করোনাকালে গণভবনে যেভাবে ছিলেন শেখ হাসিনা-রেহানা ও পুতুলঃ বিশেষ সাক্ষাৎকার

1889

Published on সেপ্টেম্বর 28, 2020
  • Details Image

বিপ্লব বড়ুয়া জানান, একজন মানবিক মানুষ শেখ হাসিনা। করোনাকালে তিনি গণভবনে বসে রাষ্ট্র পরিচালনার পাশাপাশি দলও পরিচালনা করেছেন। কোথাও কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিন্দুমাত্র দেরি হয়নি। সঠিক সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছেন সঠিক সময়ে। আর্থিক প্রণোদনা কিংবা দলের নেতাকর্মীদে নির্দেশনা, সবকিছু তিনি করেছেন সঠিক সময়ে। তার প্রতিটি সিদ্ধান্তের মাধ্যমে মানুষ উপকৃত হয়েছে। আজকে বিশ্বনেতারা কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর করোনাকালীন নেতৃত্বকে অভিনন্দন জানিয়েছেন, তারা সমর্থন জানিয়েছেন। এটা বিশ্ব গণমাধ্যমেও এসেছে।

তিনি বলেন, ‘একেবারে লকডাউনের সময়ে গণভবনে ছিলেন বঙ্গবন্ধুর আরেক কন্যা শেখ রেহানা, ছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কন্যা অটিজম বিশেষজ্ঞ সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। তারা কিন্তু করোনাকালীন সময়ে সাধারণ মানুষের মতোই দিনযাপন করেছেন। তারাও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেছেন। এ কারণে উনার যে পরিচারিকা বা উনার যে প্রতিদিনের কাজে যে সহায়তা ছিল সেখানে ওইভাবে তিনি লোকজন রাখেননি। অনেককে ছুটি দিয়েছেন। কিংবা তারাও তাদের মতো করে বিচ্ছিন্নভাবে ছিল। ওই সময়ে উনারা তাদের প্রতিটি ব্যক্তিগত কাজ সবাই নিজেদের মতো করেছেন। নিজেদের রান্না নিজে করে খেয়েছেন। নিজেদের কাপড় নিজেরা পরিষ্কার-আয়রন করেছেন। তারা এই ব্যক্তিগত কাজগুলো করেছেন। একইভাবে ব্যক্তিগত কাজের পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করেছেন। একাধিক মিটিং করেছেন। আন্তর্জাতিক ফোরামে তিনি বক্তব্য রেখেছেন এবং দল পরিচালনা করেছেন।’

বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, ‘তার মানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা; তিনি উনার পিতাকে কাছ থেকে দেখেছেন যে দুঃসময়ে মানুষের পাশে থাকা, মানুষের সেবা করা, মানুষের কল্যাণ করা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এটি রাজনীতির একটি ব্রত হিসাবে তিনি এ কাজটি করেন। তিনি রিলিজিয়াসলি কাজটি করেন, নিষ্ঠার সঙ্গে কাজটি করেন এবং তিনি করেছেন। উনার সাদামাটা বাঙালির যে জীবন, তিনি করোনাকালীন সময়ে তিনি সেটাই কাটিয়েছেন।’

করোনাকালে গণভবনে যেভাবে ছিলেন শেখ হাসিনা-রেহানা ও পুতুল

করোনাকালে যারা কষ্ট পেয়েছেন, তাদের খোঁজখবর নিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সরকার তো প্রণোদনা দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তালিকা করা হয়েছে, সেখানে আর্থিক সহায়তা, খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে কিন্তু এর বাইরে তিনি ব্যক্তিগতভাবে বঙ্গবন্ধু কন্যারা কত লোকের কত সহযোগিতা করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তথা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কন্যাদ্বয় শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা দুজনের সাথে বাংলাদেশের অনেক মানুষের সাথে ওনাদের ব্যক্তিগত পর্যায়ে যোগাযোগ রয়েছে। যারা ওনাদের বিভিন্ন তথ্য পাঠিয়েছেন কিংবা সোশ্যাল মাধ্যমে কিংবা গণমাধ্যমের তরফ থেকে যে সমস্ত তথ্য এসেছে, তারা সেখানে খোঁজখবর নিয়েছেন। সরকারি সহযোগিতার পাশাপাশি তারা ব্যক্তিগত তহবিল থেকেও সহযোগিতা দিয়েছেন।’

করোনাকালে সাধারণ বিপদগ্রস্থ অসহায়দের পাশে দাঁড়ানোর উদাহরণ দিয়ে বিপ্লব বড়ুয়া জানান, ঢাকার যে রিকশা, এই রিকশার পিছনে যারা ছবি আঁকেন। যারা পেইন্টার যারা আর্ট করেন, এ ধরনের ক্ষুদ্র পেশার মানুষকে কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা লোক দিয়ে তালিকা তৈরি করে তাদেরকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন। আমরা তো খ্যাতিমানদের খবর জানি, যারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে, যাদের আর্থিক স্বচ্ছলতা ভালো কিন্তু একই পেশায় যারা রয়েছে, যাদের আর্থিক স্বচ্ছলতা নেই, যারা করোনার সময়ে মুখ ফুটে কাউকে নিজের অভাব অভিযোগের কথা বলতে পারেননি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই ধরনের অসংখ্যা শিল্প, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবীর বাড়িতে খাবার দিয়েছেন গণভবন থেকে, তাদেরকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন। এটি গণমাধ্যমে প্রকাশ হোক, তারাও চায় না। আমরা জানি, যে সমস্ত ব্যক্তিবর্গ করোনায় অসুস্থ হয়েছেন, তাদের পরিবারের সঙ্গে ওনারা সার্বক্ষণিক টেলিফোনে যোগাযোগ রেখেছেন। হাসপাতালে যোগাযোগ করে চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন।’

‘আমি একটা উদাহারণ দিতে পারি, ডাক্তার বরেণ দা, যিনি ল্যাব এইডের কার্ডিওলজিস্ট। তিনি স্বস্ত্রীক করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। এ ধরনের মানুষের খবরও তিনি নিয়েছেন। ওনারা যখন যাদেও খবর পেয়েছেন, যারা মারা গেছেন, তাদের পরিবারের সদস্যদের ব্যক্তিগতভাবে টেলিফোন করে সহমর্মিতা জানিয়েছেন।’

‘তাই সবাই আমাদের বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে করোনাযুদ্ধে এক হয়েছেন। কারণ বঙ্গবন্ধু কন্যা এটাকে ওন (ধারণ) করেছেন। তিনি চেতনার উপলব্ধি দিয়ে হৃদয়ে ধারণ করেছেন। এটি সবাই মিলে মোকাবিলা করতে হবে এবং সেভাবে তিনি সেটি কেরছেন।’

’গণভবনে অনেকের যাতায়াত ছিল না। স্বাস্থ্যবিধির কারণে। কিন্তু কারও সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যার কোনো কমিউনিকেশন গ্যাপ ছিল না। তিনি একাধিকবার আওয়ামী লীগ অফিসে ভিডিও কল করেছেন। সেখানে দলের নেতাকর্মীদের খোঁজখবর নিয়েছেন। আমাদের জেলা উপজেলা পর্যায়েও নেতাদের তিনি টেলিফোন করে খোঁজখবর নিয়েছেন। অনেক জায়গায় জেলা পরিষদ, জেলা প্রশাসক এবং সংশ্লিষ্ট যারা সরকারের সামরিক বেসামরিক কর্মকর্তা ছিলেন, তাদেরকে নিজে ফোন করে তিনি খোঁজ খবর নিয়েছেন। যাতে করে মানুষের কষ্ট কম হয়, মানসিকভাবে সবাই সাহস পায়। এই প্রচেষ্টা তিনি নিয়েছেন। এ কারণে আজকে দেখেন, আমাদের করোনার যে মৃত্যুর হার চারপাশের দেশের তুলনায় অনেক কম।‘

‘করোনা নিয়ে অনেকে অনেক ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন, অবশ্যই এটা মহামারি আকারে যেভাবে পাশ্চাত্য কিংবা ধনী রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ইতালিতে যেভাবে মহামারি ধারণ করেছিল এবং আমাদের পাশ্ববর্তী দেশ ভারত বলেন, পাকিস্তান বলেন, সেখানেও যেভাবে মৃত্যুর হার যেভাবে মানুষ মারা গেছে, সে তুলনায় এখন উপরওয়ালার অশেষ কৃপায় এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার যে যথাযথ নীতিমালা গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন ও ব্যক্তিগত নজরদারির কারণে এখানে কিন্তু আজ পর্যন্ত ওভাবে মানুষের প্রাণহানি হয়নি। আমরা দেখেছি যে, যেখানে করোনা আক্রান্ত হয়েছে, প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর ১৪তম ও ১৫তম সপ্তাহে মৃত্যুর হারটা অনেক উপরে গিয়েছিল। কিন্তু আমাদের দেশে আজকে অনেকদিন হয়ে গেছে এখন পর্যন্ত আমরা একটা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে সক্ষম হয়েছি। শুরুতে আমাদের মধ্যে একটা আতঙ্ক ছিল। আমরা এই রোগের চিকিৎসা পদ্ধতি কি, এই রোগের বৈশিষ্ট্য কি? আমরা তো সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা, কোনো ডাক্তার পৃথিবীর কোনো চিকিৎসক সুর্নিদিষ্ট কোনো তথ্য দিতে পারেননি। সোশ্যাল মিডিয়ায় একেক সময় একেক ধরনের ভয়ংকর খবর এসেছে। যে কারণে মানুষ আতংকিত হয়েছে এবং আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে মানুষ হাসপাতালে ভীড় করেছে।’

করোনাকালে গণভবনে যেভাবে ছিলেন শেখ হাসিনা-রেহানা ও পুতুল

‘শুরুতেই আমাদের চিকিৎসক সমাজ, নার্সরা ভীত ছিলেন। এ কারণে শুরুর দিকে এক ধরনের একটা অব্যবস্থাপনা ছিল। হয়তো বা মানুষের একটু কষ্ট হয়েছে। আমার কথা হচ্ছে, যেহেতু এই পৃথিবীর কোনো স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বা কোনো রাষ্ট্র বা সরকারি ব্যবস্থা এই মহামারি মোকাবিলা করতে পারিনি। সেই তুলনায় তাদের যে ধন সম্পদেও তুলনায়, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার তুলনায় আমরা আমাদের সীমিত ধন সম্পদ, স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থা নিয়ে যতটুকু মোকাবিলা করতে পেরেছি জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে, আমি মনে করি এখন পর্যন্ত আমরা খুব ভাল জায়গায় আছি। এটা সারা পৃথিবী বলছে।’

বিপ্লব বড়ুয়া আশাবাদ প্রকাশ করে জানান, ‘এ মহামারি থাকবে না। মহামারি নিয়ন্ত্রিত হবে। আজকে যে টিকা আসছে, এই টিক তো যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, ভারত, রাশিয়া অনেকেই এই টীকা আবিষ্কারের দ্বারপ্রান্তে দাবি করছে। তারা বিভিন্ন ধাপ অতিক্রম করছে। এখানে আমাদের নেত্রী যেটা বলেছেন যে, যারাই টীকা আবিষ্কার করুক। আমরা আন্তর্জাতিক বাজার থেকে দ্রুততম সময়ের মধ্যেই টীকা কিনে এনে আমরা দেশের মানুষকে সুরক্ষা দেব। নেত্রী এটা বলেছেন। সেজন্য বাজেটে ১০ হাজার কোটি টাকা থোক বরাদ্ধ রাখা হয়েছে। এ কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ আমাদের এখানে ট্রায়াল দেওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। চীন পাঠাচ্ছেন অথবা অন্যান্য দেশও পাঠাবেন। তাদের ট্রায়ালে যদি এটা সাকসেসফুল হয়, সফল যদি হয় তাহলে এফডিএ ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অনুমোদন দেয়, তাহলে যখন এটা কর্মাশিয়ালি উৎপাদন হবে, আমাদের নেত্রী স্বল্পতম সময়ের মধ্যে দ্রুততম সময়ের মধ্যে মানুষকে ভ্যাকসিন এনে সুরক্ষা দেবেন, এই নিশ্চয়তা তিনি বাজেটেই দিয়েছেন।’

‘আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা এই মূর্হূতে খারাপ, এটা সারাবিশ্বেরই খারাপ। তবু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সরকার পরিচালনায় যে ধারাবাহিকতা রক্ষা করেছেন ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর থেকে একারণে তিনি অর্থনৈতিক নীতিমালা গ্রহণ করেছেন, বাস্তবায়ন করতে পেরেছেন। যার কারণেই আজকে এই করোনাকালীন সময়ে আমরা প্রণোদনা দেওয়ার মত আমরা সাহস দেখিয়েছি। আমরা যে প্রণোদনা দিয়েছি। এক লাখ কোটি টাকার উপর এটি আমাদের পাশের রাষ্ট্রের কেউ সেভাবে সাহস দেখাতে পারেনি। কারণ আমরা যে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা গত এক দশকে অর্জন করেছি বলেই দেশের এই দুঃসময়ে আমাদের সরকার ঝুঁকি নিতে পেরেছে। আশা করি এই মহামারি থাকবে না এবং আবার আমরা বঙ্গবন্ধু কন্যা আমাদেরকে যে, স্বপ্ন দেখিয়েছেন সমৃদ্ধির উন্নত বাংলাদেশ এবং সে লক্ষ্যে বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে। ৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা এই বাজেট যদি আমরা বাস্তবায়ন করতে পারি, স্বচ্ছতার সঙ্গে সততার সঙ্গে তাহলে অবশ্যই আমাদের দেশের অর্থনীতি আগের জায়গায় আসবে এবং স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ বেড়েছে। স্বাস্থ্য খাতে অতীতের যেকোন সরকারের চেয়ে এবার সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যখাতে বিনিয়োগের ফলে আমাদের মানুষ সুফল পাবে এবং আগামীতে এ ধরনের ভাইরাসের সংক্রমণ যদি আসে, যাতে আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্মূল করতে পারি, সেই ব্যবস্থা রেখে স্বাস্থ্যখাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা হয়েছে।’

বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, ‘শুধু কি করোনা? করোনার এই লকডাউন পরিস্থিতে আমাদের দেশে ঘূর্ণিঝড় আম্পান উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেই রাতে সারারাত না ঘুমিয়ে উপদ্রুত এলাকার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে গণভবনে বসে সকল ধরনের নির্দেশনা দিয়েছেন। মানুষ যাতে কম ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয় তার জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া চেয়েছেন, নামাজ পড়ে দোয়া আদায় করেছেন। মানুষের মঙ্গল কামনায় প্রার্থনা করেছেন। আবার সারারাত জেগে পরেরদিন সকালে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মিটিং করেছেন, নির্দেশনা দিয়েছেন। মানুষের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে নির্দেশনা দিয়েছেন, নগদ সহায়তা পৌঁছে দিতে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি গণভবনে বসে আম্পান উপদ্রুত এলাকার প্রশাসন ও দলীয় নেতাদের সাথে ফোনে কথা বলেছেন।‘

বিপ্লব বড়ুয়া জানান, ‘আশা করি, আমাদের সুদিন আসবে এবং আমরা দেশের সকল নাগরিক মিলে বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে সুদিনের অপেক্ষায় আমরা আছি। তবে ষড়যন্ত্র আছে। এটিও আমাদের মনে রাখতে হবে। করোনাকালীন সময়ে কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের বক্তব্য, বিবৃতি আমরা দেখেছি। তাদেরকে দেখেছি। সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার একটি ষড়যন্ত্র। সরকারের যেকোন ব্যবস্থা নিয়ে জনগণের কাছে বিভ্রান্তি ছড়ানোর একটি ষড়যন্ত্র দেখছি আমরা। তারা কোনো কাজ করে নাই, রিলিফ দেয় নাই। কিন্তু তারা সমালোচনা নিয়ে ব্যস্ত আছেন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ধরনের তথ্য গুজব ছড়িয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার ষড়যন্ত্র করেছেন। কিন্তু তারা সফল হয়নি। এরকম ষড়যন্ত্র আমরা আগেও দেখেছি। এই ষড়যন্ত্রকারী কারা তাদেরকে আমরা চিনি জানি এবং তারা দেশ-বিদেশেও সরকারের বিরুদ্ধে যখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে করোনা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে এবং মানুষ অর্থনৈতিকভাবে একটি কমম্ফোটেবল জায়গায় আছে, এত ক্রাইসিসের পরেও, তখন আমরা দেখছি যে কোনো কোনো মহল দেশে এবং দেশের বাইরে সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। ষড়যন্ত্র সম্পর্কে আমাদের সরকার অত্যন্ত সতর্ক রয়েছে এবং বাংলাদেশের জনগণকে নিয়ে আমরা ষড়যন্ত্রকারীদেরকে পরাজিত করা হবে।‘

করোনাকালে আওয়ামী লীগের অসংখ্যা নেতাকর্মী জনগণের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে করোনাআক্রান্ত হয়েছেন আগামী দিনে তাদের পরিবারকে দল থেকে কোনো মূল্যায়ন করা হবে কি না এ বিষয়ে বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, ‘আমরা তালিকা সংগ্রহ করছি। কারা কারা মারা গেছেন। এটা চলমান প্রক্রিয়া। তাদের যে ত্যাগ, মানুষের কল্যাণের জন্য তাদের যে ত্যাগ, তারা যে জীবন দিয়েছেন। সেটি আমাদের দলের চিন্তার মধ্যে রয়েছে। আমরা তাদেরকে এই ত্যাগকে রাজনৈতিকভাবে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি এবং তাদের মূল্যায়ন অবশ্যই দল করা হবে।’

ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনে দলের উপদফতর সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছিলেন। আর ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করার পর দলের এই নির্ভরযোগ্য কর্মীকে ব্যক্তিগত সহকারী করে নেন। পরে দলের ২১তম জাতীয় কাউন্সিলে সাংগঠনিকভাবেও পদোন্নতি পান, পরিণত হন দফতর সম্পাদকে। সেই আওয়ামী লীগের দফতরের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী হিসেবে তার খুব কাছ থেকে কাজ করে চলেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল ও সরকার পরিচালনায় মানবিক বিভিন্ন দিক নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন সারাবাংলার সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট নৃপেন রায়

সৌজন্যেঃ সারাবাংলা.নেট

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত