1243
Published on জানুয়ারি 12, 2021ছাত্র রাজনীতিতে সুনাম ও ঐতিহ্যের ধারায় ফিরিয়ে আসার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
যারা এখনো তরুণদের পেট্রোল বোমা,আগুন সন্ত্রাস ও উগ্র সাম্প্রদায়িকতার পথে ঠেলে দিচ্ছে তাদেরকে এসকল নেতিবাচকতা থেকে বেরিয়ে আসারও আহবান জানান তিনি।
৯ জানুয়ারি সকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপকমিটির কর্মজীবনের কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান তিনি।
তিনি তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও অগ্রগতির চলমান ধারায় বাংলাদেশের প্রতিটি জনপদ আজ আলোয় ঝলমল করছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদ এদেশের উন্নয়ন এবং ইমেজকে চ্যালেঞ্জ করেছিলো কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসে সে বিষদাঁত আজ ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন জাতি আজ লোডশেডিংয়ের অভিশাপ থেকে মুক্ত হয়েছে, ডিজিটাল প্রযুক্তির ছোঁয়ায় বদলে যাচ্ছে সেবাখাত।
প্রযুক্তির ব্যবহার ও সুযোগ সুবিধা এখন বিশ্বমানের বলেও জানান তিনি।
তরুন প্রজন্ম আজ মাদক, সাইবার অপরাধ, আকাশ সংস্কৃতির নেতিবাচক দিকসহ নানান চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন প্রযুক্তি যেমনি বদলে দিয়েছে তেমনি এর ক্ষতিকর প্রভাবও রয়েছে, একদিকে প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে আন্তর্জাতিক মানের ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে হবে, অপরদিকে এর নেতিবাচক দিক থেকে তরুণদের সুরক্ষা করতে হবে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন এসব বাস্তবতায় শেখ হাসিনা সরকারের দেওয়া সুযোগ সুবিধা কাজে লাগিয়ে দেশের তরুণ- তরুণীদের মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে এবং ক্যারিয়ার গড়তে প্রতিটি পরিবারের পাশে থাকতে চায় আওয়ামী লীগ।
তারণ্যের শক্তিকে রাষ্ট্র নির্মাণে কাজে লাগাতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুব উন্নয়ন কার্যক্রম সম্প্রসারণ এবং শিক্ষা, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড জোরদার ও ক্রীড়া চর্চার মাধ্যমে সামাজিক মূল্যবোধের কাজ করছে ।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন মেধাবীদের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করতে হবে। তারা রাজনীতিতে না এলে রাজনীতি মেধাশূণ্য হয়ে পড়বে।
অপরদিকে তিনি জানান চরিত্রবানরা রাজনীতিতে না এলে রাজনীতি চরিত্রহীনদের হাতেও চলে যাবে।
"হিজবুল বাহারে" বিহারের মাধ্যমে মেধাবী শিক্ষার্থীদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে অপরাজনীতি শুরু হয়েছিলো কিন্তু শেখ হাসিনা সে অপরাজনীতি বন্ধের মাধ্যমে শিক্ষাঙ্গনে স্বস্তি এবং লেখাপড়ার পরিবেশ ফিরিয়ে এনেছে বলে জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডক্টর আবদুল খালেকের সভাপতিত্বে কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা ও আওয়ামী লীগের গবেষণা সংস্থা সিআরআই এর কোঅর্ডিনেটর তন্ময় আহমেদ এবং গুরুকুল অনলাইন নেটওয়ার্কের সিইও সুফি ফারুক ইবনে আবু বকর।