1442
Published on মার্চ 4, 2021দেশে সকল ভৌত অবকাঠামোসহ অন্যান্য কর্মকান্ড টেকসই করতে প্রশিক্ষিত দক্ষ নির্মাণ শ্রমিক প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি আজ জুম প্লাটফর্মের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে দক্ষ শ্রমিক বিনির্মাণে এলজিইডি নির্মিত ‘নির্মাণ দক্ষতা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা জানান।
উল্লেখ্য, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের একান্ত ইচ্ছায় এবং নির্দেশনায় এলজিইডির আওতায় প্রথম বারের মতো একটি ব্যতিক্রমধর্মী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র অর্থাৎ নির্মাণ দক্ষতা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রাতিষ্ঠানিক রুপ পেলো। ২০৪১ সালের ভিশন অনুযায়ী উন্নত দেশ গড়ার উপযোগী দক্ষ মানব সম্পদ সৃষ্টির লক্ষ্যে এ নির্মাণ দক্ষতা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, দেশ উন্নয়নের পথে দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশে প্রচুর অবকাঠামো নির্মাণ হচ্ছে। এসব কর্মকাণ্ড টেকসই করার লক্ষ্যে প্রয়োজন দক্ষ প্রকৌশলী, ঠিকাদার এবং নির্মাণ শ্রমিক। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক স্থাপিত নির্মাণ দক্ষতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র দক্ষ শ্রমিক নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। এ প্রসঙ্গে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, প্রশিক্ষিত শ্রমিকরা ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ এবং ইট গাঁথুনি, রড বাইন্ডিং ও ব্যন্ড, বালু সিমেন্টের মিশ্রণসহ অন্যান্য কর্মকাণ্ড দ্রুততম সময়ে শেষ করতে পারেন। এতে একদিকে যেমন সময়ের অপচয় হয় না অন্যদিকে ব্যয় কমে আসে। আমাদের দেশে প্রচুর মানুষ বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত আছেন। কিন্তু স্ব স্ব পেশায় প্রশিক্ষিত না হওয়ার কারণে তারা যেমনিভাবে লাভবান হন না তেমনিভাবে দেশও সুবিধা নিতে পারছে না বলেও জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, যে সকল শ্রমিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবেন তাদের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী সার্টিফিকেট দেয়া হবে। এই সার্টিফিকেট দিয়ে তারা যেন দেশ ও দেশের বাইরে কাজ করার পাশাপাশি দক্ষ শ্রমিক হিসেবে চিহ্নিত হয় সে ব্যবস্থা করতে হবে।সমানসম্মত ও টেকসই নির্মাণ কাজ করার জন্য প্রকৌশলী, ঠিকাদার ও নির্মাণ শ্রমিকদের প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, অনেক ছেলে-মেয়ে চাকরি না করে ঠিকাদারি হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। প্রকৌশলীগণ বিভিন্ন বিশ^বিদ্যালয়/কলেজ হতে লেখা-পড়া করে আসেন কিন্তু যারা ঠিকাদার হিসেবে কাজ করেন বা নির্মাণ কাজের সাথে শ্রমিক হিসেবে জড়িত হন তাদের কোন ধরণের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ থাকে না। তাদেরকে যদি পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যায় তাহলে দেশে অনেক নতুন ঠিকাদার তৈরি করা সম্ভব।
মোঃ তাজুল ইসলাম জানান, দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই এই প্রতিষ্ঠানের অধীনে পরবর্তীতে একটি বড় প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ করার পরিকল্পনা তাঁর রয়েছে। যাতে করে এলজিইডির অবকাঠামো নির্মাণে সময় কম লাগে এবং অর্থ সাশ্রয় হয়।
এ সময় মন্ত্রী ম্যাসনরি কাজের উপরি একটি প্রশিক্ষণ কোর্সেরও উদ্বোধন করেন। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী, জনাব মোঃ আব্দুর রশীদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
এছাড়া, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মেসবাহ উদ্দিন এবং বাংলাদেশ কারিগরী শিক্ষা বোর্ডের সম্মানিত চেয়ারম্যান, ডঃ মোঃ মোরাদ হোসেন মোল্ল্যাসহ এলজিইডির সকল অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, প্রকল্প পরিচালক, জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীগণ কর্মকর্তাবৃন্দ ভার্চুয়ালী যুক্ত ছিলেন।