1954
Published on জুন 4, 2020কুমিল্লার দেবিদ্বারে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া এক ব্যক্তির মরদেহ নিয়ে সদ্য বিধবা স্ত্রী ও সন্তানরা বসেছিলেন সারারাত। সহানুভূতি জানাতেও আসেনি কেউ। ১২ ঘণ্টা পর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার উদ্যোগে দাফন করা হয়। এমন অমানবিক ঘটনাটি ঘটেছে দেবিদ্বার উপজেলা বরকামতা ইউনিয়নের বাগুর গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (২ জুন) রাত ১০টার দিকে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যান বাগুর পশ্চিম পাড়ার আবুল হোসেন (৪৫)। তিনি কয়েক দিন ধরে জ্বর-ঠান্ডা ও কাশিসহ করোনা উপসর্গ নিয়ে ঘরে বসেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। তার মৃত্যুর সংবাদে আত্মীয়-স্বজন ও এলাকাবাসীর কেউ এগিয়ে আসেনি। মৃত্যুর পর সারারাত মরদেহ নিয়ে বসে থাকেন অসহায় স্ত্রী- সন্তানেরা। খবর পেয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা লিটন সরকারের উদ্যোগে মরদেহের গোসল, জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়।
এ ব্যাপারে লিটন সরকার জানান, একজন মানুষের মৃত্যুর পর মরদেহ দাফনে তার আত্মীয়-স্বজনরা এগিয়ে আসবে না-এটা খুবই দুঃখজনক। করোনা রেড জোন খ্যাত দেবিদ্বারে এ সমস্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই করোনায় মৃত ব্যক্তিদের দাফনে আমার নিজ উদ্যোগে সেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকর্মীদের নিয়ে ১০১ জনের একটি টিম গঠন করেছি এবং বিভিন্ন স্থানে করোনায় মৃতদের মরদেহ দাফনের কাজ করে যাচ্ছি। করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া আবুল হোসেনের পাশে তার স্ত্রী-সন্তানেরা ছাড়া কেউ ছিল না। খবর পেয়ে ১২ ঘণ্টা পর আমরা গিয়ে মরদেহ দাফন করি।