4182
Published on এপ্রিল 20, 2021২৬ মার্চের পর থেকে এখন পর্যন্ত সংবাদপত্রে প্রকাশিত ঘটনাবলী থেকে প্রমাণ হয় বিএনপি পেছনে থেকে হেফাজতকে সামনে দিয়ে তাদের স্বার্থ চরিতার্থ করছে।
২৭ মার্চ, ২০২১
স্বাধীনতার দিবসে হেফাজতের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে মানুষ হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ আগামী ২৯ মার্চ ঢাকাসহ সব মহানগরীতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল এবং ৩০ মার্চ জেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল অথবা সমাবেশের কর্মসূচি আমরা ঘোষণা করছি।
- মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
সারাদেশের হেফাজতের তান্ডবকে শান্তিপূর্ণ দাবি করে সহিংসতাকে বৈধতা দিয়েছে বিএনপি। সেই সাথে হেফাজতের পক্ষে দুইদিন ব্যাপী কর্মসূচী দিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে।
২৭ মার্চ, ২০২১
বায়তুল মোকাররমে জুমা নামাজের পরে একটি সংগঠনের শান্তিপূর্ণ মিছিলে বিনা উসকানিতে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের হামলায় প্রায় ২ শতাধিক তরুণ মারাত্মকভাবে গুলিবিদ্ধ ও আহত হয়েছে। এর প্রতিবাদে হাটহাজারীতে শান্তিপূর্ণ মিছিলের ওপর পুলিশের নৃশংস হামলা ও নির্বিচারে গুলি চালানোয় কমপক্ষে ৪ জন নিহত ও অসংখ্য আহত হয়েছে।
- মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
হেফাজত সারাদেশে সহিংসতা করলেও বিএনপি সহিংসতার নিন্দা না জানিয়ে উল্টো হেফাজতের পক্ষেই অবস্থান নিয়ে হেফাজতের সুরে কথা বলছে।
২৮ মার্চ, ২০২১
হেফাজতের কর্মী মারা যাওয়ায় বিএনপি ২৯ মার্চ ঢাকাসহ সারা দেশের মহানগরীগুলোতে সমাবেশ, বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে। পরের দিন ৩০ মার্চ বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়েছে জেলায় জেলায়।
https://www.kalerkantho.com/online/national/2021/03/28/1018365
হেফাজতের পক্ষে দাঁড়িয়ে সরাসরি দুইদিন ব্যাপী কর্মসূচী দিয়ে হেফাজতের সঙ্গে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে।
২৮ মার্চ, ২০২১
হেফাজতে ইসলামের কর্মী মারা যাওয়ায় তারা হরতাল ডেকেছে এবং এই হরতাল ডাকার অধিকার তাদের আছে। আমরা বিক্ষোভ কর্মসূচি দিয়ে এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
- গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
https://www.kalerkantho.com/online/national/2021/03/28/1018365
গয়েশ্বরের কথায় স্পষ্ট বোঝা যায় যে হেফাজতের হরতালে তাদের সমর্থন রয়েছে এবং পাশাপাশি বিক্ষোভ কর্মসূচী দিয়ে হেফাজতকে সহযোগিতা করাই বিএনপির উদ্দেশ্য।
২৮ মার্চ, ২০২১
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করতে গিয়ে সরকার আজ মানুষের রক্ত ঝরিয়েছে। সংগত কারণেই বিএনপির কর্মসূচি দিতে হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘প্রতিবাদের ভাষা সব দলের সব সময় এক না-ও হতে পারে। নিজেদের কর্মী মারা যাওয়ার কারণে হেফাজত হরতাল দিয়েছে। আমরাও বিক্ষোভ করে প্রতিবাদ জানাব।
- ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু
https://www.kalerkantho.com/online/national/2021/03/28/1018365
টুকুর কথায় স্পষ্ট বোঝা যায় যে হেফাজতের হরতালে তাদের সমর্থন রয়েছে এবং পাশাপাশি বিক্ষোভ কর্মসূচী দিয়ে হেফাজতকে সহযোগিতা করাই বিএনপির উদ্দেশ্য।
৩০ মার্চ, ২০২১
হেফাজতে ইসলামের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সরকারই উসকানি দিয়ে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, প্রথম থেকেই সরকার উসকানি দিয়ে এ অবস্থার সৃষ্টি করেছে। তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা লক্ষ করে দেখবেন, প্রথম যে মিটিংটা ছিল বায়তুল মোকাররমে, তারা (হেফাজতে ইসলাম) সাধারণভাবে একটা প্রতিবাদ মিছিল করতে চেয়েছিল। সেই প্রতিবাদ মিছিলের ওপর উত্তর দিক দিয়ে পুলিশ আক্রমণ করেছে। দক্ষিণের গেট দিয়ে তারা যখন পালাতে গেছে, তখন আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা আক্রমণ করেছে। বহু লোককে হতাহত করেছে। ঠিক একই ঘটনা ঘটেছে হাটহাজারীতে।
- মির্জা ফখরুল
হেফাজতের তাণ্ডবকে জাস্টিফাই করতে বিএনপি জনগণকে বুঝাতে চেষ্টা করেছে হেফাজতের কর্মসূচী শান্তিপূর্ণ ছিল।
১৫ এপ্রিল, ২০২১
হেফাজতের সহিংস কর্মকাণ্ডের কারণে পুলিশের অভিযানকে বিরোধী দলগুলোর ওপর ক্র্যাকডাউন বলে অভিযোগ করেছে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
https://www.bbc.com/bengali/news-56763449
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ম মেনেই অভিযান পরিচালনা করলেও হেফাজতকে বাচাতে বিএনপি গুজব ছড়াচ্ছে।
১৫ এপ্রিল, ২০২১
"আমরা বরাবরই বলে আসছি যে ২৬শে মার্চের ঘটনার সাথে বিএনপির কোন সম্পর্ক নাই। আমরা প্রতিবাদ করেছি, ২৬ তারিখে এবং তারপরে যে অন্যায়ভাবে হত্যা করা হয়েছে, সে ঘটনার এবং সেটা আমরা মনে করি যে, অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গতভাবেই আমরা করেছি। এখন এটাকে কেন্দ্র করে এই লকডাউনের মধ্যেই তারা (সরকার) আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে"
- মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
https://www.bbc.com/bengali/news-56763449
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ম মেনেই অভিযান পরিচালনা করলেও হেফাজতকে বাঁচাতে বিএনপি গুজব ছড়াচ্ছে।
১৭ এপ্রিল, ২০২১
হেফাজত ইস্যুতে কৌশলী অবস্থান থেকেই ‘মানুষ মারা যাওয়া ঘটনায়’ প্রতিবাদ-সমাবেশ করেছে বিএনপি। অন্যদিকে হেফাজতের ডাকা হরতালে নৈতিক সমর্থন দিয়েছে জামায়াত।
বিএনপির সঙ্গী জামাত হরতালে সরাসরি সমর্থন দিয়েছে আর বিএনপি কৌশলে বিক্ষোভ করেছে।
১৯ এপ্রিল, ২০২১
এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে, সরকার দেশের আলেম ও ধর্মীয় নেতাদের গ্রেপ্তার করছে এবং মিথ্যা মামলার মাধ্যমে তাদের হয়রানি করছে। আমি সকল ধর্মীয় নেতাদের তাৎক্ষণিক মুক্তি এবং তাদের বিরুদ্ধে করা সকল মামলা প্রত্যাহরের দাবি জানাচ্ছি।
- মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
হেফাজতের তান্ডবে যারা জড়িত তাদের গ্রেফতার করাকে আলেমদের উপর অত্যাচার বলে বিএনপি জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে যা তাদের সাথে হেফাজতের গোপন আঁতাতেরই প্রমাণ নির্দেশ করে।
১৯ এপ্রিল, ২০২১
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর মামুনুল হক সহ সকল হেফাজতীদের মামলা প্রত্যাহার ও মুক্তি দাবী করেছেন এবং জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি'র উকিল মামুনুলের হয়ে মামলা লড়ছে।
হেফাজতীরা ধর্মের লেবাস গায়ে দিয়ে সরকারী অফিস আদালতসহ শত শত মানুষের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে পুডিয়ে দিল এই দায়দায়িত্ব কে নিবে ? অবশ্যই ফখরুল সাহেবকে এই দায়িত্ব নিতে হবে ।