1915
Published on মার্চ 17, 2021অজয় দাশগুপ্তঃ
ত্রিশ লাখ শহীদের মহান আত্মদানে অর্জিত বাংলাদেশের ৫০ বছরের ইতিহাসে প্রায় তিন দশক ক্ষমতায় ছিল এমন শক্তি, যারা স্বাধীনতা চায়নি। অর্থনৈতিক মুক্তি চায়নি। উন্নয়ন চায়নি। স্বয়ংসম্পূর্ণতা চায়নি। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সম্মান ও মর্যাদার বাংলাদেশ চায়নি। বিএনপিও এ দলে পড়ে।
এ দলটির প্রতিষ্ঠা ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর। ক্ষমতায় থাকুক কিংবা বিরোধী দলে, তাদের কার্যকলাপ ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী, উন্নয়নবিরোধী। ক্ষমতায় এসেছে তারা ক্যু করে। এ সময় যেমন তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ করার জন্য কুখ্যাত ইনডেমনিটি আইন পাস করেছে, একাত্তরের মানবতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত আলবদর-রাজাকারদের দল জামায়াতে ইসলামীকে রাজনৈতিক অঙ্গনে সক্রিয় ও প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে, বঙ্গবন্ধুর স্বঘোষিত ঘাতকদের সঙ্গে আঁতাত ও তাদের পুনর্বাসিত করেছে এবং ধর্মান্ধ চরমপন্থী রাজনৈতিক অপশক্তির উত্থানে সব ধরনের সহযোগিতা দিয়েছে, তেমনি ক্ষমতার বাইরে থাকার সময়েও পদ্মা সেতুর মতো জাতীয় মর্যাদার প্রকল্প বানচালের চেষ্টা করেছে, স্বাধীনতাবিরোধী রাজনৈতিক শক্তির সঙ্গে হিংসাত্মক আন্দোলন ও নির্বাচনী আঁতাত করেছে।
বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি তাদের সহ্য হয় না। তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচালে হরতাল ডাকে এবং এ বিচারে সোচ্চার হওয়া তরুণ প্রজন্মকে নাস্তিক অভিহিত করে। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার কাজেও বিঘ্ন সৃষ্টির জন্য তারা সর্বশক্তি নিয়োগ করেছিল। স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে বাংলাদেশের উত্তরণকেও তারা সহ্য করতে পারছে না।
এখন বিএনপি এখন বলছে- ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি ভেঙ্গে পড়েছে’। [মির্জা ফকরুল ইসলাম, ১ মার্চ বিএনপির স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ।]
যদি এটা ধরেই নিই যে বাংলাদেশ দরিদ্র দেশ রয়ে গেছে, তার দায় কার? বাংলাদেশের ৫০ বছরের প্রায় ৩০ বছর বা তিন দশক তো ক্ষমতায় ছিল বিএনপি-জাতীয় পার্টি-জামায়াতে ইসলামী- যারা স্বাধীনতার ঘোষণা মানে না, ৭ই মার্চ মানে না, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অস্বীকার করে। বিচারপতি আবুসাদাত মোহাম্মদ সায়েম ও মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ১৯৭৬ সালের ৪ অগাস্ট সামরিক বিধি জারি করে বলেছিলেন- ‘কোনো রাজনৈতিক দল বা অন্য কেউ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে শেখ মুজিবুর রহমানের প্রশংসা করতে পারবে না এমনকি নামও নিতে পারবে না।’
এরপর প্রায় পাঁচ দশক চলে গেছে। বিএনপি এবং তাদের মিত্রদের মনোভাবে একটুও পরিবর্তন ঘটেনি। পয়লা্ মার্চ (২০২১) বিএনপির পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যে আলোকসজ্জা করা হয়েছে তাতে ফুটিয়ে তোলা একটি বাক্য আমাদের নজর এড়ায় না- ‘জিয়ার ঘোষণা স্বাধীনতার সূচনা’।
বিএনপির মহাসচিব পয়লা মার্চ বলেছেন- ‘ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ভ্রান্ত ইতিহাস জানিয়ে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকার স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত করছে।’ বিএনপির আরেক নেতা বলেছেন, ‘জিয়াউর রহমান মানেই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। বাংলাদেশ মানেই জিয়াউর রহমান।’
বিএনপি নেতারা ইতিহাস শুধু বিকৃত করছেন না, নির্লজ্জ মিথ্যাচার করছেন। আমাদের সংবাদপত্র, টেলিভিশন, বেতার ও সামাজিক গণমাধ্যম তার প্রচার দিচ্ছে কোনো এডিট করা ছাড়াই। তারপরও বলা হচ্ছে- দেশে কথা বলার স্বাধীনতা নেই, লেখার স্বাধীনতা নেই।
স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপনের প্রাক্কালে বিশ্বসম্প্রদায় একটি স্বীকৃতি দিয়েছে- ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তে অর্জিত দেশটি আর স্বল্পোন্নত দেশের তালিকায় নেই। আন্তর্জাতিক বাস্কেট কেস নেই। সবার পিছে, সবার শেষে থাকাদের দলে নেই।
এ স্বীকৃতি তাদের খুশি করে না কেন? এর প্রধান কারণ বোধগম্য। গত একযুগে বাংলাদেশ অর্থনীতি অনেকটা নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাচ্ছে প্রায় ৫ কোটি ছাত্রছাত্রী। ডিজিটাল বাংলাদেশ আর স্লোগান নেই, বরং অনেকটাই বাস্তব। প্রচণ্ড গরমের সময়েও লোডশেডিং হয় না। পদ্মা সেতুর মতো বড় অর্থনৈতিক বিকল্প নিজের অর্থে বাস্তবায়ন করতে পারছি। অনেক উন্নত দেশও যখন করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন সংগ্রহ নিয়ে সমস্যায়, বাংলাদেশ রয়েছে নির্ভাবনায়।
একবার ভেবে দেখুন তো- বাংলাদেশের ৫০ বছরের ইতিহাসের প্রায় পাঁচভাগের তিনভাগ সময় বিএনপি-জাতীয় পার্টি-জামায়াতে ইসলামীর মতো শক্তি ক্ষমতায় না থাকত, আমাদের অর্জন কত বড় হতে পারত? ক্ষমতার বাইরে থাকার সময়েও বিএনপি এবং তার মিত্ররা রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা কওে চলেছে। তারা শত শত দিন হরতাল-অবরোধ ডেকেছে, যত্রতত্র পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে। এর ফলেও উন্নয়নের পথে কাঁটা পড়ছে।
বাংলাদেশ এ বছর স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করছে। বিএনপি এ স্মরণীয় বার্ষিকী উপলক্ষে কর্মসূচি গ্রহণ করবে কীনা, এমন প্রশ্নই যে অনেকের মনে ছিল। এখন এ দলটির নেতৃত্বে যারা রয়েছেন, তাদের নিশ্চয়ই ১৯৯৬ সালের ২৬শে মার্চের কথা মনে আছে। ওই দিনটিতে পূর্ণ হয়েছিল স্বাধীনতার রজত জয়ন্তী। বিএনপির কোনো কর্মসূচি এ দিনে তো নয়ই, গোটা বছরেও ছিল না। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর রজন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশ ব্যাপক কর্মসূচি নেয়। দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী সংগ্রামের মহান নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা, ফিলিস্তিন মুক্তি সংগ্রামের নেতা ইয়াসির আরাফাত এবং তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী সুলেমান ডেমিরেল এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১৯৯৭ সালের মহান স্বাধীনতা দিবসে বাংলাদেশ সফরে আসেন। তারা সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে বড় ধরনের সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, যেখানে ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন- এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।… সাত কোটি মানুষকে দাবায়ে রাখতে পারবা না।
বিএনপিকে আমরা দেখি ক্ষমতায় থাকুক আর না থাকুক, বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধুদের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটানোর জন্য অপচেষ্টায় লিপ্ত। পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগ তুলে যখন বিশ্বব্যাংক অন্যায়ভাবে ঋণের অঙ্গীকার প্রত্যাহার করে নিয়ে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা ব্যাহত করার অপচেষ্টা চালায়, আমরা দেখি বিএনপি জাতীয় স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে তাদের সঙ্গে সুর মেলায়।
বিএনপি স্বাধীনতার ৫০ বছর পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ কারণে কেউ কেউ ধারণা করেছিলেন- অবশেষে তাদের সুমতি হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে সেটা ঘটেনি। স্মরণীয় মার্চ মাসটিকে তারা সেই পুরানো রেকর্ড বাজানোর জন্যই ব্যবহার করছে। বছরের বাকি সময় কী করবে, বুঝতে সমস্যা হয় না।
পাকিস্তানের ‘ডন’ পত্রিকায় ২০১৯ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি পারভেজ হুদবয় নামের এক কলামিস্ট লিখেছিলেন- পাকিস্তানের অনেকেরই ধারণা ছিল ১৯৭১ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে টিকবে না। বাঙালিরা শেষ পর্যন্ত আমাদের কাছে হাতে-পায়ে ধরে পড়বে, কাকুতি-মিনতি করে বলবে- ভুল করেছি হুজুর, মাফ করে দেন। অনুগ্রহ করে আবার আমাদের পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত করে নিন।
আমরা স্মরণ করতে পারি যে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর যুক্তরাষ্ট্র্রের প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা উপদেষ্টা (পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী) হেনরি কিসিঞ্জার এবং বিশ্বব্যাংকের দুইজন অর্থনীতিবিদ ফালান্ড ও পারকিনসন বলেছিলেন- বাংলাদেশ একটি ইন্টারন্যাশনাল বাস্কেট কেস। তাদের টিকে থাকা নির্ভর করবে উন্নত বিশ্বের দয়ার ওপর। কেউ কেউ তো বাংলাদেশকে বটমলেস বাস্কেট বা তলাবিহীন ঝুঁড়ি বলেও উপহাস করেছিলেন।
বাস্তবতা ছিল ভিন্ন। আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের সুবর্ণ জয়ন্তীর প্রান্তে দাঁড়িয়ে আমরা শুনছি তার স্বীকৃতি। ‘Miraculous’ Bangladesh outshines India, Pakistan on development indicators- শিরোনামে ভারতের বিখ্যাত টাইমস অব ইন্ডিয়ায় ২০২০ সালের ১৮ অগাস্ট প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে লেখা হয়- বাংলাদেশ ‘দক্ষিণ এশিয়ার মিরাকল’।
ভারতের বিখ্যাত টাইমস অব ইন্ডিয়া ২০২০ সালের ১৮ অগাস্ট এ শিরোনামের এক প্রতিবেদনে আরও লিখেছে Bangladesh is a ‘South Asian miracle’।
বিএনপি ও তার মিত্ররা স্বাধীনতার মাস হিসেবে পরিচিত মার্চ মাসটিকে যেভাবে ব্যবহার করছে, তাতে কিন্তু আমাদের এ ধারণাই বদ্ধমূল থাকবে- দলটি আদৌ বদলাতে চায় না। আমাদের গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তরুণ প্রজন্ম জানুক, সে জন্য তাদের বিন্দুমাত্র ইচ্ছা-আগ্রহ নেই। বরং তারা চাইছে, যেখানে যতটা সুযোগ পাওয়া যায়- চলুক না বিভ্রান্তি সৃষ্টি! ক্ষমতায় কিংবা বিরোধী দলে যেখানেই অবস্থান তাদের, সুর একই।
স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর জুড়ে মুক্তিযুদ্ধের গৌরবগাঁথা এবং আমাদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অর্জন নিয়ে আলোচনা হবে, এটাই স্বাভাবিক প্রত্যাশা। আমাদের কোথায় কোথায় ঘাটতি আছে এবং কীভাবে সে সব দূর করা যাবে সেটা নিয়েও আলোচনা কাম্য। অর্থনীতিতে যে ইতিবাচক রূপান্তর ঘটছে, তার গতি বাড়াতে হবে। শিক্ষার মান উন্নত করতে হবে। শহর ও গ্রামের সুযোগ-সুবিধায় সামঞ্জস্য আনতে হবে। ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য কমাতে হবে। আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির সুবিধা ধনবানরা যতটা ভোগ করছে, মধ্যবিত্ত-নিুবিত্তরা সেটা পারছে না। এ ক্ষেত্রে পদক্ষেপ নিতে হবে। দুর্নীতি-অনিয়মের প্রতি কঠোরহস্ত হতে হবে।
এ সব ক্ষেত্রে ক্ষমতায় যারা রয়েছে, তাদের দায় বড়। কিন্তু ক্ষমতার বাইরে থাকা সকল রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তিরও সক্রিয় অংশগ্রহণ চাই। সরকারের বাইরে যারা, ক্ষমতায় যেতে প্রবল আকাঙ্ক্ষা তাদের থাকবেই। তাদের সব পদক্ষেপ-বক্তব্য সব সময় যুক্তিপূর্ণ হবে, এমন আশা করাও ঠিক নয়। ক্ষমতায় না থাকার যে অনেক জ্বালা! তবে এটাও মনে রাখতে হবে যে আওয়ামী লীগ টানা ২১ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকার সময়েও রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিতা হারায়নি। তারা নির্দিষ্ট কিছু এজেন্ডায় অবিচল ছিল- মুক্তিযুদ্ধের ধারায় বাংলাদেশকে ফিরিয়ে আনতে হবে। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী এবং বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচার করতে হবে। পরনির্ভরতা কমিয়ে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করতে হবে। ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ যে লক্ষ্য অর্জনে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নিতে পেরেছে তার মূলে কিন্তু এটাই। এটাও আমাদের ভুললে চলবে না যে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার জন্য যে দীর্ঘ আন্দোলন করেছে তাতে প্রধান মনোযোগ ছিল জনগণকে সম্পৃক্ত করার ওপর। তারা বিএনপি নেতাদের মতো বলেনি- ‘লাঠি লাগে, অস্ত্র লাগে যা কিছু লাগে আমরা প্রস্তত। সাত দিনের মধ্যে সরকারকে ফেলে দেব!’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শক্তির উৎসও ছিল এই জনগণ, যাদের সংগঠিত ও সচেতন করার জন্য দুই দশকেরও বেশি সময় ঘুরেছেন বাংলার পথে প্রান্তরে। এ জনগণের শক্তিতেই তিনি পাকিস্তানের নিষ্ঠুর সামরিক শাসকদের চ্যালেঞ্জ করতে এবং তাদের পরাভূত করতে পেরেছিলেন। তার নাম উচ্চারণ পর্যন্ত নিষিদ্ধ করার পরও যে জনগণ তাকে সর্বোচ্চ সম্মানের আসনে রেখেছে, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালির আসনে ঠাঁই দিয়েছে তার কারণ বুঝতে তাই কারও সমস্যা হয় না।
লেখকঃ একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক
সৌজন্যেঃ বিডিনিউজ২৪