960
Published on ডিসেম্বর 2, 2020মুজিববর্ষে স্বাধীনতাবিরোধী, মৌলবাদী, সাম্প্রদায়িক অপশক্তির ধৃষ্টতার প্রতিবাদে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারক সংক্ষুব্ধ নাগরিক সমাজের বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন ঘোষণা ও দাবি 'র সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ।
মুজিববর্ষে স্বাধীনতাবিরোধী, মৌলবাদী, সাম্প্রদায়িক অপশক্তির ধৃষ্টতার প্রতিবাদে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারক সংক্ষুব্ধ নাগরিক সমাজের বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন ঘোষণা ও দাবি'র সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীকে সাথে নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু গত ১ ডিসেম্বর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দেন।
সংগঠনের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ বলেন স্বাধীনতা বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ এক ও অভিন্ন। জাতীয়তাবাদ, ধর্ম নিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র বাংলাদেশের সংবিধানের মূলমন্ত্র। ৭১'র পরাজিত অপশক্তি, ৭৫ ও ২১শে আগস্টের খুনীচক্র বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র লিপ্ত! জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা সকল অপশক্তিকে মোকাবেলা করতে সদা সর্বদা জাগ্রত। জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা উগ্র ধর্মান্ধ, সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী, ফতোয়াবাজ, ধর্ম ব্যবসায়ীদের প্রতিহত করতে যথেষ্ট বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু বলেন উগ্র, ধর্মান্ধ, মৌলবাদী, ফতোয়াবাজ ধর্ম ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সারাদেশের সকল সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন তথা আপামার জনতা পুষে উঠেছে! তাঁরা বিএনপি জামাতের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য বিশৃন্খলা সৃষ্টির লক্ষ্যে ধর্মের অপব্যখ্যা দিয়ে জাতির পিতার ভাস্কর্য নির্মান নিয়ে মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে ! স্বাধীনতার ৫০ বছরেও বিএনপি জামাতের ধৃষ্টতা, আস্ফালন প্রমান করে তারা নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়নি! তাদের আর কোন ছাড় নয়! যেখানে পাওয়া যাবে সেখানে তাদের প্রতিহত করা হবে। স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি'র বাংলাদেশে কোন ঠাঁই হবে না। তিনি আরও বলেন যতকাল রবে পদ্মা মেঘনা গৌরী যমুনা বহমান, ততকাল রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি বলেন বঙ্গবন্ধু'র বাংলায় জামাত, শিবির, রাজাকারের কোন ঠাঁই হবেনা।
জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ, ধর্ম ব্যবসায়ী, ফতোয়াবাজদের যেকোন মূল্যে প্রতিহত করা হবে বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
নাগরিক সমাজের পক্ষে সরকারের নিকট একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সহ ৬০ সংগঠন নিন্মোক্ত দাবি পেশ করেন।
১. অবিলম্বে জাতির পিতা এবং বাংলাদেশের সংবিধান অমান্যকারী মামুনুল - বাবুনগরী গংকে গ্রেপ্তার করতে হবে এবং করোনা মহামারীকালে স্বাস্থ্যবিধি লংঘনকারী সবরকম সমাবেশ নিষিদ্ধ করতে হবে।
২. ধর্মের পবিত্রতা রক্ষার জন্য এবং ধর্মের নামে যাবতীয় হত্যা ও সন্ত্রাস বন্ধের উদ্দেশ্যে ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তে লেখা সংবিধানে বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বপ্রদানকারী তাঁর সহযোগীরা ধর্মের নামে রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছিলেন। অবিলম্বে বাংলাদেশে জামায়াত হেফাজতের মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসী রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে।
৩. বিভিন্ন স্থানে ওয়াজ মাহফিল ও খুতবার নামে ভিন্নধর্ম, ভিন্নমত, নারী এবং ভিন্ন জীবনধারায় বিশ্বাসীদের প্রতি ঘৃণা - বিদ্বেষ প্রচারকারী ও হুমকি প্রদানকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
৪. সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, চেতনা এবং জাতির পিতার জীবন ও দর্শন পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
৫. মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও চেতনা অস্বীকারকারীদের শাস্তির জন্য কার্যকর আইন দ্রুত পাশ করুন। ১ ডিসেম্বর জাতীয়ভাবে " মুক্তিযোদ্ধা দিবস" পালনের ঘোষণা দিন।
৬. অবিলম্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় শিক্ষানীতি, নারীনীতি,সংস্কৃতিনীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
৭. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশ, জাতি, সংবিধান এবং জাতির পিতার বিরুদ্ধে বিষোদগারকারীদের কঠোর শাস্তি প্রদান করতে হবে।
এসময় বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষসহ স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয়, মহানগর, থানাও ওয়ার্ডের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।