তারুণ্য ও আধুনিকতার মডেল শেখ কামাল

1091

Published on আগস্ট 5, 2021
  • Details Image

আশরাফ সিদ্দিকী বিটুঃ

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠপুত্র, বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জন্ম ৫ আগস্ট ১৯৪৯ সালে টুঙ্গিপাড়ায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার থেকে দুই বছরের ছোট শেখ কামাল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্রসন্তান শেখ কামালের জন্মগ্রহণ প্রসঙ্গে ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’তে লিখেছেন, ‘মন চলে গিয়েছে বাড়িতে। কয়েক মাস পূর্বে আমার বড় ছেলে কামালের জন্ম হয়েছে, ভালো করে দেখতেও পারি নাই ওকে। হাচিনা তো আমাকে পেলে ছাড়তেই চায় না। অনুভব করতে লাগলাম যে আমি ছেলেমেয়ের পিতা হয়েছি।’

নিরহংকার শেখ কামালের জীবন অধ্যায়ের শুরুর কথা বঙ্গবন্ধু তাঁর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’তে আরও লিখেছেন, ‘একদিন সকালে আমি ও রেণু বিছানায় বসে গল্প করছিলাম। হাচু ও কামাল নিচে খেলছিল। হাচু মাঝে মাঝে খেলা ফেলে আমার কাছে আসে আর ‘আব্বা’ ‘আব্বা’ বলে ডাকে। কামাল চেয়ে থাকে। একসময় কামাল হাচিনাকে বলছে, ‘হাচু আপা, হাচু আপা, তোমার আব্বাকে আমি একটু আব্বা বলি।’ আমি আর রেণু দুজনেই শুনলাম। আস্তে আস্তে বিছানা থেকে উঠে যেয়ে ওকে কোলে নিয়ে বললাম, ‘আমি তো তোমারও আব্বা।’ কামাল আমার কাছে আসতে চাইতো না। আজ গলা ধরে পড়ে রইলো। বুঝতে পারলাম, এখন আর ও সহ্য করতে পারছে না। নিজের ছেলেও অনেক দিন না দেখলে ভুলে যায়! আমি যখন জেলে যাই তখন ওর বয়স মাত্র কয়েক মাস। রাজনৈতিক কারণে একজনকে বিনা বিচারে বন্দি করে রাখা আর তার আত্মীয়স্বজন, ছেলেমেয়েদের কাছ থেকে দূরে রাখা যে কত বড় জঘন্য কাজ তা কে বুঝবে? মানুষ স্বার্থের জন্য অন্ধ হয়ে যায়।’

বাংলাদেশে তারুণ্যের প্রতীক শেখ কামাল, পিতার পরিচয়ে পরিচিত না হয়ে বরং নিজ মেধা-মনন-কর্মে আলোকিত হয়েছেন এবং সদ্য স্বাধীন দেশের তরুণদের আলোর পথ দেখিয়েছেন। যে অঙ্গনেই তিনি কাজ করেছেন সে ক্ষেত্রেই সফল হয়েছেন এবং নতুনত্ব আনতে সক্ষম হয়েছে। পড়াশোনা থেকে শুরু করে শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতিসহ ক্রীড়াঙ্গনেও তিনি উজ্জ্বল হয়ে বিচরণ করেছেন। তিনি একসাথে অনেক পরিচয়ে পরিচিত হয়েছেন, ছিলেন ক্রীড়াবিদ, ক্রীড়া সংগঠক, ছাত্রনেতা, মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তা, সেতারবাদক, বিতার্কিক, গায়ক এবং অভিনেতা।

তাঁর সময়ে শেখ কামাল ছিলেন আধুনিক ও সময়ের চেয়ে আগানো তারুণ্য, যা অপকটে তাঁর পরিচিত ও বন্ধুজনেরা আজও স্বীকার করেন। জাতির পিতার সন্তান হয়েও তিনি ছিলেন অমায়িক, ভদ্র এবং বন্ধুবাৎসল। এক বহুমাত্রিক প্রতিভা শেখ কামাল- যিনি আজ বেঁচে থাকলে দেশ ও জাতিকে আরও বহু শুভ ও সাফল্যময় র্কীতি উপহার দিতে সক্ষম হতেন। জাতির পিতার পরিবারে জন্ম নিয়েও অহংকার তাকে স্পর্শ করতে পারেনি; বরং জীবনাচার ছিল খুবই সহজ-সরল ও সাদামাটা যা বঙ্গবন্ধু পরিবারের সবার মধ্যেই ছিল এবং এখনও আছে। যারাই তাঁর সাথে মিশেছে বা চলেছে তাঁর গুণাবলিতে মুগ্ধ হয়েছে।

বিনয়ী, ভদ্র ও স্বল্পবাক শহীদ শেখ কামালসহ ভাইবোনদের শৈশবের স্মৃতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা পিঠাপিঠি ভাইবোন ছিলাম। একসঙ্গে উঠাবসা, খেলাধুলা, একসঙ্গে চলাফেরা, ঝগড়াঝাটি সবই আমরা করতাম। একসঙ্গে সাইকেল চালানো, একসঙ্গে ক্রিকেট খেলা, ব্যাডমিন্টন খেলা সবই করতাম। যেহেতু আমরা দুই ভাইবোন কাছাকাছি, আমার পুতুল খেলাতেও কামাল যেমন আমার সঙ্গে থাকতো, ছোটবেলা থেকে বাকি সব খেলায় আমিও ওর সঙ্গে একসঙ্গে খেলতাম।’ (তথ্যসূত্র: ০৫ আগস্ট ২০২০ তারিখে শহীদ শেখ কামালের ৭১তম জন্মদিন উপলক্ষে ভার্চুয়াল আলোচনা সভা। )

আপন আলোয় উদ্ভাসিত শেখ কামালের এক বন্ধু লিখেছেন, ‘আমি যতই তাঁর কাছে যাই, তাঁর আচার-আচরণে মুগ্ধ হই। বঙ্গবন্ধুর সন্তান ছাড়াও যদি ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখি, তাহলেও বলতে হবে, ব্যক্তি কামালের মতো সৎ, যোগ্য ও ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষ তৎকালীন সময়ে খুব দুর্লভ ছিল।’ তিনি ছোটবেলা থেকেই দায়িত্ববান ছিলেন এবং সাংসারিক কাজে তাঁর মা বেগম ফজিলাতুন নেছাকেও নিয়মিত সহযোগিতা করতেন।

সাহসী শেখ কামাল রাজপথে অধিকার আদায়ের আন্দোলনে সক্রিয় অংশ নিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একজন নিবেদিতপ্রাণ কর্মী হিসেবে ’৬৯-র গণঅভ্যুত্থান এবং মাত্র ২১ বছর বয়সে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন। দেশ স্বাধীনের ব্রত নিয়ে তিনি ১৯৭১-এর ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ঐতিহাসিক ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাসভবনে আক্রমণ করার পূর্ব মুহূর্তে বাড়ি থেকে বের হয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ওয়ার কোর্সে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়ে মুক্তিবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন ও মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল ওসমানীর এডিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠন ও মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় অর্থ সংগ্রহের জন্য গঠন করা হয়েছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল। এই দলের মোহনবাগানের সঙ্গে দ্বিতীয় খেলায় সে সময় মাঠে উপস্থিত ছিলেন শেখ কামাল। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭১ সালের ১৯ ডিসেম্বর দুই ভাই মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল ও লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল ধানমন্ডির ১৮ নম্বর সড়কের বাসায় ফিরেন।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর লে. শেখ কামাল ক্যাপ্টেন হিসেবে সেনাবাহিনী ছেড়ে লেখাপড়ার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। এর আগে ঢাকার শাহীন স্কুল থেকে ১৯৬৭ সালে মাধ্যমিক এবং ঢাকা কলেজ থেকে ১৯৬৯ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। ১৯৭৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে বিএ অনার্স পরীক্ষা পাস করেন। তবে ১৯৬৯ সালে তিনি ভর্তি হন এবং মুক্তিযুদ্ধের সময় স্নাতক (সম্মান ) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। মাস্টার্স পরীক্ষাও দিয়েছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন শিক্ষা সংস্কারে কাজ করেছেন।

তিনি শৈশব থেকে ফুটবল, ক্রিকেট, হকি, ভলিবল, বাস্কেটবলসহ নানারকম খেলাধুলায় প্রচণ্ড উৎসাহী ছিলেন। ফলে হয়ে ওঠেন দারুণ ক্রীড়াবিদ।

স্বাধীন বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে আধুনিকতার প্রতীক তিনি। ধানমন্ডি এলাকায় খেলাধুলার তেমন ব্যবস্থা ছিল না। শেখ কামাল সেজন্য উদ্যোগ নেন। ১৯৬৮ সালে তিনি ধানমন্ডি ক্লাবের যুগ্ম-সম্পাদক হন। স্বাধীনতা পর ১৯৭২ সালে তিনি ‘আবাহনী সমাজকল্যাণ সমিতি’ গঠন করেন, যা তিন বছর পর হয় আবাহনী ক্রীড়াচক্র। শেখ কামাল ও আবাহনী একে অপরের সাথে অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িয়ে রয়েছে। এ দেশের ফুটবলকে আধুনিকতার স্পর্শ দেন তিনি। ১৯৭৩ সালে আয়ারল্যান্ড থেকে প্রথম বিদেশি কোচ বিল হার্টসকে দেশে এনে ফুটবলে নবধারা তৈরি করেন। তিনি আমৃত্যু ক্রীড়াক্ষেত্রের উন্নয়নে কাজ করে গেছেন। নতুন নতুন খেলোয়াড় তৈরি এবং তাদের প্রশিক্ষণের জন্য প্রচুর পরিশ্রম করতেন এবং নিজেও তাদের সাথে প্রশিক্ষণে অংশ নিতেন। তিনি দীর্ঘদিন প্রথম বিভাগ ক্রিকেট খেলেছেন এবং ক্রিকেটের উন্নয়ন ও ভবিষ্যতের জন্য অনেক কাজ এবং পরিকল্পনাও করেছিলেন। খেলোয়াড়দের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করতে এবং তাদের জন্য অবসর ভাতা প্রদানেরও উদ্যোগ নেন তিনি। খেলোয়াড়দের নিরাপত্তার জন্য তিনি জাতির পিতার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকার অনুদান নিয়ে ‘খেলোয়াড় কল্যাণ তহবিল’ গঠন করেছিলেন। বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে এক অবিস্মরণীয় নাম শেখ কামাল।

সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও শেখ কামালের ছিল দৃপ্ত পদচারণা। পশ্চিম পাকিস্তানি সরকার রবীন্দ্রসংগীতকে এ দেশে সে সময় নিষিদ্ধ করলে, এর প্রতিবাদে সংগঠিত আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন তিনি। দেশ স্বাধীন হবার পূর্বে তিনি মৃদঙ্গ নামের একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন করেন। অভিনেতা হিসেবেও সুখ্যাতি ছিল তাঁর। নাটক, বিশেষ করে মঞ্চনাটকে দারুণ অভিনয় করতেন, ছিলেন ঢাকা থিয়েটারের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। অভিনেতা হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যাঙ্গনেও ভালো প্রতিষ্ঠিত ছিলেন। ডাকসুর উদ্যোগে পেশাদারি নাট্যসংস্থা ‘নাট্যচক্র’ প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন শেখ কামাল। ‘এক নদী রক্ত’, ‘পলাতক’, ‘আমি মন্ত্রী হবো’, ‘অতৃপ্ত কান্না’, ‘ইতিহাসের জয় জনতার জয়’সহ বিভিন্ন মঞ্চনাটকে তিনি অভিনয় করে খ্যাতি অর্জন করেন। কলকাতায়ও মঞ্চনাটকে অভিনয় করে প্রশংসিত হয়েছিলেন। সংগীতানুরাগী শেখ কামাল ভালো সেতার বাজাতেন, যা তিনি শিখেছিলেন ছায়ানট থেকে। বন্ধু শিল্পীদের নিয়ে গড়ে তুলেছিলেন স্পন্দন শিল্পীগোষ্ঠী, যার মাধ্যমে বাংলা গানে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছিল।

তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ছিলেন এবং মৃত্যুর সময়ও বাংলাদেশ কৃষক-শ্রমিক আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন জাতীয় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। সদ্য-স্বাধীন যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠন ও পুনর্বাসন কর্মসূচির পাশাপাশি সমাজের পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে তিনি কাজ করেছেন।

শেখ কামাল যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন তখন পরিচয় হয় একই বিভাগের ছাত্রী, ক্রীড়াবিদ সুলতানা খুকীর সাথে, যাকে সবাই পূর্ব পাকিস্তানের গোল্ডেন গার্ল বলে ডাকতো। ১৯৭৫ সালের ১৪ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্লু দেশবরেণ্য অ্যাথলেট সুলতানা খুকীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে ঘটে মানব ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাকাণ্ড। মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি, দেশি-বিদেশি কুচক্রী মহল জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করে। সেই বর্বরতম ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ডে পরিবারের অন্যদের সাথে শেখ কামাল ও সুলতানা কামাল খুকীও নিহত হন। সে সময় দু’জনেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স পরীক্ষা শেষ করেছিলেন। তবে সুলতানা কামাল ভাইভা পরীক্ষা দিতে পারেনি। ভাইভা হবার আগেই বুলেট তার জীবন কেড়ে নিয়েছিল। তাদের ফল প্রকাশের আগেই তারা হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। পরের বছর যখন ফল প্রকাশ হয় তখন জানা যায় শেখ কামাল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন।

মাত্র ২৬ বছরের জীবন ছিল শেখ কামালের। এই অল্প সময়ে তিনি সবার হৃদয় জয় করেছেন। সাদামাঠা জীবনাচারের পাশাপাশি তার পোশাক-পরিচ্ছদও ছিল খুবই সাধারণ। অমিত প্রাণশক্তি ছিল তাঁর মাঝে, আধুনিকতা ও উচ্চ মননশীলতার প্রতীক ছিলেন তিনি। বাঙালির শোকের মাস আগস্ট। আগস্টেই এই মেধাবী-প্রতিভাবান ব্যক্তির জন্ম হয়, আগস্ট মাসেই ঘাতকের বুলেট তাঁর প্রাণ নিয়ে নেয়। অত্যন্ত মেধাবী ও পরিমিতবোধসম্পন্ন শেখ কামাল আগামীর বাংলাদেশ নিয়ে ভাবতেন এবং পরিকল্পনা করে কাজ করতেন, যা তাঁর ২৬ বছরের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড থেকে সহজেই অনুধাবন করা যায়। সময়ে থেকে এগিয়ে থাকা এই মানুষ ছিলেন খুবই প্রাণবন্ত, পরিশ্রমী এবং দূরদর্শী।

১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের পরে বঙ্গবন্ধু পরিবার ও শহীদ শেখ কামালকে নিয়ে অনেক অপপ্রচার চালানো হয়। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী সেনাশাসক জিয়াউর রহমান নানা কূটকৌশল করে শেখ কামালের বিরুদ্ধে যেসব কুৎসা রটায় তার কোনও কিছুরই সত্যতা কোনও দিন পাওয়া যায়নি। কোনও মিথ্যাচার শেখ কামালের কীর্তিকে ম্লান করতে পারেনি। তিনি জাতির পিতার সন্তান হয়েও ছিলেন সৎ, বিনয়ী, নির্লোভ, পরোপকারী ও অহমিকাহীন মানুষ এবং তরুণ প্রজন্মের জন্য সব সময়ই অনুসরণীয়। তিনি নিজ কর্মগুণে উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন। তাঁর ৭২তম জন্মবার্ষিকীতে জানাই অতল শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।

লেখক: মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব

সৌজন্যেঃ বাংলা ট্রিবিউন

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত