1789
Published on অক্টোবর 26, 2020সনাতন ধর্মালম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে সিলেট নগরীর বিভিন্ন পূজামন্ডপ পরিদর্শন করেছেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। শনিবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে নগরীর নাইওরপুলস্থ রামকৃষ্ণ মিশন, মিরাবাজারস্থ শ্রী শ্রী বলরাম জিউর আখরা, গোপালটিলা সার্বজনীন পূজামন্দির, দাঁড়িয়াপাড়ার চৈতালী সংঘ, সনাতন যুব ফোরাম, মির্জাজাঙ্গালাস্থ মনিপুরী রাজবাড়ী, কাজলশাহ সার্বজনীন পূজামন্ডপ, বাগবাড়ী পূজামন্ডপ, আখালিয়াস্থ শ্রী শ্রী কালিবাড়ী, করেরপাড়ার শাপলা সংঘ ও করেরপাড়া সার্বজনীন পূজামন্ডপ সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ পরিদর্শন করেন।
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ পূজা মন্ডপে বক্তব্য দিতে গিয়ে বলেন, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। এই বিশ্ব মহামারীর মাঝে হয়তো আপনারা সীমিত আকারে পূজা পালন করছেন। স্বাস্থ্য বিধি মেনে এবং শান্তি -শৃঙ্খলা বজায় রেখে পূজা করছেন। তারপরেও যদি কোনো ধরনের অসুবিধা হয় তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে অবগত করবেন। আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করার চেষ্টা করব। আপনারা জানেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এ বছর হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে দুই কোটি টাকা বিতরণ করেছেন যাতে আপনাদের একটু সহযোগিতা হয়। এই সহযোগিতা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে এবং পরিধিও বাড়বে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বজায় রেখে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। তবে ইদানিং একটি ঘটনা নিয়ে একটা রাজনৈতিক দল সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আপনারা সবাই সর্তক থাকবেন। যাতে কোনো বিভ্রান্তি ছড়াতে না পারে। আপনাদের পূজা সফল ও স্বার্থক হোক। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ জাকির হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সব ধর্মের সমান অধিকারের রাজনীতি বিশ্বাস করে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা চান, বাংলাদেশ একটি শান্তিপূর্ণ অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হউক। তিনি বলেন, এ বছর হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে মহানগরের প্রায় ৩৫ টি পূজা মন্ডপ প্রধানমন্ত্রীর অনুদানের সহযোগিতা পেয়েছে। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বদিচ্ছা বাংলাদেশ যেন সব ধর্মের বাসযোগ্য নিরাপদ মাতৃভূমি হউক । আমরা সবাই ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্কের মাধ্যমে বাংলাদেশে অবস্থান করি। আমরা বিশ্বাস করি মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যে পতাকা পেয়েছি , যে পতাকায় রক্ত খচিত লাল সূর্য আছে এই সূর্য সব শহীদের। এখানে ধর্মের কোনো প্রাধান্য নেই। মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সব ধর্মের শহীদের রক্তের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতার পতাকা। আমরা সবাই মিলে এই পতাকার সম্মান সমুন্নত রাখবো। এখানে স্বাধীনতা বিরোধী, যুদ্ধাপরাধী কোনো অপশক্তি যেন অবস্থান করতে না পারে। আমরা সবাই মিলে সর্তক থাকবো। আজকের দিনে আপনাদের প্রার্থনা হোক মহামারী মুক্ত একটি নতুন বিশ্বের। স্বাস্থ্য বিধি মেনে অনুষ্ঠান পালন করুন, এই প্রত্যাশা রাখি। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, এডভোকেট প্রদীপ ভট্রাচার্য্য, বিজিত চৌধুরী, এডভোকেট কিশোর কুমার কর, মো. আব্দুর রহমান জামিল, বিধান কুমার সাহা, প্রদীপ পুরকায়স্থ, দিবাকর ধর রাম, সুদীপ দেব, সেলিম আহমদ, রজত কান্তি গুপ্ত, এডভোকেট বেলাল আহমদ, মাহফুজ চৌধুরী জয়, প্রভাষক রনদ্বীপ চৌধুরী, অমিতাভ চক্রবর্তী রনি, সিরাজুল ইসলাম মিরাজুল প্রমুখ।