সুশাসন প্রতিষ্ঠা, দুর্নীতি প্রতিরোধ ও সেবাগ্রহণ সহজ করতে সরকারের ডিজিটাল উদ্যোগ ও সাফল্য

6273

Published on জুলাই 14, 2021
  • Details Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঠিক দিকনির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানের কারণেই তথ্যপ্রযুক্তিতে এ সাফল্য অর্জন সম্ভব হয়েছে। বিশেষ করে করোনাকালে আমাদের শিক্ষা, প্রশাসন, বিচারব্যবস্থা, বাণিজ্যসহ সবকিছু অচল হয়ে যেত। কিন্তু ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছে বলেই অর্থনৈতিক চাকা সচল রয়েছে। ১২ বছরে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের যথাযথ অবকাঠামো গড়ে ওঠার কারণে কোভিড-১৯ মহামারীতেও শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, আদালত ও সরবরাহ ব্যবস্থা সচল রাখা সম্ভব হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ করার ফলেই টেলিসেন্টার, টেলিমেডিসিন, মোবাইলের মাধ্যমে দরিদ্র মানুষকে টাকা পৌঁছে দেওয়া, ই-কমার্স, ভার্চুয়াল কোর্টসহ নানা কাজ করতে সক্ষম হয়েছি।

দেশে কোভিড-১৯ শনাক্ত হওয়ার পরপরই সব কিছু স্বাভাবিক রাখতে বিজনেস কন্টিনিউটি প্ল্যান প্রণয়ন করা হয়। এ ছাড়াও মহামারী মোকাবিলায় করোনা বিডি অ্যাপ এবং কন্টাক্ট ট্রেসিং অ্যাপ, করোনা পোর্টাল, করোনা হেল্পলাইন ৩৩৩, টেলিহেলথ সেন্টার, টেলিমেডিসিন নেটওয়ার্ক, প্রবাস বন্ধু কলসেন্টারসহ বিভিন্ন ডিজিটাল প্লাটফর্মের মাধ্যমে আইসিটি বিভাগ থেকে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকেও ফ্রিল্যান্সাররা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। বর্তমানে রাজধানীর সঙ্গে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ সকল এলাকার মধ্যে ডিজিটালি কোনো দূরত্ব নেই।

এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ

তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। দেশের বাইরে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করছেন সফটওয়্যার নির্মাতারা। এক্ষেত্রে বর্তমান সরকার ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ে তুলতে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিভিন্ন উদ্যোগের পাশাপাশি তরুণদের নানা প্রচেষ্টা সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। দেশে স্মার্টফোন ও ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়ছে। এতে দ্রুত বদলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন খাত। শুধু শহরেই নয়, জেলা উপজেলা সদর ছাড়িয়ে গ্রাম এমনকি প্রত্যন্ত ও দুর্গম অঞ্চলেও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা পৌঁছে দিয়েছে সরকার।

গ্লোবাল সফটওয়্যার ও অ্যাপ মার্কেটেও বাংলাদেশের সাফল্য ঈর্ষণীয়। এদিকে ব্যাংকিং ব্যবস্থার ধরণও পাল্টে দিয়েছে অনলাইন ব্যাংকিং। মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ব্যাংককে নিয়ে গেছে ঘরে ঘরে। ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ সাইটে নিজেদের পেজ তৈরি করে ব্যবসা করছেন তরুণ প্রজন্মের লাখ লাখ উদ্যোক্তা। দ্রুতগতির ইন্টারনেটের সুবিধায় বড় বাজার তৈরি করেছে ই-কমার্স খাতও। অন্যদিকে দাফতরিক কাজেও ডিজিটাল বাংলাদেশের অনেক সুবিধা ভোগ করছেন নাগরিকরা।

পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, জমির পর্চাসহ অনেক সেবা এখন মিলছে অনলাইনে। ফ্রিল্যান্সিং ঘোচাচ্ছে বেকারত্বের অভিশাপ। ইন্টারনেটের সুবিধা নিয়ে ডিজিটাল হয়েছে বিচার বিভাগও। চালু হয়েছে ভার্চুয়াল আদালত ব্যবস্থা। বড় পরিবর্তন এসেছে উবার পাঠাও এর মতো রাইড শেয়ারিং সেবা চালু হওয়ায়। এ ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান যেমন বেড়েছে তেমনি অনেকের যাতায়াতে সুবিধাও হয়েছে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৃতীয় শিল্প বিপ্লব বা ডিজিটাল বিপ্লবের সুফল ঘরে তুলতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেন। ১৯৯৬ সালে তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতাসীন হয়ে ডিজিটাল বিপ্লবে শামিল হওয়ার লক্ষ্যে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তিনি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সম্প্রসারণে কম্পিউটার আমদানির ওপর শুল্ক প্রত্যাহার এবং মোবাইল ফোনের মনোপলি ভেঙে কম্পিউটার ও মোবাইল ফোন সহজলভ্য করেন।

২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর তিনি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের প্রেরণাদায়ী ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এ কর্মসূচি বাস্তবায়নের মূল লক্ষ্য ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা এবং জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও আধুনিক চিন্তা ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সজীব ওয়াজেদের অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান থেকে উদ্ভূত ডিজিটাল বাংলাদেশের বাস্তবায়ন অভূতপূর্ব অগ্রগতি সাধিত হয়।

ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ সরকারের অন্যতম সহযোগী হিসেবে কাজ করছে। ২০০৯ সাল থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশের চার স্তম্ভ- কানেক্টিভিটি, দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন, ই-গভর্মেন্ট এবং ইন্ডাস্ট্রি প্রমোশনকে ঘিরে নেওয়া অধিকাংশ উদ্যোগের বাস্তবায়ন করা হয়। ফলে দেশে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যাপক সম্প্রসারণ ও বিকাশ ঘটে।

এ সময়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেক্টিভিটির আওতায় এসেছে ৩ হাজার ৮শ’ ইউনিয়ন। মহেশখালী দ্বীপও এখন ইন্টারনেট কানেক্টিভিটির আওতায়। দূর্গম পাহাড়ি ও হাওর এলাকাকেও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেক্টিভিটির আওতায় আনার জন্য বাস্তবায়ন করা হচ্ছে ‘কানেক্টিং বাংলাদেশ’ প্রকল্প। দেশের ২৮টি স্থানে নির্মাণ করা হচ্ছে ২৮টি হাই-টেক পার্ক। ভবিষ্যতে এ পার্কগুলো হবে ডিজিটাল অর্থনীতির লাইফলাইন। ইতোমধ্যে ৫টি হাই-টেক/আইটি পার্ক নির্মিত হয়। এর মধ্যে ৩টি হাই-টেক ও সফটওয়্যার পার্কে ১০৮টি প্রতিষ্ঠানকে স্পেস বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ২০২৫ সাল পর্যন্ত এসব কোম্পানির বিনিয়োগ প্রায় ২৪০০ কোটি টাকা। পার্কগুলোতে ২০২০ সাল পর্যন্ত প্রায় ৩২৭ কোটি টাকা বেসরকারি বিনিয়োগ হয়েছে। চালুকৃত পার্কগুলো হতে ২০২০ সাল পর্যন্ত প্রায় ২৪.১৫ কোটি টাকা আয় হয়েছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, আউটসোর্সিং, টপ আপ আইটিসহ নানা প্রশিক্ষণে এ পর্যন্ত ৫ লক্ষ ৮৬ হাজার দক্ষ মানুষ তৈরি করে আইসিটি বিভাগ। বর্তমানে দেশে প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষ ফ্রিল্যান্সার আউটসোর্সিং পেশায় নিয়োজিত। ফ্রিল্যান্সিং পেশার স্বীকৃতি প্রদানে ফ্রিল্যান্সারদের আইডি কার্ড ইস্যুর কার্যক্রম চলমান রয়েছে। দেশের ৬ হাজার ৬৮১টি ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে তথ্য ও সেবা প্রদান করা হচ্ছে। ৬শ’রও বেশি সেবা মানুষ অনলাইনে পাচ্ছে। শুধুমাত্র ৪ হাজার ৫৫৪টি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার থেকেই বিগত এগার বছরে মানুষকে ৪৬ কোটি সেবা দেওয়া হয়। এ সময়ে উদ্যোক্তারা আয় করে ৩৯৬ কোটি টাকা।

ডিজিটাল সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়নের ফলে জাতিসংঘের ই-গভর্মেন্ট সূচকে বাংলাদেশের বড় উত্তরণ ঘটে ২০১৮ সালে। জাতিসংঘ বিভিন্ন দেশের ই-গভর্মেন্ট কার্যক্রম নিয়ে দুই বছরের অগ্রগতি পর্যালোচনা শেষে ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে দেখা যায়, ডেভেলপমেন্ট সূচকে বাংলাদেশ এগিয়েছে ৯ ধাপ আর ই-পার্টিসিপেশন সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ৩৩ ধাপ উন্নতি হয়। ১৯৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১১৫তম। আর ই-পার্টিসিপেশন (ইপিআই) সূচকে ৪১তম অবস্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ।

মুজিববর্ষকে স্মরণীয় করে আইসিটি বিভাগ বিভিন্ন কর্মসূচির বাস্তবায়ন করছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্রান্ট ২০২০, জাতির পিতার ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের হলোগ্রাফিক প্রেজেন্টেশন, অনলাইনে মুজিববর্ষ, মোবাইল গেম অ্যাপ্লিকেশনের দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় গৃহীত উদ্যোগ, আইসিটি বিভাগের ১০০এর অধিক কৌশলগত পরিকল্পনা, ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০২০ আয়োজন এবং জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির নির্দেশনার যথাযথ বাস্তবায়ন। বাঙালির মুক্তি সনদ ঐতিহাসিক ৬ দফা বিষয়ক অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে মুজিব হানড্রেড ওয়েবসাইট এবং মুজিববর্ষ লোগো তৈরি করা হয়।

ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে বিস্ময়কর অগ্রগতিতে বাংলাদেশ অসংখ্য মর্যাদাকর আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করে। যা শুধু গৌরবের নয়, দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছে। এর মধ্যে অন্যতম তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার করে মাতৃ ও শিশু মৃত্যু হ্রাসে অনবদ্য ভূমিকা পালন করায় বাংলাদেশকে মর্যাদাপূর্ণ দ্য গ্লোবাল হেলথ অ্যান্ড চিলড্রেন্স অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
২০১১ সালের ২০ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে এস্টোরিয়া ওয়ার্ল্ড হোটেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে এ পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। ডিজিটাল সিস্টেম ও শিক্ষার সম্প্রসারণে অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জাতিসংঘ সাউথ কোঅপারেশন ভিশনারি অ্যাওয়ার্ড ২০১৪ প্রদান করা হয়। ২০১৪ সালের ২১ নভেম্বর ওয়াশিংটনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় পুরস্কার গ্রহণ করেন।

আইসিটি বিভাগের অধীন বিভিন্ন দফতর, সংস্থা এবং এটুআই প্রোগ্রাম ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের নানা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে। প্রণয়ন করে আইন, নীতিমালা, বিধিমালা ও স্ট্রাটেজি।

ই-গভর্ন্যান্স

আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির যুগে বাংলাদেশের মতো অনেক উন্নয়নশীল দেশ তাদের দারিদ্র্য, প্রশাসনিক জটিলতা, অর্থনৈতিক উন্নয়নের মন্থর গতি প্রভৃতি দূর করার জন্য আইসিটি খাতকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। আইসিটি সম্প্রসারণ ও ব্যবহার জনসাধারণের নাগালের মধ্যে আনার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এ ছাড়া উন্নত দেশগুলো ইতোমধ্যে আইসিটির সফল ব্যবহার ও প্রয়োগের মাধ্যমে তাদের সব ক্ষেত্রে কাক্সিক্ষত উন্নতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। সরকার কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় প্রশাসনের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদানের সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে সরকারি কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতকরণ, অধিকতর উন্নত জনসেবা প্রদানের জন্য প্রশাসনের সর্বস্তরে ই-গভর্ন্যান্স প্রতিষ্ঠা করেছে।

নারীর ক্ষমতায়নে প্রশিক্ষণ

বিসিসি জাতিসংঘের এশিয়ান অ্যান্ড প্যাসিফিক ট্রেনিং সেন্টার ফর ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি ফর ডেভেলপমেন্ট (ইউএন-এপিসিআইসিটি)-এর সহযোগিতায় Women IT Frontier Initiative (WIFI) নামে একটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ২০১৭ সাল থেকে চালু করেছে। এ কর্মসূচির আওতায় এ পর্যন্ত ৫৩৬ জন নারীকে উদ্যোক্তা হিসেবে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। আইসিটি অধিদফতরের অধীন ‘প্রযুক্তির সহায়তায় নারীর ক্ষমতায়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে ১০ হাজার ৫০০ নারীকে Freelancer to Entrepreneur, IT Service Provider, I Women Call Centre Agent-এই তিন ক্যাটাগরিতে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। সফলভাবে প্রশিক্ষণ সম্পন্নকারী অনেক প্রশিক্ষণার্থী এখন স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে উঠেছে এবং ইতোমধ্যে ৫০১ জন উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে এবং ৯১৯ জন নারীর কর্মসংস্থান হয়েছে।

ফেসবুকের আওতায় প্রশিক্ষণ

বিশ্বে সামাজিক যোগাযোগের সবচেয়ে বড় প্লাটফর্ম ফেসবুক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের লিভারেজিং আইসিটি ফর গ্রোথ, এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড গভর্ন্যান্স (এলআইসিটি) প্রকল্পের অধীনে আইটি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ১০ হাজার তরুণ-তরুণীকে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ওপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।

করোনা মোকাবিলায় আইসিটি বিভাগ

করোনা মহামারী থেকে দেশের জনগণকে সুরক্ষিত রাখতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম, ভ্যাকসিনেশন এর তথ্য সংরক্ষণ, ব্যবস্থাপনা এবং সনদ প্রদানের লক্ষ্যে ‘সুরক্ষা’ ওয়েবসাইট ম্যানেজমেন্ট প্লাটফর্ম চালু করা হয়। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে কিভাবে শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে শিক্ষা ব্যবস্থা, শিক্ষা, চিকিৎসা কার্যক্রম, জরুরি খাদ্য সরবরাহ, ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি, সাইবার সিকিউরিটি এবং ঘরে বসে বিনোদন কিভাবে চলমান রাখা যায় সে বিষয়ে মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আইসিটি বিভাগ বিভিন্ন কার্যক্রম শুরু করে। এমনকি এই সময়ে প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক পর্যায়ে সংসদ টেলিভিশনে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখা হয় পাশাপাশি সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ে যত উদ্যোক্তারা রয়েছেন তাদের কন্টেন্টগুলো প্রায় ২০ হাজারের বেশি কন্টেন্ট এবং ২০টির বেশি প্রতিষ্ঠান অনলাইন প্লাটফর্ম এ যুক্ত রয়েছে। এ ছাড়া মুক্তপাঠ অনলাইনে চিকিৎসক, নার্স ও স্বেচ্ছাসেবীদের প্রশিক্ষণ চলমান রয়েছে।

শিক্ষার যত উপকরণ রয়েছে সেগুলো মুক্তপাঠে রাখা হয়েছে। দেশের ১৭ কোটি মানুষের মৌলিক অধিকারগুলো ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ডিজিটাল প্লাটফর্মের সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে এই উদ্যোগ গ্রহণ করে তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি বিভাগ।

ইন্ডাস্ট্রি প্রমোশন

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ আইসিটি রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ এবং আইসিটি শিল্পকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগে ট্যাক্স হলিডেসহ নানাবিধ ইনসেনটিভ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়। এর ফলে আইসিটি রপ্তানি ২০১৯ সালে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যায়। আইসিটি শিল্পের বিকাশে তথ্য প্রযুক্তিখাতে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ট্যাক্স হলিডে ঘোষণা করা হয়েছে। হার্ডওয়্যার সংযোজন বা উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামালের ওপর আমদানি শুল্ক কমিয়ে ১ শতাংশ করা হয়। আইটি/আইটিইএস খাতে রপ্তানিতে ১০ শতাংশ নগদ প্রণোদনা প্রদান করা হয়। হাই-টেক পার্কে আগত বিনিয়োগকারীকে দ্রুত সেবা প্রদানের জন্য ওয়ানস্টপ সার্ভিস চালু করা হয়েছে। এর আওতায় ১০টি সেবা অনলাইনে প্রদান করা হচ্ছে। ২০৩০ সালের মধ্যে সকল সেবা অনলাইন প্লাটফর্মের আওতায় আসবে। দেশে-বিদেশে বিভিন্ন আইটি মেলায় অংশগ্রহণ করা হচ্ছে। যার ফলে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট হচ্ছে। আইটি শিল্প ও আইটি শিল্পের ডেভেলপারকে ১৪ ধরনের বিশেষ সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হলো, আইটি/আইটিইএস কোম্পানির জন্য ১০ বছর পর্যন্ত পর্যায়ক্রমিক ট্যাক্স মওকুফ। ডেভেলপারের জন্য ১২ বছর পর্যন্ত পর্যায়ক্রমিক ট্যাক্স মওকুফ। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের ১০০ ভাগ মালিকানার সুযোগ। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০০ ভাগ মুনাফা প্রত্যাবাসন। প্রত্যেকটি হাই-টেক পার্ক বন্ডেড ওয়্যারহাউজ স্টেশন হিসেবে বিবেচিত হবে। মূলধনী সম্পত্তির ওপর আমদানি শুল্ক মওকুফ। পুনঃবিনিয়োগের ক্ষেত্রে লভ্যাংশের ওপর ট্যাক্স মওকুফ। বৈদেশিক কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে আয়ের ওপর পর্যায়ক্রমিক আয়কর মওকুফ।

হাই-টেক পার্ক

হাই-টেক পার্কগুলোকে বিনিয়োগ, দক্ষ মানুষ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির ঠিকানায় পরিণত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এসব উদ্যোগের ফলে ২০২০ সাল পর্যন্ত ৫টি পার্কে বিনিয়োগ হয়েছে ৩২৭ কোটি টাকা। বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ২০৩০ সালের মধ্যে এক লক্ষ দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করবে এবং হাই-টেক পার্কগুলোতে ২০৩০ সালের মধ্যে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় দুই লক্ষ লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।

আইসিটি খাতে মানবসম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত ১৬ হাজার জনকে আইটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে। ২০২৫ সালের মধ্যে ৫৫ হাজার জন ও ২০৩০ সালের মধ্যে এক লক্ষ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করবে। ২০৪১ সালের মধ্যে এক লক্ষ ৫০ হাজার জনকে প্রশিক্ষণ প্রদানেরও লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। আইসিটি খাতে মানবসম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে ‘সাপোর্ট টু ডেভেলপমেন্ট অব কালিয়াকৈর হাই-টেক পার্ক’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন বিষয়ে ৭০৭২ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয় এবং ১৮৯১ জনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়।

দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই। ইতোমধ্যে সরকার ৫ লক্ষ ৮৫ হাজার জনকে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। বর্তমানে ইমার্জিং টেকনোলজির ওপর প্রশিক্ষণ চলছে। বিশ্বে অনলাইন শ্রমশক্তিতে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। দেশে সাড়ে ৬ লক্ষ সক্রিয় ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। বিগত ১২ বছর আইসিটি খাতের জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিসিসি ১ লাখ ৯৬ হাজার ৫৮৭ জন দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করেছে।

ডিজিটাল সেন্টারে সেবা

জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে সারা দেশে এ পর্যন্ত ৬,৬৮১টি ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে ২৫০টির অধিক সেবা প্রদান করা হচ্ছে। জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়ার এ উদ্যোগ আন্তর্জাতিক পরিম-লেও স্বীকৃত। ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে ইতোমধ্যে নাগরিকদের ৫০ কোটিরও অধিক সেবা প্রদান করা হয়েছে এবং গড়ে প্রতি মাসে ৭.৫ মিলিয়ন নাগরিকগণকে সেবা প্রদান করা হচ্ছে। বর্তমানে ১১ হাজারের অধিক উদ্যোক্তা ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে নাগরিকদের সেবা প্রদানের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে; তন্মধ্যে ৫ হাজারের অধিক নারী উদ্যোক্তাও রয়েছেন।

শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব

দেশে আইসিটি শিক্ষার বিস্তার ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে আইসিটি অধিদফতরের অধীনে ‘সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ও ভাষা প্রশিক্ষণ ল্যাব স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে সারা দেশের নির্বাচিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৪১৭৬টি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। তন্মধ্যে জেলা পর্যায়ে ৬৫টি ভাষা প্রশিক্ষণ ল্যাব এবং ১০০টি মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন করা হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্থাপিত শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবসমূহ স্থানীয়ভাবে সাইবার সেন্টার, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও আইসিটি ক্লাব হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ফলে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত স্থাপিত ল্যাবসমূহের মাধ্যমে এলাকার তরুণ-তরুণীরা বিভিন্ন প্রশিক্ষণ গ্রহণ ও ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা পাচ্ছে। ডিজিটাল শিক্ষার প্রসারে আরও ১৫ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

‘কৃষক বন্ধু’ ফোনসেবা ৩৩৩১

দেশব্যাপী কৃষকের দোরগোড়ায় দ্রুত ও আরও সহজে কার্যকরী ই-কৃষি সেবা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ডিজিটাল প্লাটফর্ম ‘কৃষি বাতায়ন’ এবং ‘কৃষক বন্ধু’ ফোন সেবার (৩৩৩১ কলসেন্টার) মাধ্যমে কৃষি বিষয়ক যে কোনো পরামর্শ ও সেবা সহজলভ্য করা হয়েছে। বর্তমানে কৃষি বাতায়নে ৮১ লক্ষ কৃষকের তথ্য, মাঠ পর্যায়ে কর্মরত ১৮ হাজার কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা, ৫১টি উপজেলা কৃষির তথ্য এই বাতায়নে সংযুক্ত রয়েছে।

কলসেন্টারভিত্তিক সেবা

সরকার কলসেন্টারভিত্তিক সেবা চালু করা হয়েছে। ৯৯৯, ৩৩৩ এর সেবা এখন দেশে অত্যন্ত জনপ্রিয়। জাতীয় পর্যায়ে সর্বস্তরে জনগণের জন্য মোবাইল ফোনভিত্তিক হেল্পডেস্ক বাস্তবায়ন কর্মসূচির আওতায় পরিচালিত ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি সার্ভিস ‘৯৯৯’ চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। ৯৯৯ ইমার্জেন্সি সার্ভিস চালুর মাধ্যমে দেশের সকল নাগরিকের জন্য জরুরি পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এ ছাড়া ঘরে বসেই মোবাইল ফোন ব্যবহার করে বাংলাদেশের নাগরিকগণ জাতীয় তথ্য বাতায়নের সকল তথ্য ও সেবা যেন পেতে পারেন সেজন্য জাতীয় তথ্য বাতায়নের হেল্পলাইন (৩৩৩) চালু করা হয়েছে। এই হেল্পলাইনে এ পর্যন্ত মোট ১৩ মিলিয়নেরও অধিক কল গৃহীত হয়েছে, যার মাধ্যমে ১৮.৫ হাজারের অধিক সামাজিক সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। করোনা সম্পর্কিত ২৯ লক্ষেরও অধিক নাগরিক কল গৃহীত হয়েছে।

প্রতিবন্ধীদের দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ

প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সক্ষমতা উন্নয়নে এ পর্যন্ত ৬৯১ জন এবং অন্যান্য কার্যক্রমে আরও ৪ হাজার ৮শ’ ৫ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। প্রতিবছর আইসিটি প্রশিক্ষিত প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য চাকরি মেলার আয়োজন করা হয় এবং অংশগ্রহণকারী প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মধ্য থেকে এ পর্যন্ত ৩৮৩ জনের চাকরির ব্যবস্থা করা হয়। ৩৩৩ হেল্পলাইনকে অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং প্রতিবন্ধীবান্ধব কল সেন্টারে পরিণত করা হয়েছে। প্রতিবন্ধীদের সার্বিক উন্নয়নের জন্য বেশ কিছু প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অন্যতম- ষষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য ডিজিটাল শিক্ষা উপকরণ তৈরি; শারীরিক প্রতিবন্ধীদের তথ্য ও সেবা কেন্দ্র; প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বিশেষ ই-পরিষেবা; বাক-প্রতিবন্ধীদের জন্য স্বল্পমূল্যের ডিভাইস; মাল্টিমিডিয়া টকিং বুক এবং দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য স্বল্পমূল্যের মাল্টিমিডিয়া টকিং বুক রিডার। প্রতিবন্ধিতা দূরীকরণে উদ্ভাবনী উদ্যোগের কাজ শুরু করা এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে দেশের প্রথম ইনক্লুসিভ ইউনিভার্সিটি বাস্তবায়ন করার কাজ চলমান রয়েছে। ২০২৩ সালের মধ্যে দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ইনক্লুসিভ ইউনিভার্সিটি হিসেবে তৈরি করতে সহযোগিতা করা হবে। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী এবং নিরক্ষরদের জন্য প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে ১০৯টি পাঠ্যবইয়ের জন্য ডিজিটাল টকিং বুক চালু রয়েছে। প্রতিবন্ধিতা শিক্ষা ক্ষেত্রে কোনো বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।

ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ

লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে ৫৭ হাজার ১০ জনকে প্রশিক্ষণ দিয়ে ফ্রিল্যান্সার বানানো হয়েছে। এর মধ্যে ৪১ হাজার ৬০০ জন নারী। প্রফেশনাল আউটসোর্সিং ট্রেনিংপ্রাপ্তরা আউটসোর্সিংয়ের কাজ করে এ পর্যন্ত প্রায় ১৬ লক্ষ মার্কিন ডলার আয় করেছে।

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত