বিএনপি কি স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালনের নৈতিক অধিকার রাখে?

2686

Published on মার্চ 16, 2021
  • Details Image

নুরুল আলম পাঠান মিলনঃ

বিএনপি স্পষ্টতই মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের দল কিন্তু তারা মাঝে মাঝেই মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আদিখ্যেতা দেখায়। এখন নাকি তারা স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করবে। তাদের এই নৈতিক অধিকার আছে? বাংলাদেশকে পাকিস্তানী ভাবধারায় নিয়ে যাবার সকল ষড়যন্ত্র করার পরেও তারা কিভাবে স্বাধীনতার ৫০ বছর পুর্তি উৎসব পালন করে?

আসুন বিএনপি’র জন্ম ও দর্শন নিয়ে কিছু আলাপ করি।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল(বিএনপি) একটি অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল। কিন্তু এই দলের রাজনৈতিক দর্শন ও আদর্শ কোন মুখী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারন করে কি-না, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের দল দাবী করতে পারে কি-না এই নিয়ে বিতর্ক দলটির প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই।

আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র মূলত চুক্তিমুলক রাষ্ট্র; স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র জন্মের মৌলিক ভিত্তি তাই-ই। আমাদের এই ভূখণ্ডে প্রায় এগারোশত বছর পূর্বেই এর নজির স্থাপিত হয়েছে। সপ্তম শতক থেকে প্রায় দেড়’শ বছরের মাৎস্যন্যায়ের পরে ব্যবসায়ী গোপালকে যেভাবে রাজা বানানো হয়েছিল সেখান থেকেই মূলত চুক্তিভিত্তিক রাষ্ট্র কায়েমের ভিত্তি গড়ে উঠে। বাংলাদেশ রাষ্ট্র গঠিত হয়েছে জনগণের দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নেতৃত্বে গঠিত সরকার কর্তৃক মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার মধ্য দিয়ে। সেই নির্বাচিত প্রতিনিধিরা ছিল আওয়ামী লীগ দলীয়। ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্ভরের নির্বাচনের পূর্বে ৭ জুন ঐতিহাসিক রেসকোর্স উদ্যানে বঙ্গবন্ধু যে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন, সেটাই মূলত ভিত্তি। এরই ভিত্তিতে মার্চের অসহযোগ কর্মসূচী, স্বাধীনতার ঘোষণা এবং সরকার গঠন করা হয়। মুজিবনগরে ১৭ এপ্রিল শপথ গ্রহণকারী সরকারের নেতৃত্বেই মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা, বিজয় অর্জন এবং গণপরিষদে একটি সংবিধান গৃহীত হয়। বাস্তবতা হলো, আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক দর্শন ও আদর্শ এবং গৃহীত ও প্রস্তাবিত ইশতেহারই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুলমন্ত্র। বাংলাদেশ একটি আধুনিক জাতীয়তাবাদী রাষ্ট্র হিসেবেই পৃথিবীর মানচিত্রে আবির্ভূত হয়েছে। বলার অপেক্ষা রাখে না, জাতীয়তাবাদী রাষ্ট্র মানেই অসাম্প্রদায়িক ও ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র। এক্ষেত্রে আমাদের ভিত্তি হাজার বছরের বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি ভিত্তিক বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনা। স্পষ্টতই যারা মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিল এই চেতনাকে ধারণ করেই যোগ দিয়েছিল। অসাম্প্রদায়িক ও ধর্ম নিরপেক্ষ বাঙালি জাতীয়তাবাদ ভিত্তিক একটি আধুনিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মৌলিক দর্শন, আদর্শ এবং চেতনা।

মূল আলাপে ফিরে যাই, বিএনপিতে। এই রাজনৈতিক দলটি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের পরে ক্ষমতাসীনদের হাতে জন্মলাভ করে। পঁচাত্তরের রক্তাক্ত ট্র্যাজেডির ধারাবাহিকতায় ৭ নভেম্বর জিয়াউর রহমান গদীনসীন হন। তাঁর হাত ধরেই দলটির উত্থান। প্রথমে কিছু পেশাজীবী ও দলছুট নেতাদের নিয়ে জাগদল গঠন করেন। এর সঙ্গে আরও পাঁচটি দলের সমন্বয়ে একটি ‘ফ্রন্ট’ গঠন করেন। যাকে ‘জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট’ বলেছিল তারা। পরে এই ছয়টি দল একীভূত করে একটি দল গঠন করেন, যাকে ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল’ সংক্ষেপে বিএনপি নামকরণ করা হয়। এই প্রসঙ্গে জিয়াউর রহমানের ঘনিষ্ঠ ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ তাঁর স্মৃতিকথামূলক ‘চলমান ইতিহাস’ নামক গ্রন্থে লিখেছেন, ‘ছয়টি দলের সমন্বয়ে বিএনপি গঠিত। ১) জিয়াউর রহমানের গঠন করা জাগদল(এতে ছিল দলছুট কতিপয় রাজনীতিবিদ ও পেশাজীবীরা। ২) রাজাকার খান এ সবুর ও শাহ্ আজিজুর রহমানের মুসলিম লীগ। ৩) রাজাকার মশিউর রহমান যাদু মিয়া ও আনোয়ার জাহিদের চীনাপন্থী ন্যাপ। ৪) রাজাকার মাওলানা মতিনের ন্যশনাল লেবার পার্টি। ৫) শাহ্ আজিজের পৃষ্ঠপোষকতায় গঠিত শ্রীযুক্ত রশরাজ মণ্ডলের সিডিউল কাস্ট ফেডারেশন। ৬) কাজী জাফর আহমদ-রাশেদ খান মেনন-হায়দার আকবর খান রনো’র চীনাপন্থী দল ইউনাইটেড পিপলস পার্টি সংক্ষেপে ইউপিপি।‘

ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, একমাত্র এখানে ইউপিপিই শুধু মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের স্বীকৃত দল(মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে ছিল ‘পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট গ্রুপ’ নামে) যারা চীনাপন্থী হয়েও মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিল। জাগদল তৈরি হয়েছিল কিছু ব্যক্তির আশ্রয় প্রশ্রয়ের ক্ষেত্র হিসেবে, কতিপয় পেশাজীবী, দলছুট নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে। বাকী চারটি দলের শ্রেণীচরিত্র, মুক্তিযুদ্ধের সময়ে রাজনৈতিক অবস্থান, দর্শন ও আদর্শ স্পষ্টতই স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র জন্মের বিরোধীতাকারী।

রাষ্ট্রের চেহারা পাকিস্তানী ভাবধারায় পাল্টে দেবার দূরভিসন্ধি থেকেই মূলত এমন একটি রাজনৈতিক দলের প্রয়োজন ছিল। এজন্য জিয়াউর রহমান রাষ্ট্র পরিচালন নীতিই বদলে ফেলেন। সংবিধান সংশোধন করে মুক্তিযুদ্ধের মৌলিক চেতনার বদলে পাকিস্তানী ভাবধারা যুক্ত করেন।

পরিবর্তিত বিষয়গুলোকে সাংবিধানিকভাবে কার্যকর করতে জিয়াউর রহমান কতগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। তারমধ্যে Ordinance No. 63 of 1975 এর মাধ্যমে ৩১ ডিসেম্ভর ’৭৫ সালে দালাল আইন বাতিল করেন। একই তারিখে Second Proclamation Order No. 3 of 1975 এর প্রথম তফসিল থেকে দালাল আইনের সেফগার্ড তুলে দেন। ১৯৭৬ সালে সংবিধানের ৩৮ অনুচ্ছেদের শর্তাবলি তুলে দিয়ে Second Proclamation Order No. 3 of 1976 জারি করে বহুদলীয় গণতন্ত্রের নামে ধর্মভিত্তিক দলগুলোর রাজনীতি করার সুযোগ করে দেন। Second Proclamation জারি করে সংবিধানের ১২২ অনুচ্ছেদ তুলে দিয়ে দালাল(যুদ্ধাপরাধী)দের ভোটার হওয়ার সুযোগ করে দেন। রাজাকার শিরোমনি গোলাম আজমকে ১৯৭৬ সালের ১৮ জানুয়ারি নাগরিকত্ব ফিরে পাওয়ার জন্য মন্ত্রনালয় বরাবর আবেদন করতে স্বয়ং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় নোটিশ জারি করে। ১৯৭৬ সালের জুন মাসে এক ঘোষণা বলে ‘বাংলাদেশ কোলাবরেটর্স আদেশ(বিশেষ ট্রাইব্যুনাল) বাতিল করে সকল যুদ্ধাপরাধীদের মামলা তুলে নেওয়া হয়। দালালরা যাতে সংসদে নির্বাচিত হয়ে যেতে পারেন সেজন্য ৬৬ অনুচ্ছেদের কিছু শর্ত তুলে দেওয়া হয় Proclamation Order No. 1 of 1977 জারি করে। দালালদের সুবিধার জন্য একই অর্ডারে ১২ অনুচ্ছেদ বাতিল করা হয়। বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার হত্যাকারীদের রক্ষায় ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে সংসদে পাশ করেন। হত্যার বিচার করা যাবেনা এরকম আইন, যা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল ঘটনা। জিয়ার মন্ত্রীসভা, সংসদ ও প্রশাসনে যুদ্ধাপরাধীদের জয়জয়কার অবস্থা ইতিহাসের অমোঘ সত্য।
এ সবই করা হয়েছিল সামরিক ফরমান বলে। শুধুমাত্র মুক্তিযুদ্ধের সময়ে পাকিস্তানের পক্ষাবলম্বনকারীদের রাজনীতিতে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে। পরবর্তীতে যা সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে সংযোজন করা হয়েছিল। এভাবেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে জলাঞ্জলি দেওয়া হয়েছিল।

বিএনপি’র জন্মলাভ এবং রাষ্ট্রকে পাকিস্তানী ভাবধারায় চেহারা পাল্টে দেয়া একই সূত্রে গাথা।

জিয়াউর রহমানের পাকিস্তানমুখীতা এবং যুদ্ধাপরাধীদের নীতি ও আদর্শের প্রতি জিয়ার অতিমাত্রায় আনুগত্য প্রসঙ্গে ‘চলমান ইতিহাস’ গ্রন্থে মওদুদ আহমদও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁকেও এক চিরকুট বলে পদত্যাগে বাধ্য করেছিলেন তারই আশ্রয়দাতা জিয়াউর রহমান। আজকের বিএনপির রাজনৈতিক ভিত্তি, নীতি-আদর্শ ও দর্শন যে যুদ্ধাপরাধী মুসলিম লীগ, ন্যাপ ও অপরাপর দলগুলোর মিথস্ক্রিয়তায় গড়ে উঠেছে। যে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে, যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বহিঃপ্রকাশ সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত হয়েছে; সেসব মৌলিক বিষয় ও ভিত্তির বিপরীত অবস্থান গ্রহণ ও সংশোধন নিঃসন্দেহে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পরিপন্থী। এটা যেকোনভাবে বিচার্য ধ্রুব সত্য।

বিএনপির প্রসঙ্গে পাকিস্তানের The Herald (Karachi) December 1991 পত্রিকার ১৯৯১ সালের ডিসেম্ভর সংখ্যায় প্রকাশিত একটি প্রবন্ধের একস্থানে বিএনপি’র গঠন সম্পর্কে লেখা হয়েছে "...And with the help of army intelligence, in which he had served for a long time, he was successful in floating his own Bangladesh Nationalist Party(BNP), According to a former officer of the defence intelligence unit(DFU) said to be the Bangladeshi version of the Pakistan's ISI- the blue print of the BNP was prepared by the Army, The philosophy worked out for the BNP was to attack the Awami League where it was most vulnerable and to explicit the Islamic and anti-Indian sentiments of the people, who were disappointed with the performance of the civilian government. According to the Ex-DFI man, a large number of disgruntled Awami Leaguers were inducted into the new party. In addition, age old intelligence contacts in different parties were revived and people from various affiliation as diverse as Bhashanis extreme left wing party to Muslim League were successfully assembled an one platform launched by the establishment the BNP soon became a formidable force." (Source: The Herald, Karachi, December 1991) অর্থাৎ, "জেনারেল সেনাবাহিনীতে গোয়েন্দা বিভাগে অনেককাল ধরে কাজ করার ফলে তিনি গোয়েন্দা বাহিনীর সাহায্যে নিজ দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল(বিএনপি) গঠনে সমর্থ হন। একজন প্রাক্তন সামরিক গোয়েন্দা অফিসারের মতে বিএনপির জন্ম ছিল পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার নীল নকশার ফলশ্রুতি। এই দলের জন্য যে দর্শন নির্ধারিত করা হয় তা হলো আওয়ামী লীগের দুর্বল স্থানে আঘাত করা, ইসলামের স্বপক্ষে ও ভারতের বিরুদ্ধে জনগনের অনুভূতিকে জাগ্রত করা। একজন প্রাক্তন ডিএফআই কর্মচারীর মতে অনেক নিন্দিত আওয়ামী লীগারকে জিয়ার নতুন দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। ভাসানীর নেতৃত্বাধীন চরম বামপন্থী এবং মুসলিম লীগের লোকদের দলে শামিল করে নতুন এই দলকে শক্তিশালী করেন।" এখানেই একই বক্তব্যের যোগসুত্র নিশ্চিত করে। আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৩ সালের ২৩ জানুয়ারি 'বাংলাদেশে স্বৈরতন্ত্রের জন্ম" শিরোনামায় একটি লেখায় কোট করেন।

অতীতে যা ঘটে তাই-ই ইতিহাস। মাত্র ৫০ বছর বয়সী বাংলাদেশ ও তাঁর নাগরিক বাঙালির হৃদয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে টানাপড়েনের অবস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বেগম জিয়ার সরকারে যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী হওয়া, জঙ্গীবাদের উত্থান এবং পরবর্তীতে যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় কর্মসূচী গ্রহণ ও সমর্থন, যুদ্ধাপরাধীদের নিষ্পাপ ঘোষণা করে মুক্তি দাবী এগুলো কোন অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয় নয়, বরং এটাই স্বাভাবিক। জিয়াউর রহমানের ধারাবাহিকতা মাত্র। বিএনপি আদর্শিকভাবে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি।

প্রাসঙ্গিকভাবে গোয়েবলসের দু’টি কথা উল্লেখ করেই শেষ করবো। আমরা শুধু এডলফ হিটলারের প্রচার মন্ত্রী জোসেফ পল গয়েবলস এর ‘একটি মিথ্যা যদি বারবার উচ্চারিত হয়, তাহলে একসময় সেটা সত্যের প্রতিদ্বন্ধী হয়ে উঠে ও মানুষের মন থেকে সত্যকে সরিয়ে দেয়’ এই কথাটি-ই বলে থাকি। কিন্তু এই গোয়েবলসই মৃত্যুর ঠিক আগের দিন তাঁর সৎ পুত্রকে এক পত্রে লিখেন “Do not let yourself be disconcerted by the worldwide clamor that will now begin,” He urged in a letter written to his steps on just days before his death. “There will come a day, when all the lies will collapse under their own weight, and truth will again triumph.” অর্থাৎ “বিশ্বজুড়ে শুরু হওয়া শোরগোলে নিজেকে নিমজ্জিত করো না। কেননা, এমন দিন আসবে যখন সমস্ত মিথ্যা নিজের ভারেই ধ্বংস হয়ে যাবে এবং সত্যের পুনঃরায় বিজয় হবে।”

বিএনপি গোয়েবলসের বিখ্যাত নীতি মেনে চলে ভেবেছে, তারাই জয়ী হয়ে যাবে। মানুষ সবই মেনে নিবে। কিন্তু না, গোয়েবলসই তাদের জন্য সতর্কবাণী দিয়ে গেছেন। তাদের পতন অনিবার্য। পাকিস্তানের দোসররা যখন মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ভালো কথা বলে তখন বুঝতে হবে তাদের ভিন্ন কোন দূরভিসন্ধি আছে।

লেখকঃ সদস্য, সংস্কৃতি-বিষয়ক উপ-কমিটি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত