করোনা ভ্যাকসিনের ব্যবহার পরিকল্পনাঃ ঝুঁকির বিচারে প্রাপ্যতা বিবেচনা করা হবে

2500

Published on নভেম্বর 27, 2020
  • Details Image

জাতীয় কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রমের প্রস্তুতি ও বাস্তবায়ন পরিকল্পনা সংক্রান্ত এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় করোনা ভ্যাকসিন ব্যবহার পরিকল্পনা উপস্থাপন করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) বিকালে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টশনে বলা হয় বাংলাদেশ সরকার, সিরাম ইনস্টিটিউট ইন্ডিয়া ও বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যালস লিঃ এর মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত কোভিড-১৯ এর ৩ কোটি ডোজ টিকা ক্রয় করবে। এই টিকাটি ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় সংরক্ষণযোগ্য, যার অবকাঠামো বাংলাদেশে বিদ্যমান রয়েছে।

প্রথম ডোজ নেয়ার ২৮ দিন পর দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগ করা হবে।

টিকার পর্যায়ভিত্তিক প্রাপ্যতা বিবেচনা করে প্রাথমিকভাবে কোভিড-১৯ সংক্রামণের সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীসমূহ তথা কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবিলায় নিয়োজিত স্বাস্থ্য কর্মীগণ, সম্মুখসারীর কর্মীগণ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাহীন জনগোষ্ঠী, বয়োজ্যেষ্ঠ জনগোষ্ঠী, দীর্ঘমেয়াদী রোগে আক্রান্ত প্রাপ্ত বয়স্ক জনগোষ্ঠী, শিক্ষা কর্মী এবং গণপরিবহন কর্মীগণ টিকা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে।

বাংলাদেশের সকল জনগোষ্ঠী পর্যায়ক্রমে করোনা ভ্যাকসিনের টিকা পাবে। বিশ্বের যে ১৭টি দেশ অগ্রাধিকারভিত্তিতে করোনার টিকা পাচ্ছে তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি।

টিকাদান কার্যক্রম আরম্ভ হওয়ার পূর্বে অগ্রাধিকার প্রাপ্ত জনগোষ্ঠীর তালিকা প্রণয়ন এবং তালিকা প্রনয়ন ও টিকা প্রদানে জাতীয় পর্যায়ে, জেলা পর্যায়ে এবং উপজেলা পর্যায়ে মনিটরিং কমিটি গঠন করা হবে মর্মে সভায় সিদ্ধান্ত হয়।

তথ্যসূত্র: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত