1052
Published on নভেম্বর 2, 2020বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটি আয়োজিত ওয়েবিনারে যুক্ত হয়ে এক দশকে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করছেন বক্তারা। পাশাপাশি, তারা এদেশের জনগণের সংগ্রাম, সাফল্যের মূল্যায়ন এবং এগিয়ে যাওয়ার গল্পও তুলে ধরেন।
রোববার (১ নভেম্বর) 'বাংলাদেশের ৫০ বছর: অর্থনীতি, সমাজ, জনগণ ও নেতৃত্ব' শীর্ষক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়।
ওই ওয়েবিনারের মূলবক্তা ছিলেন ড. ডায়ান বোল্টন, ড. অ্যারিক জ্যানসেন এবং ড. অ্যান্ডার্স কর। ওয়েবিনারে আরও যুক্ত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ জমির।
এদিকে, আলোচনায় অস্ট্রেলিয়ার সুইনবার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের এডজ্যান্ট প্রফেসর ড. ডায়ান বোল্টন বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের ক্ষেত্রে সুশাসন ও সুদক্ষ নেতৃত্বের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এসডিজি অর্জনের ক্ষেত্রে পরিকল্পনা গ্রহণে সমতার নীতি ও কাউকে পিছনে না রেখে চলার ওপর অধিক গুরুত্বারোপ করেন ডায়ান বোল্টন।
অন্যদিকে, ড. অ্যারিক জ্যানসেন ৭০ দশকের শেষের দিকে একজন রিসার্চ ফেলো হিসেবে কাজ করার সময় বাংলাদেশে তার অভিজ্ঞতার স্মৃতিচারণের মাধ্যমে আলোচনা শুরু করেন। তিনি ১৯৭০ ও ৮০'র দশকে বাংলাদেশের ভয়ানক দুরাবস্থার চিত্র বর্ণনা করেন। তুলনামূলক আলোচনায় অ্যারিক জ্যানসেন গত এক দশকে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন।
অপরদিকে, সাম্প্রতিক সময়ে জাতিসংঘের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যকে সাধুবাদ জানান ড. অ্যান্ডার্স কর। একই সঙ্গে তিনি বিশ্ব শান্তি ও শোষণমুক্ত সমাজ গঠনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গৃহীত পদক্ষেপসমূহেরও প্রশংসা করেন।
সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান তার বক্তৃতায় গত এক দশকে বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়ানো এবং উন্নয়ন-অগ্রগতির সংক্ষিপ্ত প্রতিচিত্র তুলে ধরেন।
আলোচনা সভায় ড. শাম্মী আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের কারণেই টেকসই অর্থনৈতিক অগ্রগতি অর্জন সম্ভবপর হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ধারাবাহিক উন্নয়নের কথা তুলে ধরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির এ ধরনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান ড. আব্দুল মোমেন এবং খ্যাতিমান এই গবেষকদের মতামত সংরক্ষণ করার আহ্বান জানান।