3645
Published on অক্টোবর 1, 2020বাংলাদেশে খেজুর, গম, পেঁয়াজ, কিসমিস প্রভৃতি রপ্তানি করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইরান। পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে চা, পাট,আম, মসলাসহ বিভিন্ন ফুড আইটেম ও শাকসবজি নেয়ার আগ্রহ ব্যক্ত করেছে।
আজ বাংলাদেশে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ রেজা নফর (Mohammad Reza Nafar) বৃহস্পতিবার কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক, এমপির সাথে বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎকালে এমন আগ্রহ প্রকাশ করেন।
কৃষিমন্ত্রী ইরানের রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করতে অনুরোধ জানান। ইরানের রাষ্ট্রদূত জানান, ইরানে তুলনামূলকভাবে পেঁয়াজের দাম অনেক কম। বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হবে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের নানাবিধ উদ্যোগ এবং কৃষিখাতে প্রণোদনার ফলে কৃষিতে অভাবনীয় সাফল্য এসেছে। বাংলাদেশ দানাদার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। এখন মূল লক্ষ্য হলো কৃষিকে বাণিজ্যিকীকরণ ও আধুনিকীকরণ করা। সেজন্য কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বাজারজাতে বাংলাদেশ সরকার গুরুত্বারোপ করছে। এসময় কৃষিমন্ত্রী বাংলাদেশ থেকে ইরানে আম,আনারসসহ বিভিন্ন ফলমূল ও শাকসবজি রপ্তানির এবং ইরান থেকে গম ও পেঁয়াজ আনার আগ্রহ ব্যক্ত করেন।
সাক্ষাৎকালে কৃষি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, বায়োটেকনোলজি, এগ্রো ফুড প্রসেসিং ও প্যাকেজিং, জলবায়ু অভিঘাতসহনশীল বিভিন্ন জাত উদ্ভাবন ও গবেষণা, বাণিজ্য নিয়ে দুদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়।
কৃষিক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা করে ইরানের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ রেজা নফর বলেন, বাংলাদেশ সরকারের যুগোপযোগী ও বাস্তবমুখী পদক্ষেপের ফলে করোনা পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদনের ধারা অব্যাহত রেখেছে। যা খুবই প্রশংসনীয়। রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, বাংলাদেশ ও ইরানের কৃষিক্ষেত্রসহ অনেক বিষয়ে একসাথে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। এছাড়া,দুদেশের বেসরকারি খাতের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদেরকেও পারস্পরিক সহযোগিতা ও বাণিজ্য খাত চিহ্নিতকরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদারে উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে।