1095
Published on মে 27, 2020বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় গৃহিত স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম পর্যালোচনা এবং সমন্বয়ের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণ কর্তৃক চীন ও অন্যান্য দেশের সংশ্লিষ্ট কারিগরি নির্দেশনা অনুসরণ করে 'বাংলাদেশে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ এবং অর্থনৈতিক কর্মকান্ড ক্রমান্বয়ে চালু করার সুবিধার্থে বিভিন্ন স্থাপনা ও পেশার জন্য কারিগরি নির্দেশনা' প্রণয়ন করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
শিক্ষার্থী
১. স্বাভাবিক জীবনযাপনের নিয়ম মেনে চলতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম এবং পড়ালেখার পর পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়াটা জরুরী । বেশিক্ষণ বসে থাকা যাবেনা । রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাপনাকে সচল রাখতে ও নেতিবাচক মনোবৃত্তি দূর করতে দিনে সামান্য ব্যয়াম করা যেতে পারে।
২. পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ সুষম খাবার খেতে হবে। ফাস্টফুড এড়িয়ে চলতে হবে। ফলমুল খাওয়ার পূর্বে ভাল করে ধুয়ে খেতে হবে।
৩. সাধারণ স্বাস্থ্যবিধিগুলো যেমন বারবার হাত ধোয়া, হাঁচি-কাশির সময় কনুইয়ের ভাঁজ অথবা টিস্যু ব্যবহার করে নাক, মুখ ঢাকা ইত্যাদি অভ্যাসগুলো আয়ত্তে রাখার চেষ্টা করতে হবে। হাঁচি-কাশির পর ব্যবহৃত টিস্যু ঢাকনাযুক্ত ডাস্টবিনে ফেলে দিতে হবে।
৪. নিজের খাবারের জন্য ব্যবহৃত জিনিসপত্র, তোয়ালে ইত্যাদি অদলবদল করা যাবেনা।
৫. যথাসম্ভব ঘরে থাকার চেষ্টা করতে হবে। জনসমাগমপূর্ণ এলাকা, স্টুডেন্ট পার্টি ইত্যাদিতে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
৬. বাহিরে যাওয়ার সময় অবশ্যই সুরক্ষা সামগ্রী যেমন মাস্ক পরিধান করতে হবে। হাত পরিষ্কার রাখতে হবে সেক্ষেত্রে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে।
৭. বাড়িতে বসে অনলাইন ক্লাস করার সময় অবশ্যই চোখের খেয়াল রাখতে হবে। কম্পিউটার অথবা যেকোন ইলেকট্রনিক যন্ত্র ব্যবহারের সময় অবশ্যই তার পৃষ্ঠতল পরিষ্কার রাখতে হবে যাতে চোখের অসুবিধা না হয়।
৮. নিয়মিত শরীরের তাপমাত্রা এবং রক্তচাপ পরীক্ষা করতে হবে। সন্দেহপ্রবণ লক্ষণ যেমন জ্বর, কাশি দেখা দিলে বাড়ির সদস্যকে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষককে এ বিষয়ে অবগত করতে হবে এবং অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা শুরু করতে হবে।