2191
Published on সেপ্টেম্বর 8, 2020ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় এডিস মশার প্রজননস্থল শনাক্তকরণ, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও অবৈধ ক্যাবল অপসারণে ভ্রাম্যমান আদালতগুলোর অভিযান চলমান রয়েছে। মশার প্রজননস্থল শনাক্তকরণে আজ (৭ সেপ্টেম্বর) ১৬তম দিনে কর্পোরেশনের ৩টি ভ্রাম্যমাণ আদালত অঞ্চল-১,২ ও ৩ এ অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রেখেছেন। অঞ্চল-১ এর ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের রমনা এলাকায় করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মোহাম্মদ ফয়সালের নেতৃত্বাধীন আদালত ৩৮টি স্থাপনা পরিদর্শন করেন। এ সময় ৩টি স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ৩টি মামলা দায়ের করেন। অভিযানকালে তিনি ৩ মামলায় নগদ ১ লক্ষ ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
অঞ্চল-২ এর ১ নং ওয়ার্ডের মালিবাগের প্রভাতিবাগ এলাকায় কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নাজমুল আহসানের নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত ২৫টি স্থাপনা পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি ৯টি স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ৯টি মামলা দায়ের ও নগদ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
একই সময়ে অঞ্চল-৩ এর ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়ারী এলাকায় কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিতান কুমার মন্ডলের নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত ৪২টি স্থাপনা পরিদর্শন করেন। আদালত এ সময় ৩টি স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ৩টি মামলা দায়ের ও নগদ ১৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
এডিস মশার লার্ভা ও মশার প্রজননস্থল শনাক্তকরণে কর্পোরেশন পরিচালিত ৩ ভ্রাম্যমাণ আদালত আজ ১০৫টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ১৫টি মামলা দায়ের ও নগদ ১ লক্ষ ৮২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
এদিকে আজ (৭ সেপ্টেম্বর) ২০তম দিনে বাটা সিগনাল হতে হাতিরপুল কাঁচা বাজার, ধানমন্ডি ১৫ নম্বর রোড হতে আজিমপুর এবং ঢাকা মেডিকেলের সামনে হতে নগর ভবনের সামনের রাস্তার উভয় পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। ডিএসসিসি'র সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত আজ বাটা সিগনাল হতে হাতিরপুল কাঁচা বাজারের উভয় পাশে ফুটপাতের উপর গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা ও অবৈধ কাঁচা বাজারের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এ সময় রাস্তার দুই পাশে অবৈধ স্থাপনা ও অবৈধ কাঁচা বাজার উচ্ছেদ করে ফুটপাত দখলমুক্ত করা হয়। কর্পোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান একই সাথে বাটা সিগনাল হতে হাতিরপুল কাঁচা বাজার হয়ে ইস্টার্ন প্লাজা পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশের অবৈধ ক্যাবল অপসারণ করেন। তিনি এ সময় ৫টি ইলেকট্রিক পোল হতে সকল অবৈধ কেবল অপসারণ করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুজ্জামান এ সময় সিটি কর্পোরেশন (স্থানীয় সরকার) আইন, ২০০৯ এর ৭ ধারা মোতাবেক ৭টি মামলা দায়ের ও ৮ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন।
এছাড়াও ডিএসসিসি'র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ আজ ধানমন্ডির ১৫ নম্বর রোড হতে আজিমপুর পর্যন্ত, ঢাকা মেডিকেলের সামনে হতে নগর ভবনের সামনের রাস্তার উভয় পাশে উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইরফান উদ্দিন আহমেদ ধানমন্ডি ১৫ নম্বর স্টাফ কোয়ার্টার মসজিদের সামনে হতে ভ্রাম্যমাণ মাছ বাজার সরিয়ে দেন এবং অভিযানকালে উচ্ছেদকৃত ভ্রাম্যমাণ বাজারের নষ্ট মাছ তৎক্ষণাৎ নিলামের মাধ্যমে ৩ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। ইরফান উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত এ সময় পলাশী মোড় হতে আজিমপুর মোড় পর্যন্ত অবৈধ ক্যাবল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে তা অপসারণ করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইরফান উদ্দিন আহমেদ অভিযানকালে সিটি কর্পোরেশন (স্থানীয় সরকার) আইন, ২০০৯ এর ৭ ধারা এবং দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ২৬৯ ধারা মোতাবেক ৩টি মামলায় ১১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
কর্পোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান চলমান ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান প্রসঙ্গে বলেন, কর্পোরেশনের মেয়র মহোদয়ের নির্দেশনা মোতাবেক অবৈধ কেবল ও স্থাপনার বিরুদ্ধে আমাদের উচ্ছেদ কার্যক্রম চলমান থাকবে। একইসাথে এডিস মশার প্রজননস্থল চিহ্নিতকরণের বিরুদ্ধেও অভিযান অব্যাহত থাকবে।