4394
Published on সেপ্টেম্বর 12, 2020প্রফেসর এম কামরুজ্জামানঃ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন স্বার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রথম রাষ্ট্রপতি। মুজিবনগর সরকার, জাতির পিতার বাংলাদেশের প্রথম সরকার। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক স্বাধীনতা ঘোষণার পর ১০ এপ্রিল ১৯৭১ মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলা গ্রামে মুজিবনগর সরকার গঠিত হয়। ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল আওয়ামী লীগের এমএনএ এবং এমপিএদের অংশগ্রহণে কুষ্টিয়া জেলার সীমান্তে অনুষ্ঠিত অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে মুক্তিযুদ্ধ ও সরকার পরিচালনার জন্য মন্ত্রিপরিষদ গঠিত হয়। এই মন্ত্রিপরিষদ এবং এমএনএ ও এমপিএ-গণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মহামান্য রাষ্ট্রপতি করে স্বাধীন সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ঘোষণা করেন।
সংবিধানের বৈশিষ্ট্যগত চরিত্র, প্রণয়ন পদ্ধতি, সংজ্ঞা বিশ্নেষণ, রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের স্বতঃস্ফুর্তভাবে মেনে নেয়া কিংবা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি সব মিলিয়ে দ্ব্যর্থহীভাবে প্রতীয়মান হয় যে, স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র বাংলাদেশের প্রথম সংবিধান যার আলোকে মুজিবনগর সরকার গঠিত ও পরিচালিত হয়েছিল। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামকে গতিশীল করার প্রয়াসে সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে পাকিস্তানী সামরিক জান্তার হাতে বন্দি বাংলার মানুষের অবিসংবাদিত নেতা স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকেই গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করা হয়। মহামান্য রাষ্ট্রপতি হিসেবে তিনি সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক, ক্ষমা প্রদর্শনের ক্ষমতাসহ প্রজাতন্ত্রের সকল নির্বাহী ও আইন প্রণয়ন ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন। শুধু তাই নয়- প্রধানমন্ত্রী ও অন্য মন্ত্রীদের নিয়োগ, কর আরোপ ও অর্থ ব্যয়ের ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির কাছে অর্পণ করা হয়। রাষ্ট্রপতির অনুপস্থিতিতে উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম রাষ্ট্রপতির সকল ক্ষমতা প্রয়োগ এবং দায়িত্ব পালন করবেন মর্মে ঘোষণা করা হয়। এ প্রসঙ্গে ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল ঘোষিত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে দৃষ্টি নিবন্ধ করা যায়।
স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে ’যেহেতু ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর থেকে ১৯৭১ সালের ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশে অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে শাসনতন্ত্র রচনার উদ্দেশ্যে প্রতিনিধি নির্বাচিত করা হয়েছিল; এবং
যেহেতু এই নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ ১৬৯টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ দলীয় ১৬৭ জন প্রতিনিধি নির্বাচিত করেছিল; এবং ………
বাংলাদেশকে একটি সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্র ঘোষণা করছি এবং এর দ্বারা পূর্বাহ্নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণা অনুমোদন করছি; এবং
এতদ্বারা আমরা আরও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি যে শাসনতন্ত্র প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপ্রধান এবং সৈয়দ নজরুল ইসলাম উপ-রাষ্ট্রপ্রধান পদে অধিষ্ঠিত থাকবেন; এবং
রাষ্ট্রপ্রধান প্রজাতন্ত্রের সশস্ত্র বাহিনীসমূহের সর্বাধিনায়ক পদে অধিষ্ঠিত থাকবেন; ক্ষমা প্রদর্শনের ক্ষমতাসহ সর্বপ্রকার প্রশাসনিক ও আইন প্রণয়নের ক্ষমতার অধিকারী থাকবেন; এবং
তার কর ধার্য ও অর্থব্যয়ের ক্ষমতা থাকবে; এবং
বাংলাদেশের জনসাধারণের জন্য আইনানুগ ও নিয়মতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য অন্যান্য প্রয়োজনীয় সকল ক্ষমতারও তিনি অধিকারী হবেন। ……
আমরা আরও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি যে, আমাদের এই স্বাধীনতার ঘোষণা ১৯৭১ সনের ২৬শে মার্চ থেকে কার্যকর বলে গণ্য হবে।’
উপরন্তু বঙ্গভবনের রোল অব অনারেও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ২৬ মার্চ ১৯৭১ হতে স্বাধীন স্বার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম মহামান্য রাষ্ট্রপতি হিসেবে লিপিবদ্ধ করা আছে।
স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র বিশ্লেষণ করলে এটি স্পষ্ট যে, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ হতে স্বাধীন স্বার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম রাষ্ট্রপতি তথা সরকার প্রধান হিসেবে সফলতার সাথে সরকার পরিচালনার লক্ষ্যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, অর্থ, শিল্প ও বানিজ্য মন্ত্রণালয়, মন্ত্রিপরিষদ সচিবালয়, সাধারণ প্রশাসন বিভাগ, স্বাস্থ্য ও কল্যাণ মন্ত্রণালয়, তথ্য ও বেতার মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ত্রাণ ও পূনর্বাসন মন্ত্রণালয়, সংসদ বিষয়ক বিভাগ, কৃষি বিভাগ ও প্রকৌশল বিভাগ গঠন করেন। সরকার পরিচালনার প্রয়োজনে বাংলাদেশের প্রথম সরকার কর্তৃক স্বাভাবিকভাবেই মন্ত্রণালয়সমূহের দায়িত্ব সম্বলিত বিবরণী প্রকাশ করা হয়। শুধু তাই নয় মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম পরিচালনার প্রয়োজনে সরকার কর্তৃক বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক মন্ত্রণালয়ের বাইরে আরো কয়েকটি সংস্থা যেমন পরিকল্পনা কমিশন, শিল্প ও বাণিজ্য বোর্ড, নিয়ন্ত্রণ বোর্ড, যুব ও অভ্যর্থনা শিবির, ত্রাণ ও পুনর্বাসন কমিটি, শরণার্থী কল্যাণ বোর্ড গঠন করা হয়। বেসামরিক প্রশাসনকে অধিক গণতান্ত্রিক করার জন্য বাংলাদেশের আঞ্চলিক সুবিধা চিন্তা করে সমগ্র বাংলাদেশকে ১৯৭১ এর জুলাই মাসে ৯টি অঞ্চল এবং সেপ্টেম্বর মাসে চূড়ান্তভাবে ১১টি অঞ্চলে ভাগ করা হয়।
প্রতিটি জোন যাতে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে পারে তা তত্ত্বাবধানের জন্য আঞ্চলিক প্রশাসনিক পরিষদ গঠিত হয়। সংশ্লিষ্ট এলাকার জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদ সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত চেয়ারম্যানকে পরিষদের প্রধান করা হয়। সরকার হতে চেয়ারম্যানের অধীনে একজন করে সচিব নিযুক্ত করা হয়। একই সাথে প্রতিটি জোনে সরকার হতে ৭ জন করে কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয় তাদের বিভাগীয় কাজ সম্পাদন করতে।
উপরন্তু যুদ্ধকালীন সময়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ব্যয়, যুদ্ধক্ষেত্র থেকে প্রাপ্ত সম্পদের সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা, বন্ধুপ্রতিম দেশসমূহ থেকে প্রাপ্ত অর্থ সাহায্যের সুষ্ঠু ব্যবহার ইত্যাদি কাজ শৃঙ্খলার সাথে পরিচালনা করার উদ্দেশ্যে গঠিত হয় অর্থ, শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের কাজ শুরু হওয়ার পর কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে এবং এই ব্যবস্থা সরকারী চালিকা শক্তি হিসাবে পরিগণিত হয়। এসকল ব্যবস্থার মধ্যে ছিল বাজেট প্রণয়ন ও আয়-ব্যয়ের হিসাব; বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ও অন্যান্য উৎস থেকে সংগৃহীত সম্পদের হিসাব প্রস্তুত; বিভিন্ন সংস্থা ও ব্যক্তিবর্গকে অর্থ প্রদানের দায়িত্ব পালন ও বিধিমালা প্রণয়ন; আর্থিক শৃঙ্খলা প্রবর্তন; রাজস্ব ও শুল্ক আদায়; আর্থিক অনিয়ম তদন্তের জন্য কমিটি গঠন ইত্যাদি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন গণতন্ত্রের অতন্দ্র সৈনিক। কৈশোর থেকেই তিনি মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারের পক্ষে ছিলেন সোচ্চার। ১৯৪৮ থেকে শুরু হয়ে বায়ান্নর রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন, চুয়ান্নর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, আটান্নর সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, বাষট্টির শিক্ষা-আন্দোলন, জাতির পিতার একান্তই নিজস্ব চিন্তার ফসল ছিষট্টির ছয় দফা, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ- প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন। বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনের শক্তির উৎস ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। গণতান্ত্রিক অধিকারের পক্ষে তিনি ছিলেন সর্বদা বজ্র কণ্ঠ। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের তাঁর ভাষণ গণতান্ত্রিক অধিকারের পক্ষে, স্বাধিকারের পক্ষে, স্বাধীনতার পক্ষে এক ঐতিহাসিক দলিল। ওই ভাষণ একটি জাতিকে জাগ্রত করেছে, একবিন্দুতে মিলিত করেছে। এমন ঘটনা বিশ্ব ইতিহাসে বিরল।
কিন্তু অতীব পরিতাপের বিষয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুননেছা মুজিব, শহীদ শেখ কামাল, শহীদ শেখ জামাল, শহীদ শিশু রাসেলসহ তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে হত্যা করার পরে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসকে বিকৃত করে উল্টোরথে পরিচালিত করেছে। বাংলাদেশের মানুষকে প্রতিনিয়ত বিভ্রান্ত করেছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে। রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে সংবিধান স্বীকৃত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে নানান ধরণের বিভ্রান্তিকর তথ্য পরিবেশন করেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ হতে স্বাধীন স্বার্বভৌম বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি তা অস্বীকার করা হয়েছে। জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের ১৭ মে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর থেকেই প্রানান্ত প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছেন স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাসকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য। দীর্ঘ পনের বছরের লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্টিত হয়ে মাত্র ৫ বছরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসকে স্বমহিমায় উদ্ভাসিত করেছেন। ২০০৯ সালে পুনরায় রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্টিত হয়ে সাময়িক ছেদ কাটিয়ে উঠে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে আরো প্রস্ফুটিত করেছেন, প্রজ্জ্বলিত করেছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুদীর্ঘ ২৪ বছরের লড়াই সংগ্রাম আর মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন স্বার্বভৌম বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস বর্তমান প্রজন্ম জানতে পারছে, অনুধাবন করতে পারছে। কিন্তু তার পরেও ইতিহাস বিকৃতির ঘৃণ্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে তাঁর পিতার মতোই উৎসর্গ করেছেন বাংলার দুখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাবার জন্য, বাংলার মানুষকে উন্নত জীবন দেয়ার জন্য। ১৯৮১ সাল থেকে যিনি তাঁর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত পরিশ্রম করে গেছেন স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাসকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য, জাতির পিতার যথাযথ সম্মান প্রদর্শনের জন্য। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় যখন জাতির পিতার হত্যাকারীদের বিচার হয়েছে, বিচারের রায় কায©কর হয়েছে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে, বিচারের রায় কায©কর হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস যখন আজ মাথা উঁচু করে স্বমহিমায় উদ্ভাসিত ঠিক সেই সময়ে স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতির প্রচেষ্টা কোনভাবেই কাম্য নয়। এপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়সহ প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বাধীন স্বার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস অধিকতর গুরুত্বসহকারে পাঠদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক বলে আমি মনে করি। তাহলেই সুবিধাবাদীদের প্রশ্রয়ে স্বাধীনতা বিরোধীদের মাধ্যমে স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতির প্রচেষ্টা বন্ধ হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা কতৃ©ক প্রতিষ্ঠিত স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস জনমনে চিরজাগরুক হয়ে থাকবে।
লেখক: অধ্যাপক, কৃষি অর্থনীতি বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর