4676
Published on নভেম্বর 9, 2020নতুন শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিতে প্রতিবছর পালিত হয় বই উৎসব। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। যথাসময়ে বই উৎসব পালনের লক্ষ্যে সারাদেশে বই পাঠাতে শুরু করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। এখন পর্যন্ত দেশের ৩৪ জেলার ১৬২টি উপজেলায় যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে প্রাথমিকের দেড় কোটি বই হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বছর প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ৩৬ কোটি বই বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে।
এনসিটিবি জানায়, তিন সপ্তাহ ধরে প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণির পাঠ্যবই পাঠানো শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত সাড়ে তিন কোটি বই ঢাকার বাইরে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে দেড় কোটি বই যথাযথ কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করা হয়েছে। আর হস্তান্তরের অপেক্ষায় রয়েছে আরও দুই কোটি বই। এছাড়া বিভিন্ন উপজেলায় প্রাক-প্রাথমিকের জন্যও প্রায় এক কোটি বই পাঠানো হয়েছে। ১৫ ডিসেম্বরের আগে সব মিলিয়ে আরও ৩২ কোটি বই পাঠানো হবে।
এ বছর প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ৩৬ কোটি বই বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে। যেখানে প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা পাবে প্রায় ১০ কোটি ৫৪ লাখ বই। এছাড়াও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা বই পাবে ২৪ কোটি ৪১ লাখ। আর এসব বই ছাপাতে সরকার খরচ করছে এক হাজার একশ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে এনসিটিবি চেয়ারম্যান নারায়ন চন্দ্র সাহা বলেন, ‘বই উৎসবটি আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা সবসময়ই চেয়েছি শিক্ষার্থীরা যেন বছরের শুরুতে নতুন বই হাতে পায়। এটি তাদের লেখাপড়ায় অনেক বেশি প্রেরণা জোগায়। এবার করোনার কারণে হয়তো সেভাবে উৎসব হবে না। তবে নতুন বছরের প্রথম দিনেই শিক্ষার্থীরা বই হাতে পাবে।’
তিনি জানান, নির্ধারিত সময়ে শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্যপুস্তক তুলে দিতে দিনরাত কাজ করছেন ছাপাখানার কর্মচারীরা। বই তৈরির পর ছাড়পত্র পাওয়ামাত্র জেলা-উপজেলা পর্যায়ে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষকরা যেন আগে থেকেই প্রস্তুতি সেরে রাখতে পারে সে ব্যাপারেও তাদের বলে দেওয়া হয়েছে।
সূত্রঃ সারাবাংলা