3206
Published on সেপ্টেম্বর 15, 2020ভালনারেবল গ্রুপ ডেভেলপমেন্ট (ভিজিডি) হিসেবে আগামী ২০২১-২২ সালে দুই বছর মেয়াদে ১০ লাখ ৪০ হাজার উপকারভোগী অতিদরিদ্র নারীদের মাঝে ৩০ কেজি করে চাল প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। তিনি বলেছেন, 'সরকারের ভিজিডি কর্মসূচী দারিদ্রপীড়িত ও দুঃস্থ গ্রামীণ নারীদের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। ভিজিডির মাধ্যমে এসব নারীরা খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা, পুষ্টিহীনতা, অর্থনৈতিক নিরাপত্তাহীনতাকে সফলভাবে অতিক্রম করে চরম দারিদ্রতার স্তর থেকে বের হয়ে আসার সক্ষমতা অর্জন করেছে’।
আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত 'ভিজিডি কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির' সভায় তিনি বলেন, করোনা সময়ে আমাদের সকল সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি চলমান আছে। পাশাপাশি অসহায ও দুঃস্থ নারীদের মোবাইল ব্যাংকের মাধ্যমে নগদ অর্থ প্রদান করা হয়েছে। যা বাংলাদেশের নারী ও শিশুদের খাদ্য পুষ্টি ও আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নে বৃহৎ সাসাজিক নিরাপত্তামুলক কার্যক্রম। মহিলা ও শিশু বিষক মন্ত্রণালয় থেকে ৭ লাখ ৭০ হাজার মাকে মাতৃত্বকাল ও ২ লাখ ৭৫ হাজার কর্মজীবী নারীকে ল্যাক্টেটিং মা ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। এ মন্ত্রণালয় থেকে মোট সাসাজিক নিরাপত্তায় উপকারভোগীর সংখ্যা ২০ লাখ ৮৫ হাজার নারী। এ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ২০০১-০২ থেকে ২০৯-২০অর্থবছর পর্যন্ত ভিজিডির মোট উপকারভোগীর সংখ্যা ৭১ লাখ ৪০ হাজার।
প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরার সভাপতিত্বে সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফরিদা পারভীন, অতিরিক্ত সচিব ড মহিউদ্দীন আহমেদসহ খাদ্য মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, ইআরডি, স্থানীয় সরকার বিভাগ ও বিশ্ব খাদ্য সংস্থার প্রতিনিধি এসময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা আরো বলেন, করোনা মহামারির কারনে অনেক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। সমাজের নিম্ন আয় ও দিন আনে দিন খায় এমন শ্রেণীর মানুষ বিশেষ করে শ্রমজীবী নারীরা অনেক কষ্টে আছে। এই সময়ে প্রকৃত দুঃস্থ ও অসহায় নারী যারা ভিজিডিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সকল শর্ত পূরণ করবে তাদের নির্বাচন করতে হবে। ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলা কমিটিগুলোকে শতভাগ নিরপেক্ষতার সাথে ভিজিডি উপকারভোগী বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। ভিজিডি বাছাই প্রক্রিয়া মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর থেকে সার্বক্ষণিক মনিটর করা হবে। এক্ষেত্রে কোন ধরনের অনিয়ম হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী পথ শিশু পুনর্বাসনে কাজ করে যাচ্ছে। ভিজিডি অতিদারিদ্রপীড়িত গ্রামীণ নারীদের দারিদ্রতা দূর করে স্বাবলম্বী হতে সাহায্য করছে।