শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধাঞ্জলি

880

Published on ডিসেম্বর 14, 2020
  • Details Image

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। সোমবার সকাল ১০টায় নগরীর চৌাহাট্রাস্থ সিলেট শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

এসময় উপস্তিত ছিলেন, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, আশফাক আহমদ, অ্যাডভোকেট নিজাম উদ্দিন।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, হুমায়ুন ইসলাম কামাল, মোহাম্মদ আলী দুলাল, অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান, কবির উদ্দিন আহমদ, অ্যাডভোকেট রনজিত সরকার, ডাঃ আরমান আহমদ শিপলু, অ্যাডভোকেট খোকন কুমার দত্ত, নাজনীন হোসেন, সৈয়দ এপতিয়ার হোসেন পিয়ার, আখলাকুর রহমান চৌধুরী সেলিম, অ্যাডভোকেট আজমল আলী, অ্যাডভোকেট বদরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, শমশের জামাল, মজির উদ্দিন, অ্যাডভোকেট আব্বাছ উদ্দিন, গোয়াইনঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ, গোলাপ মিয়া, অ্যাডভোকেট মনসুর রশীদ, বুরহান উদ্দিন আহমেদ, শাহিদুর রহমান চৌধুরী জাবেদ, অ্যাডভোকেট আফসার আহমদ প্রমুখ। 

১৯৭১ সালের এ দিনে দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তার দোসর রাজাকার আল-বদর, আল-শামস বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। বুদ্ধিজীবী হত্যার ঠিক দুদিন পর ১৬ ডিসেম্বর জেনারেল নিয়াজির নেতৃত্বাধীন বর্বর পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করে এবং স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।

১৯৭১ সালে শহীদের বুদ্ধিজীবীদের বেছে বেছে হত্যার ঘটনা বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। তারা শহীদ হন এক সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে। হানাদার পাকিস্তানী বাহিনী তাদের পরাজয় আসন্ন জেনে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার লক্ষ্যে বুদ্ধিজীবী নিধনের এই পরিকল্পনা করে। চরম বিপর্যয় আসন্ন, পরাজয় একেবারেই সন্নিকটে- তখনই তারা সেই পরিকল্পনা কার্যকর করে। তালিকাভুক্ত বুদ্ধিজীবীদের চোখ বেঁধে নিয়ে হত্যা করে। তারা স্বাধীন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎকে এভাবেই অন্ধকার করার পাঁয়তারা করেছিল।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানের এ দেশীয় দোসর আল-বদরের সাহায্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ও বিভিন্ন স্থান থেকে শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, সংস্কৃতি কর্মীসহ বিভিন্ন পেশার বরেণ্য ব্যক্তিদের অপহরণ করা হয়। পরে নিদারুণ যন্ত্রণা দিয়ে রায়েরবাজার ও মিরপুরে তাদের হত্যা করা হয়। এ দুটি স্থান এখন বধ্যভূমি হিসেবে সংরক্ষিত।

মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে ১০ থেকে ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে আল-বদর বাহিনী আরো অনেক বুদ্ধিজীবীকে ধরে নিয়ে মোহাম্মদপুর ফিজিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে স্থাপিত আল-বদর ঘাঁটিতে নির্যাতনের পর রায়েরবাজার বধ্যভূমি ও মিরপুর কবরস্থানে নিয়ে হত্যা করে।

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে রয়েছেন- অধ্যাপক মুনির চৌধুরী, ডা. আলিম চৌধুরী, অধ্যাপক মুনিরুজ্জামান, ড. ফজলে রাব্বী, সিরাজ উদ্দিন হোসেন, শহীদুল্লাহ কায়সার, অধ্যাপক জিসি দেব, জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা, অধ্যাপক সন্তোষ ভট্টাচার্য, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, সাংবাদিক খন্দকার আবু তাহের, নিজামউদ্দিন আহমেদ, এসএ মান্নান (লাডু ভাই), এ এন এম গোলাম মোস্তফা, সৈয়দ নাজমুল হক, সেলিনা পারভিনসহ আরো অনেকে।

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত