3042
Published on ডিসেম্বর 2, 2020আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বাংলাদেশের জন্য নির্ভরযোগ্য ও কার্যকর আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো হিসেবে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সিস্টেম স্থাপন প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈকি পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এতে ব্যয় হবে ৬৯৩ কোটি ১৬ লাখ ৭১ হাজার টাকা।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগর এনইসি সম্মেলনকক্ষে একনেক চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এই প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসবভন গণবভন থেকে ভার্চুয়ালি সভায় যুক্ত হন।
সভাশেষে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. শামসুল আলম ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের জানান, একনেক সভায় মোট ২ হাজার ১১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে চারটি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন,‘ মোট প্রকল্প ব্যায়ের মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে পাওয়া যাবে ১ হাজার ৪৪০ কোটি ৮৭ লাখ টাকা, বাস্তবায়নকারি সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ৩০০ কোটি ৮৩ লাখ এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে পাওয়া ৩৭৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।’
একনেকে অনুমোদিত চার প্রকল্পের মধ্যে একটি নতুন এবং বাকী তিনটি সংশোধিত প্রকল্প।
অনুমোদিত প্রকল্পের বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ করে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য মামুন-আল-রশিদ বলেন, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল) অক্টোবর, ২০২০ থেকে জুন, ২০২৪ মেয়াদে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।
তিনি জানান, সিঙ্গাপুর থেকে ফ্রান্স পর্যন্ত সংযুক্ত এসইএ-এমই-ডব্লিউই-৬ সাবমেরিন ক্যাবলটি ভারত মহাসাগর,আরব সাগর, লোহিত সাগর হয়ে ভূ-মধ্যসাগর অবধি বিস্তৃত হবে। ক্যাবলটির কোর ল্যান্ডিং স্টেশন হবে সিঙ্গাপুর,ভারত,জিবুতি, মিশর ও ফ্রান্সে।বাংলাদেশের ব্রাঞ্চটি বঙ্গোপসাগর হয়ে কক্সবাজার ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন পর্যন্ত বিস্তৃত হবে।
শামসুল আলম বলেন, সভায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার জানিয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে ব্যান্ডউইথ কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে সৌদি আরব, ভারত, নেপাল ও ভুটান। আনুষ্ঠানিকভাবে ভুটান ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য প্রস্তাব দিয়েছে, অনানুষ্ঠানিকভাবে আগ্রহ প্রকাশ করেছে সৌদি আরব ও নেপাল।
এই সংবাদে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সৌদি আরব কীভাবে ব্যান্ডউইথ নেবে বিষয়টি পরিষ্কারভাবে জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
শামসুল আলম আরও বলেন, প্রতিদিন দেশেও ব্যান্ডউইথের চাহিদা বাড়ছে। এছাড়া ২০২৫ সালে একটি সাবমেরিন ক্যাবল অকেজো হয়ে যাবে। এ জন্য সময়োপযোগী একটি প্রকল্প হাতে নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী খুশি হয়েছেন। এ প্রকল্পের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে।