4066
Published on সেপ্টেম্বর 9, 2020কোভিড-১৯ মহামারী পরিস্থিতি শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ ও সুরক্ষিত পরিবেশ নিশ্চিতে সম্মিলিত বৈশ্বিক পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার কাতারভিত্তিক এডুকেশন অ্যাবোভ অল ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘ইন্টারন্যাশনাল ডে টু প্রোটেক্ট এডুকেশন ফ্রোম অ্যাটাক’ শীর্ষক সেমিনারে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তিনি একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “কোভিড-১৯ মহামারী সংকট বিদ্যামান শিক্ষাব্যবস্থার দুর্বলতা তুলে ধরেছে। বাংলাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও আমরা অলস বসে নেই। আমরা শিক্ষার্থীদের জন্য টেলিভিশন ও অনলাইনে পাঠদানের ব্যবস্থা করেছি। শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান অব্যাহত রয়েছে। শিক্ষার্থীরা যেন শিক্ষায় মনোযোগী হতে পারে সেজন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।”
এই সংকটে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আসুন যে কোনো পরিস্থিতিতে শিক্ষা সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হই। আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা নিশ্চিতভাবে কাঙ্ক্ষিত ভবিষতের দিকে নিয়ে যাবে।”
কোভিড-১৯ মহামারীতে ক্ষতিগ্রস্ত দিকগুলোর মধ্যে শিক্ষা অন্যতম। এই ভাইরাসের প্রভাবে সারা বিশ্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বর্তমান সরকার শিক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয় উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিক্ষাকে একটি দেশের উন্নয়নের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তার চিন্তাকে অনুসরণ করে আমরা শিক্ষায় ব্যাপক বিনিয়োগ করছি।
“বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুসহ প্রত্যেক শিশুর শিক্ষার উন্নয়ন ও শিক্ষার নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতে নানা ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
২০১০ সাল থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের পর্যন্ত পাঠ্যবই বিতরণের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২০ সালের প্রথম দিন বিনামূল্যে ৩৫ কোটি ৩০ লাখের বেশি পাঠ্যবই বিতরণ করা হয়েছে। দুই কোটি ৩০ লাখের বেশি শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত কন্যা শিশুদের শিক্ষা অবৈতনিক করা হয়েছে।
২৬ হাজার ১৯৩টির বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ৬৮৫টি হাই স্কুলকে সরকারি করা হয়েছে। চার হাজার ৩৬১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে।
শিক্ষার উন্নয়নে নেওয়া অন্যান্য কর্মসচির কথাও তুলে ধরেন সরকার প্রধান।