2058
Published on সেপ্টেম্বর 21, 2020নাগর নদের পানি প্রবাহের প্রায় দুই কিলোমিটার পথে কচুরী পানার স্তুপ ভয়াবহ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করেছিলো নাটোরের সিংড়া উপজেলার তাজপুর ইউনিয়ন পরিষদ ভবন সংলগ্ন ব্রীজে। এতে পাশ্ববর্তী তাজপুরসহ ১২টি গ্রামের কৃষকদের দুই হাজার একর জমির রোপা ধান ছিলো হুমকির মুখে। এছাড়া ৩০ ফুট গভীর নদের পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হওয়ায় তাজপুর ব্রীজও ছিলো ঝুঁকির মধ্যে।
তাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিন সরদার, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল জব্বার সহ স্থানীয় এলাকাবাসী বিষয়টি মুঠোফোনে জানায় স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে। বিষয়টি জানতে পেরে তৎক্ষণাত নাটোরের জেলা প্রশাসক, সিংড়া উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে অবহিত করে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে কচুরিপানা অপসারণের জন্য নির্দেশনা দেন প্রতিমন্ত্রী। সেই নির্দেশনা মেনে ভুক্তভোগী কৃষকদের নিয়ে কচুরিপানা অপসারণের কাজ শুরু হয়েছে।
স্থানীয় হাফিজুর রহমান, নাজমুল হাসান, রহিদুল ইসলামসহ আরও কয়েকজন কৃষক জানান, নদীর পানি বাধাগ্রস্থ হয়ে প্রতিদিন মাঠে যে ভাবে পানি বাড়ছে তাতে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে মাঠের ফসলের পাশা পাশি এই এলাকার বাড়ি ঘরও পানিতে তলিয়ে যাবে। প্রতিমন্ত্রী জানার পর আওয়ামী লীগ নেতারা আমাদের সাথে নিয়ে কচুরিপানা অপসারণের কাজ শুরু করেছে।
তাজপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভপতি আব্দুল জোব্বার বলেন, নাগর নদীর প্রায় ২০ থেকে ২৫ ফুট নদীর গভীর পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হয়ে গেছে এই কচুরী পানা আটকে থাকায়। কচুরী পানার স্তুপ এতো শক্ত যে এর উপর দিয়ে মানুষ হাটা চলা করতে পারছে। আমরা প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের নির্দেশে কচুরী পানা সরানোর উদ্যোগ নিয়েছি।
কৃষকদের স্বার্থে কচুরিপানা অপসারণে অংশ নেয়া দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। অতীতে যে কোন দুর্যোগে চলনবিলবাসীর পাশে আওয়ামী লীগ কর্মীরা ছিলো জানিয়ে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন আগামীতেও কৃষি ও কৃষকের স্বার্থে কাজ করবে আওয়ামী লীগ।