1156
Published on জুন 13, 2021বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহই টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করবে। সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিয়ে সমন্বিত পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। শিল্পের প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর জন্য বিদ্যুৎ ও গ্যাসে ভর্তুকি অব্যাহত রাখা হয়েছে।
শনিবার (১১ জুন) এনার্জী এন্ড পাওয়ার ম্যাগাজিন আয়োজিত 'বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের টেকসই উন্নয়ন ও বাজেট ২০২১-২২ বাজেট' শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ঢাকা শহর একাই ৪৬ শতাংশ বিদ্যুৎ ব্যবহার করে। বিদ্যুৎ ব্যবহার সুষম করতে হলে দেশের অন্যান্য বড় শহরগুলোতে নির্দিষ্ট স্থানে দ্রুত শিল্পায়ন করা প্রয়োজন। নির্দিষ্ট স্থানে শিল্প-কারখানা স্থাপিত হলে সিস্টেম লস কমবে। উন্নত দেশ বিদ্যুৎ উৎপাদনে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সরে আসছে। বাংলাদেশও জীবাশ্ম জ্বালানি ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে পর্যালোচনা করছে। আগামীতে গ্যাস বা বিদ্যুৎ আমদানিতে অপরচুনিটি কস্ট খোঁজা হবে।
নসরুল হামিদ বলেন, মানব সম্পদ উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। কাজে পেশাদারিত্ব না থাকলে দ্রুত উন্নয়ন সম্ভব না।
ওয়েরবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন। তিনি তাঁর উপস্থাপনায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের অর্জন, প্রবৃদ্ধি, পরিকল্পনা ও অর্থায়ন-এই বিষয়গুলো তুলে ধরেন। প্রাথমিক জ্বালানির সহজলভ্যতা, নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্পন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ, ভূমির প্রাপ্যতা, মানব সম্পদ উন্নয়ন, সক্ষমতার সদ্ব্যবহার, অফ-গ্রীড অঞ্চলে বিদ্যুতায়ন ও প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর উন্নয়ন টেকসই বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবস্থাপনার অন্যতম চ্যালেঞ্জ বলে তাঁর উপস্থাপনায় উল্লেখ করেন।
২০২১-২২ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বিদ্যুৎ খাতে ২৬১১৮.৭৬ কোটি টাকা (নিজস্ব অর্থায়নসহ) বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। বিতরণ সংশ্লিষ্ট ৩১ টি, সঞ্চালন সংশ্লিষ্ট ১৮ টি, উৎপাদন সংশ্লিষ্ট ১৭ টি, কারিগরি ৭ টি ও নিজস্ব অর্থায়নে ২ টি প্রকল্পের অনুকূলে এই ২৬১১৮.৭৬ কোটি টাকা রাখা হয়েছে। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে ২০২১-২২ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি -তে ২৮টি প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। উক্ত প্রকল্পসমূহের অনুকূলে ২৮৫১.৪৭ কোটি টাকা (নিজস্ব অর্থায়নসহ) বরাদ্দ রয়েছে।
এনার্জী এন্ড পাওয়ার ম্যাগাজিন-এর সম্পাদক মোল্লাহ আমজাদ হোসেনের সঞ্চালনায় ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডঃ ম তামিম, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এর সাবেক চেয়ারম্যান ডঃ মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ, পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউট অব বাংলাদেশ – নির্বাহী পরিচালক ডঃ আহসান মনসুর, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাট্রি-এর সাবেক প্রেসিডেন্ট আবুল কাশেম খান ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার আব্দুস সালেক সংযুক্ত থেকে বক্তব্য রাখেন।