বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালিত

1147

Published on মার্চ 7, 2021
  • Details Image

৭মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণ দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগর যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে দিবসটি পালন করে। কর্মসূচীসমূহের মধ্যে আজ রবিবার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে কুমারপাড়াস্থ দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে মাইকযোগে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রচার। সকাল ১০টায় দলীয় কার্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বরে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। সকাল ১০.৩০টায় দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সভাপতি ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ডাবলু সরকার।

সভায় এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ঐতিহাসিক ৭মার্চ বাংলাদেশে এই প্রথম জাতীয় ভাবে পালিত হচ্ছে। রেসক্রোর্স ময়দানে ১৯৭১ সালের এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর এই ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেছিলেন। এই ভাষণ মূলত একটি কবিতা। যা পরবর্তীতে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রামান্য ঐতিহ্য হিসেবে ইউনেস্কোর 'মেমোরি অব দা ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে' অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু নিজের মতো করে বাঙ্গালী জাতির হৃদস্পন্দন পরিপূর্ণ ভাবে ব্যক্ত করেছিলেন। আর সেই থেকেই বাঙ্গালী জাতি স্বাধীনতার লক্ষ্যে যার যার অবস্থানে থেকে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহন করা শুরু করেছিলেন। পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠিকে সম্পূর্ণ প্রত্যাখান করে মুক্তির লক্ষ্যে রাজপথে নিজের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিতে কুণ্ঠাবোধ করেন নি।


মোঃ ডাবলু সরকার বলেন, ৭মার্চ ঐতিহাসিক সেই দিন, সকাল থেকেই বঙ্গবন্ধু বিচলিত ছিলেন। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা বঙ্গবন্ধুকে বলেছিলেন, তোমার যা মনে আসে নিজের মতো করে তোমার ভাষণে বলবে। রেসকোর্সের সেই জনসমুদ্রে ১৮ মিনিটের বক্তব্য প্রদান করে জাতির মুক্তির দিক নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছিলেন। এরপর বাঙ্গালী জাতি আর পিছু ফিরে তাকায় নি। তাদের নিশানায় পৌঁছানোর জন্য যার যা আছে তাই নিয়েই ঝাঁপিয়ে পড়েছিলন মুক্তির লক্ষ্যে। আজ বঙ্গবন্ধুর সেই ৭মার্চের ভাষণ নিয়ে গবেষণা হয়। ফ্রান্সে বেশ কয়েকটি ভাষায় সেই ভাষণটি অনুবাদ করা হয়েছে। এটি আমাদের বাঙ্গালী জাতির গর্ব।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি শাহীন আকতার রেনী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, রেজাউল ইসলাম বাবুল, ডাঃ তবিবুর রহমান শেখ, বদরুজ্জামান খায়ের, যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, আলহাজ্ব আসাদুজ্জামান আজাদ, আহ্সানুল হক পিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসলাম সরকার, মীর ইসতিয়াক আহমেদ লিমন, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মীর তৌফিক আলী ভাদু, দপ্তর সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম বুলবুল, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক জিয়া হাসান আজাদ হিমেল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক ফিরোজ কবির সেন্টু, বন ও পরিবেশ সম্পাদক রবিউল আলম রবি, মহিলা সম্পাদিকা ইয়াসমিন রেজা ফেন্সি, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মকিদুজ্জামান জুরাত, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আনসারুল হক, শিল্প ও বানিজ্য সম্পাদক ওমর শরীফ রাজিব, শ্রম সম্পাদক আব্দুস সোহেল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক কামারউল্লাহ সরকার কামাল, উপ-দপ্তর সম্পাদক পংকজ দে, উপ-প্রচার সম্পাদক সিদ্দিক আলম, সদস্য এনামুল হক কলিন্স, মুশফিকুর রহমান হাসনাত, নজরুল ইসলাম তোতা, শাহাব উদ্দিন, আশরাফ উদ্দিন খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ আব্দুল মান্নান, আতিকুর রহমান কালু, সৈয়দ হাফিজুর রহমান বাবু, আব্দুস সালাম, কল্পনা রায়, অ্যাড. শামীমা আক্তার খাতুন, ইসমাইল হোসেন, মোঃ মুজিবুর রহমান, আলিমুল হাসান সজল, জয়নাল আবেদীন চাঁদ, খায়রুল বাশার শাহীন, মোখলেশুর রহমান কচি, মাসুদ আহম্মেদ, কে.এম জুয়েল জামান, আশীষ তরু দে সরকার অর্পণ প্রমুখ।

 

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত