স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে যুবলীগের শ্রদ্ধা

1874

Published on জানুয়ারি 10, 2021
  • Details Image

আজ ১০ জানুয়ারি, বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। ১০ ই জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে।

১০ই জানুয়ারি দুপুরে ভারতের বিশেষ একটি বিমানে বঙ্গবন্ধু দিল্লি হতে বাংলাদেশের উদ্দেশ্য রওয়ানা করেন এবং ৩:৩০ টার সময় ঢাকায় ( তেজগাঁও বিমানবন্দর ) পৌছেন, সেদিন সারা দেশ থেকে লাখ লাখ মানুষ ছুটে আসেন বাঙালীর শ্রেষ্ঠ সন্তান বঙ্গবন্ধুকে এক নজর দেখার জন্য। স্বাধীন দেশে ফিরে বাঙালির ভালবাসায় সিক্ত হন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। লক্ষ লক্ষ মানুষ বিমানবন্দর হতে বঙ্গবন্ধু কে নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে উপস্থিত হন। সেদিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (তৎকালীন রেসকোর্স) প্রায় দশ লক্ষ মানুষের সমাবেশে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু আবেগ আপ্লুত হয়ে বলেছিলেন, " যে মাটিকে আমি এত ভালবাসি , যে মানুষকে আমি এত ভালবাসি, যে জাতিকে আমি এত ভালবাসি, আমি জানতাম না সে বাংলায় আমি ফিরে যেতে পারবো কিনা।আজ আমি বাংলায় ফিরে এসেছি বাংলার ভাইদের কাছে , মায়েদের কাছে, বোনদের কাছে।বাংলা আমার স্বাধীন , বাংলাদেশ আজ স্বাধীন "।

আজ ১০ জানুয়ারি ২০২১ইং, রবিবার, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সকাল ৯ টায় ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল এর নেতৃত্বে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ ও সকাল ১০:৩০টায় ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ প্রাঙ্গণে দোয়া মাহফিল, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী ও দুঃস্থদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, ইতিহাসের মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের পথপরিক্রমায় পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তোলে বাঙালি জাতি। বাঙালি জাতিকে মুক্তির মহামন্ত্রে উজ্জীবিত করে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের পথে এগিয়ে নিয়ে যান বঙ্গবন্ধু। তিনি বলেন-বঙ্গবন্ধু ২৯০দিন পাকিস্তানের কারাগারে প্রতি মূহুর্তে মৃত্যুর প্রহর গুনতে গুনতে ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি মুক্তি পান। মুক্তি পেয়ে লন্ডনের হিথ্রো বিমান বন্দর থেকে দিল্লি হয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বাংলার মাটিতে পা রাখেন বাঙালি জাতির ইতিহাসের মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি আরও বলেন-সদ্য স্বাধীন যুদ্ধ-বিধ্বস্ত বাংলাদেশের কিছুই ছিল না। সব ঐ ফেরাউনের দলেরা শেষ করে দিয়ে গিয়েছিল। মাত্র সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে একটি সুন্দর কাঠামোর উপর দাঁড় করান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি আরও বলেন-প্রশাসনের এমন কোন সেক্টর নেই যেখানে তিনি তাঁর মেধা ও প্রজ্ঞা স্বাক্ষর রাখেননি। তাঁরই দেখানো পথে, তাঁরই অসমাপ্ত কাজ স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। তিনি আরও বলেন-এই বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ, এই বাংলাদেশ মুসলমান-হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টানসহ সকল ধর্মাবলম্বীদের। এই বাংলাদেশকে নিয়ে, বাংলাদেশের উন্নয়নকে নিয়ে, বঙ্গবন্ধুকন্যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে নিয়ে যারাই ষড়যন্ত্র করবে বা ষড়যন্ত্র করার ধৃষ্টতা দেখাবে, তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ এর নেতৃত্বে আমরা যুবলীগের প্রতিটি নেতা-কর্মীরা রুখে দাঁড়াবো, তাদের সকল ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিব-বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে এই হোক যুবলীগের অঙ্গীকার।

এসময় আরও বক্তব্য রাখেন-যুবলীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য এড. মামুনুর রশীদ, মঞ্জুর আলম শাহীন, শেখ ফজলে ফাহিম, মোঃ এনামুল হক খান, তাজ উদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মোঃ মাজহারুল ইসলাম, মোঃ সাইফুর রহমান সোহাগ, এড. মোঃ শামীম আল সাইফুল সোহাগ, ঢাকা মহানগর উত্তর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, দক্ষিণ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, উত্তর সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইসমাইল হোসেন, দক্ষিণ ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন-যুবলীগ প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, গ্রন্থণা ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ জহুরুল ইসলাম মিল্টন, শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও পাঠাগার সম্পাদক ব্যারিস্টার আলী আসিফ খান রাজীব, তথ্য ও যোগাযোগ (আইটি) সম্পাদক মোঃ সামছুল আলম অনিক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মোস্তাফিজ, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ হারিছ মিয়া শেখ সাগর, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আব্দুল হাই, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা খলিলুর রহমান সরদার, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক এড. মুক্তা আক্তার, উপ-প্রচার সম্পাদক আদিত্য নন্দী, উপ-দপ্তর সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও পাঠাগার সম্পাদক কাজী খালিদ আল মাহমুদ টুকু, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ (আইটি) সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক ফজলে রাব্বি স্মরণ, উপ-শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক মোঃ ফিরোজ আল আমিন, উপ-কৃষি ও সমবায় সম্পাদক মোল্লা রওশন জামির রানা, উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ গোলাম কিবরিয়া শামীম, উপ-ধর্ম সম্পাদক হরে কৃষ্ণা বৈদ্য, সহ-সম্পাদক মোঃ বেল্লাল হোসেন ফিরোজ, তোফাজ্জল হোসেন তোফায়েল, মোঃ আতাউর রহমান উজ্জল, মামুন আজাদ, মির্জা মোঃ নাসিউল আলম শুভ্র, গোলাম ফেরদৌস ইব্রাহিম, মোঃ মাইদুল ইসলাম, ব্যারিস্টার আরাফাত হোসেন খান, মোঃ আলামিনুল হক আলামিন, জামিল আহমেদ, মোঃ আব্দুর রহমান জীবন, সামিউল আমিন, মোঃ কামরুল হাসান লিংকন, মোঃ বাবলুর রহমান বাবলু, এ কে এম মুক্তাদির রহমান শিমুল, হিমেলুর রহমান হিমেল, আহতাসামুল হাসান ভূইয়া রুমি, মোঃ রাশেদুল ইসলাম সাফিন, মোঃ আবু রায়হান রুবেল, মোঃ মনিরুজ্জামান পিন্টু, মোঃ মনিরুল ইসলাম আকাশ, কার্যনির্বাহী সদস্য এড. মোঃ নাজমুল হুদা নাহিদ, সরদার মোহাম্মদ আলী মিন্টু, এড. মোঃ গোলাম কিবরিয়া, প্রফেসর ড. মোঃ আরশেদ আলী আশিক, আবুল কালাম আজাদ, মোঃ শহিদুল ইসলাম লাকী, জিএম গাফফার হোসেন, এড. কাজী বশির আহমেদ, রাজু আহমেদ ভিপি মিরান, মোঃ মজিবুর রহমান, ইঞ্জি. মুক্তার হোসেন চৌধুরী কামাল, এড. মোঃ শওকত হায়াত, ইঞ্জি. আবু সাঈদ মোঃ হিরো, ইঞ্জি. মোঃ আসাদ উল্লাহ তুষার, মানিক লাল ঘোষ, মোঃ মোবাশে^র হোসেন স্বরাজ, মোঃ নূর হোসেন সৈকত, মোঃ মুজিবুর রহমান মুজিব, মোঃ তারিক আল মামুন, এ বি এম আরিফ হোসেন, ডা. মোঃ আওরঙ্গজেব, এড. মোঃ সাজেদুর রহমান বিপ্লব, বিকাশ চন্দ্র হাওলাদার, মোঃ আরিফুল ইসলাম উজ্জল, ড. মোঃ রায়হান সরকার রিজভীসহ কেন্দ্রীয়, মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড নেতৃবৃন্দ।

যে স্বপ্ন ও প্রত্যাশা নিয়ে জাতির পিতা পাকিস্তানের শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে ‘স্বাধীন ও সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠা করেন, দীর্ঘ পথ-পরিক্রমায় তারই সুযোগ্য উত্তরসূরী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে আজ স্বাধীন বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে অর্থনৈতিক সর্বসূচকে এগিয়ে। অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থান এই পাঁচটি সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার আজ মানুষের দোরগোড়ায়। শেখ হাসিনার সুদৃঢ় নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা আজ বিশ্ব মানচিত্রে স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পথে। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল রাষ্ট্র। বাংলাদেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার পথে।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আত্মমর্যাদাশীল অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণ হোক আমাদের অঙ্গিকার।

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত