ভোলায় ৫২০ গৃহহীন পরিবার পাচ্ছে মাথা গোঁজার ঠাই

1953

Published on জানুয়ারি 19, 2021
  • Details Image

জাহানারা বেগম (৬৫)। স্বামী মারা যাওয়ার পর নদীও নিয়ে যায় তার ঘর ও ভিটে। ৫ সন্তান নিয়ে ঠাঁই হয় অন্যের জমিতে। বছরের পর বছর গড়ায়। দিনমজুর ছেলেরাও নিজের নিজের সংসার পেতে আলাদা হয়ে যায়। এখন ছোট ছেলের আয়ে তার সংসার ঠিকমত চলে না। এমন সময় খবর পেলেন মুজিবের বেটি ঘর দিবে। আবেদন করলেন। লটারিতে ঘরও পেলেন।

মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া পাকাঘর পেয়ে খুশি। শুধু জাহানার নয় তার মতো ভোলা জেলার ৫২০ টি অসহায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার মুজিব বর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার বিশেষ উপহার পাচ্ছেন। মাথা গোঁজার স্থায়ী আবাসন পেয়ে দারুণ খুশি ভূমিহীন হতদরিদ্র সুবিধাভোগী পরিবারগুলো।

ভোলায় ৫২০ গৃহহীন পরিবারকে মুজিব বর্ষের উপহার হিসেবে পাকাঘর নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ঘর উপহার পেয়ে খুশিতে আত্মহারা হতদরিদ্র ভূমিহীন ও গৃহহীন ওইসব পরিবারের সদস্যরা। আজ রবিবার দুপুরে ভোলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক নির্মাণাধীন ঘরগুলো পরিদর্শনে গেলে আনন্দের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন ঘর পাওয়া পরিবারগুলো।

পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন মুজিব বর্ষে কেউ গৃহহীন থাকবে না। তাই প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগে এসব ঘর নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে। আগামী ২৩ জানুয়ারি ভার্চুয়াল মিটিং এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে গৃহহীনদেরকে দুই শতাংশ জমির রেজিস্ট্রি দলিলসহ এই ঘর নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে।

ভোলা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান জানান, আশ্রয়ণের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার, এ স্লোগানকে সামনে রেখে সরকারি খাস জমির ওপর ভূমিহীনদের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আধুনিক আবাস। অসহায় মানুষের মাঝে শুধু ঘর নয়, থাকছে রান্নাঘর, টয়লেট ও সামনে খোলা বারান্দা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ না করে নিজেরাই ঘর নির্মাণ করছেন। ফলে কম খরচে ভাল মানের ঘর নির্মাণ করা সম্ভব হয়েছে। প্রতিটি ঘরের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাখ ৭২ হাজার টাকা।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প ২-এর আওতায় সদর উপজেলায় ১৮২টি, দৌলতখানে ৪২টি, বোরহানউদ্দিনে ২৮টি, লালমোহনে ২০টি, তজুমদ্দিনে ১৮টি, চরফ্যাশনে ৩০টি এবং মনপুরা উপজেলায় ২০০টি ঘর দেয়া হবে। ঘরগুলোর নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত