2123
Published on জুন 13, 2020২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে শিক্ষা খাতে ৬৬ হাজার ৪০১ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য এটি এ যাবতকালের সর্বোচ্চ বরাদ্দ। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষায় যেমন বরাদ্দ বেড়েছে তেমনই বরাদ্দ বেড়েছে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং মাদ্রাসা শিক্ষায়ও।
প্রতিবেদনে আরও জানা যায়, বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে গত মার্চের মাঝামাঝি থেকে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। এতে দেশের প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থীর নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ছুটিকালীর টেলিভিশন ও অনলাইনে দূরশিক্ষক কার্যক্রম চালু করা হয়। শিক্ষা খাতে আমাদের আগামী অর্থবছরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হবে এ দীর্ঘ ছুটির ক্ষতি পুষিয়ে নিয়ে পাঠ্যক্রমের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা। এ কাজের জন্য আগামী অর্থবছরে বাজেটে প্রয়োজনীয় জোগান রাখছি।
নতুন বাজেটে শিক্ষার তিন বিভাগ ও মন্ত্রণালয়ের জন্য ৬৬ হাজার ৪০১ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের বরাদ্দ ছিল ৬১ হাজার ১১৪ কোটি টাকা। ২০২০-২১ অর্থবছরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের জন্য ৩৩ হাজার ১১৭ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। চলতি বাজেটে বরাদ্দ ছিল ২৯ হাজার ৬২৪ কোটি টাকা।
নতুন অর্থবছরে মাধ্যমিক স্তরে পাঁচ লাখ ৫৭ হাজার ছাত্র, ১০ লাখ ৯৫ হাজার ছাত্রী, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে এক লাখ ১৬ হাজার ছাত্র, চার লাখ ৬২ হাজার ছাত্রী এবং ডিগ্রী স্তরে ৫০ হাজার ছাত্র ও এক লাখ ৫০ হাজার ছাত্রীকে উপবৃত্তি দেয়া হবে। পাবলিক পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে এক লাখ ৮৭ হাজার শিক্ষার্থীকে মেধাবৃত্তি দেয়া হবে।
কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের জন্য আট হাজার ৩৪৪ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে ছিল সাত হাজার ৪৫০ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত বাজেটে ৮৯৪ কোটি টাকা বেশি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। দেশে মানসম্পন্ন কারিগরি শিক্ষা বাস্তবায়নের উদ্যোগের কথা জানিয়ে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে মাথায় রেখে উপযুক্ত প্রযুক্তি ও উপযুক্ত স্কিলগুলোকে চিহ্নিত করা এবং সে অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের সঠিকভাবে প্রশিক্ষিত করে তুলতে আমরা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, সরকারী ও বেসরকারী কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত পাঠ্যক্রমের পাশাপাশি সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণ কোর্স বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ফলে প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষক প্রশিক্ষণ ও শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান কার্যক্রমের মাধ্যমে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রতি সাধারণ জনগোষ্ঠীর ক্রমবর্ধমান হারে আগ্রহ সৃষ্টি হচ্ছে।
মাদ্রাসা শিক্ষার কথা তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে মাদ্রাসাগুলোর একটা বড় অংশ নিয়মিত স্কুল-কলেজগুলোর তুলনায় অবকাঠামোর দিক থেকে অনেকটা পিছিয়ে। এ অবস্থার উত্তরণে দেশব্যাপী এক হাজার ৮০০টি মাদ্রাসার নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। বিদ্যমান ৬৫৩টি মাদ্রাসায় আধুনিক মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমে স্থাপন করা হবে।
অপরদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য ২৪ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। চলতি বাজেটে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য ২৪ হাজার ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল।
২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে শিক্ষা খাতে ৬৬ হাজার ৪০১ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য এটি এ যাবতকালের সর্বোচ্চ বরাদ্দ। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষায় যেমন বরাদ্দ বেড়েছে তেমনই বরাদ্দ বেড়েছে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং মাদ্রাসা শিক্ষায়ও। তবে নতুন বাজেটে বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নতুন এমপিওভুক্তির কোন সুখবর নেই। শুক্রবার (১২ জুন) জনকণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে আরও জানা যায়, বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে গত মার্চের মাঝামাঝি থেকে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। এতে দেশের প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থীর নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ছুটিকালীর টেলিভিশন ও অনলাইনে দূরশিক্ষক কার্যক্রম চালু করা হয়। শিক্ষা খাতে আমাদের আগামী অর্থবছরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হবে এ দীর্ঘ ছুটির ক্ষতি পুষিয়ে নিয়ে পাঠ্যক্রমের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা। এ কাজের জন্য আগামী অর্থবছরে বাজেটে প্রয়োজনীয় জোগান রাখছি।
নতুন বাজেটে শিক্ষার তিন বিভাগ ও মন্ত্রণালয়ের জন্য ৬৬ হাজার ৪০১ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের বরাদ্দ ছিল ৬১ হাজার ১১৪ কোটি টাকা। ২০২০-২১ অর্থবছরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের জন্য ৩৩ হাজার ১১৭ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। চলতি বাজেটে বরাদ্দ ছিল ২৯ হাজার ৬২৪ কোটি টাকা।
নতুন অর্থবছরে মাধ্যমিক স্তরে পাঁচ লাখ ৫৭ হাজার ছাত্র, ১০ লাখ ৯৫ হাজার ছাত্রী, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে এক লাখ ১৬ হাজার ছাত্র, চার লাখ ৬২ হাজার ছাত্রী এবং ডিগ্রী স্তরে ৫০ হাজার ছাত্র ও এক লাখ ৫০ হাজার ছাত্রীকে উপবৃত্তি দেয়া হবে। পাবলিক পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে এক লাখ ৮৭ হাজার শিক্ষার্থীকে মেধাবৃত্তি দেয়া হবে।
কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের জন্য আট হাজার ৩৪৪ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে ছিল সাত হাজার ৪৫০ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত বাজেটে ৮৯৪ কোটি টাকা বেশি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। দেশে মানসম্পন্ন কারিগরি শিক্ষা বাস্তবায়নের উদ্যোগের কথা জানিয়ে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে মাথায় রেখে উপযুক্ত প্রযুক্তি ও উপযুক্ত স্কিলগুলোকে চিহ্নিত করা এবং সে অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের সঠিকভাবে প্রশিক্ষিত করে তুলতে আমরা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, সরকারী ও বেসরকারী কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত পাঠ্যক্রমের পাশাপাশি সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণ কোর্স বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ফলে প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষক প্রশিক্ষণ ও শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান কার্যক্রমের মাধ্যমে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রতি সাধারণ জনগোষ্ঠীর ক্রমবর্ধমান হারে আগ্রহ সৃষ্টি হচ্ছে।
মাদ্রাসা শিক্ষার কথা তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে মাদ্রাসাগুলোর একটা বড় অংশ নিয়মিত স্কুল-কলেজগুলোর তুলনায় অবকাঠামোর দিক থেকে অনেকটা পিছিয়ে। এ অবস্থার উত্তরণে দেশব্যাপী এক হাজার ৮০০টি মাদ্রাসার নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। বিদ্যমান ৬৫৩টি মাদ্রাসায় আধুনিক মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমে স্থাপন করা হবে।
অপরদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য ২৪ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। চলতি বাজেটে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য ২৪ হাজার ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল।