3141
Published on জুন 24, 2020বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত অনলাইনে আওয়ামী লীগের তরুণ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে 'তারুণ্যের প্রত্যাশায় আওয়ামী লীগ' শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান ২২ জুন ২০২০ সোমবার রাত ৮টা ৩০টায় অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এই বিশেষ অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ এবং ইউটিউব চ্যানেলে অনুষ্ঠানটি সরাসরি প্রচারিত হয়। এছাড়া আরো বেশ কয়েকটি জাতীয় দৈনিক, অনলাইন নিউজ পোর্টালের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ এবং বিজয় টিভির পর্দায় সরাসরি প্রচারিত হয়।
এ অনলাইন আলোচনায় যুক্ত হয়েছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি ও শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল এবং কার্যনির্বাহী সদস্য মো. গোলাম কবীর রাব্বানী চিনু ও মারুফা আক্তার পপি। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার শাহ আলি ফরহাদ।
তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পরিকল্পনার ব্যাপারে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, আওয়ামী লীগ গঠিত হয়েছিল এদেশের মুক্তির লক্ষ্যে। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে তরুণদের ভূমিকা অনন্য। ইতিমধ্যে দেশের তরুণদের জন্য কর্মসংস্থান, উন্নত জীবনের ব্যবস্থা করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া জানান, ২০০৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের যে স্বপ্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেখেছিলেন তার সুফল পাচ্ছে দেশের তরুণরাই। তারুণ্যের শক্তি বাংলাদেশের সমৃদ্ধিকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিশ্বাস করেন বলেই প্রতিবারের মতো এবারের বাজেটের তরুণদের প্রাধান্য দিয়েছেন। তাদের কর্মসংস্থানের জন্য ২০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন।
তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ আলোচনার শুরুতে বলেন, বাংলাদেশের মুক্তির সংগ্রামের মূল চালিকা শক্তি ছিলো তারুন্য। তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকারের প্লান ২০২৩ সালের মধ্যে কর্মহীন জনগোষ্ঠী ১২ শতাংশে কমিয়ে আনা হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০২৩ সালের মধ্যে কৃষিখাতে ৩০% মানুষকে, শিল্পখাতে ২৫% এবং সর্বাধিক সার্ভিস ইন্ডাস্টিতে ৪৫% তরুন ও যুবকদের সম্পৃক্ত করার প্লান করেছে সরকার।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেন ৯০-র দশকে ছাত্ররাজনীতির যে আদর্শ ও নীতি ছিলো পরবর্তীতে সরকার ক্ষমতায় এসে ছাত্র রাজনীতির ধারা নষ্ট করে দেয়ায় তরুণ সমাজ কিছুটা রাজনীতি বিমুখ হয়েছে সত্যি তবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুরদর্শী নেতৃত্ব ও পদক্ষেপের কারণে তরুণ সমাজ উপকৃত হচ্ছে এবং তাদের জ্ঞান ও প্রজ্ঞা কাজে লাগিয়ে তারা আবারও রাজনীতিমুখী হচ্ছে।
বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বলেন, যে কমিটমেন্ট আওয়ামী লীগ করে তা রক্ষা করে বলেই যুগে যুগে আওয়ামী লীগ এগিয়েছে তরুণ নবীন প্রবীন সবাইকে সমন্বয় করে। তিনি আরো বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা একজন পরিবেশবাদী নেতা, তিনি যখন বলেছেন বুড়িগঙ্গা নদী দূষনমুক্ত করার জন্য হাজারিবাগের ট্যানারিকে সরিয়ে নিতে হবে। তিনি বলেই শেষ করেননি, কমিটমেন্ট করেছিলেন ব্যবসায়ীদের কাছে যে আলাদা জায়গা তিনি দিবেন। জায়গা নির্ধারন করে সব সুযোগ দিয়ে এরপর তিনি বলেছেন ট্যানারি এবার সব সরিয়ে নিতে হবে। মানুষের পাশে আমরা আওয়ামী লীগ বার বার দাঁড়িয়েছে।
আন্তর্জাতিক সম্পাদক ড. শাম্মি আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন দুরদর্শী নেতা, তিনি অনেক আগেই পররাষ্ট্র নীতি দিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, সবার সাথে বন্ধুন্ত্ব কারো সাথে বৈরিতা নয়। এই পররাষ্ট্র নীতি ফলো করে জননেত্রী শেখ হাসিনা কখনও কারো সাথে যুদ্ধ জড়াননি, বরং সঠিক পথ বেয়ে তিনি সমুদ্র বিজয় করেছেন ছিটমহল বিনিময় করেছেন।
কেন্দ্রীয় সদস্য গোলাম রাব্বানি চিনু বলেন, দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টির লক্ষে বিভিন্ন জেলায় কারগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছে, সেখান থেকে প্রশিক্ষিত তরুনরা দেশের বাইরে গিয়ে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। তিনি আরো বলেন, গত ১১ বছরে ২৮ লক্ষ যুবককে দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষন দিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার।
কেন্দ্রীয় আরও এক সদস্য মারুফা আক্তার পপি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও জননেত্রী শেখ হাসিনা সব সময় তারুন্যকে গুরুত্ব দিয়েছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা মনে করেন তারুন্যের মেধা ও শক্তি দিয়েই উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়া সম্ভব।