সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ইতিবাচক ব্যবহারে অভিভাবকদের সচেতনতা জরুরী

1971

Published on নভেম্বর 12, 2020
  • Details Image

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন সমাজের সকল স্তরের মানুষকে মিথ্যা ও গুজবের বিরুদ্ধে সচেতনভাবে মোকাবেলা করতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহার করে একটি মহল অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে ভুয়া ও মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টির প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আবার বিষয়ের গভীরে না গিয়ে আধুনিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেজবুক প্লাটফর্মে অনেকেই দেশ, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী আজ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সি’র উদ্যোগে তিন মাসব্যাপী “আসল চিনি” ক্যাম্পেইনের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে জুম অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

গুজবের বিরুদ্ধে সকলকে সজাগ ও তৎপর থাকতে হবে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন ডিজিটাল প্রযুক্তির শক্তি ও সোসাল মিডিয়ার পজেটিভ ব্যবহারকে উৎসাহিত করতে শিক্ষক ও অভিভাবকদের আরও সচেতন হতে হবে।

তিনি বলেন দেশে গত ১১ বছরের প্রযুক্তির যে উন্নয়ন হয়েছে তার সুফল পেতে এবং একুফল থেকে রক্ষা পেতে ২০১৮ সালে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন করা হয়েছে। সাইবার ক্রিমিনাল আইডেন্টিফাই করতে ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সি ও কম্পিউটার ইন্সিডেন্স রেসপন্স টিম গঠন করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

পলক বলেন চারটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যকে সামনে রেখে চারটি আলাদা আলাদা ধাপে সাজানো হয় আসল চিনি ক্যাম্পেইন। প্রথমত, মিথ্যা ও গুজব সম্পর্কে মানুষকে জানানো, দ্বিতীয়ত মানুষকে শিক্ষিত করে তোলা, তৃতীয়ত মানুষকে সম্পৃক্ত করা এবং মিথ্যা আর গুজবের উৎস বের করে রিপোর্ট করতে অনুপ্রাণিত করা। তিনি নিরাপদ বাংলাদেশ গড়তে সন্তানদের মানবিক ও গুনগত শিক্ষায় শিক্ষিত করতে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকসহ সমাজের সকলকে সচেতন থাকতে হবে।

ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সি’র মহাপরিচালক ও এলআইসিটি প্রকল্প পরিচালক মো. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডিজিটাল প্লাটফর্মে সংযুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বিসিসির নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব, এলআইসিটি প্র্রকল্পের পলিসি এডভাইজার সামি আহমেদ, বেসিসের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর, উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ফোরামের প্রেসিডেন্ট নাসিমা আক্তার নিশা, বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা আরিফ হাসান অপু ও গুজবের শিকার হয়ে মৃত্যুবরনকারি তসলিমা বেগম রেনুর মামা নাসির উদ্দিন টিটো। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন ডিজিটাল কমিউনিকেশন স্পেশালিস্ট হাসান বেনাউল ইসলাম।

পরে প্রতিমন্ত্রী সমাপনী অনুষ্ঠানে “আসল চিনি” ক্যাম্পেইনের বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন।

“আসল চিনি” ক্যাম্পেইনে পোস্টার ডিজাইন, রচনা লিখন এবং ভিডিও নির্মাণ প্রতিযোগিতায় পোস্টার ডিজাইন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন আমরান আহমেদ, বিশেষ জুরি পুরস্কার পেয়েছে জুনায়ানা রহমান মুনতাহা, যৌথভাবে প্রথম রানার আপ শ্যামল সাহা এবং মোঃ মেজবা-উল হোসেন। রচনা লিখন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন মোঃ সাজিদ ইকবাল, যৌথভাবে প্রথম রানার আপ হয়েছেন তানিয়া এবং শেখ আল-আমিন, যৌথভাবে দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছেন জিনিয়া আক্তার ঋতু এবং আকিলা ফারুক ওহী। ভিডিও নির্মাণ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন রহিম সৈকত, রানার আপ মোঃ রাকিবুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সি (ডিএসএ) এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) এলআইসিটি প্রকল্প যৌথভাবে গত ৮ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত তিন মাসব্যাপী এ ক্যাম্পেইনে দেশের প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষকে সচেতন করে, যাদের ৭০ শতাংশই ৩৪ বছরের নীচে। তরুণ-তরুণীদের জন্য রচনা লিখন, পোস্টার ডিজাইন এবং ভিডিও নির্মাণ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত