহে তাঁর লিখিত সংবাদ বিবরণীতে বলা হয়, শেখ মুজিব সরকারিভাবে বাংলাদেশের ইতিহাসে এবং জনসাধারণের হৃদয়ে উচ্চতম আসনে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবেন। এটা শুধু সময়ের ব্যাপার। এটা যখন ঘটবে, তখন নিঃসন্দেহে তাঁর বুলেটবিক্ষত বাসগৃহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্মারকচিহ্ন এবং তাঁর কবরস্থান পুণ্যতীর্থে পরিণত হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আরাধ্য স্বপ্ন ছিল অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করার মাধ্যমে বাংলাদেশের দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে প্রিয় দেশকে সোনার বাংলায় রূপান্তর করা। বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা শত বাধা-বিপত্তি ও ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত করতে দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তাঁর সুযোগ্য ও সুদক্ষ নেতৃত্বে দেশ দুর্বার গতিতে উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলেছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের বিস্ময়, উন্নয়নের রোলমডেল।
লেখক: সদস্য, প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ