1896
Published on মে 27, 2020
সারিবদ্ধভাবে বসানো হয় ৪০টি চুলা। আনা হয়েছে ৩০০ পাতিল। কেউ ব্যস্ত মসলা পিষতে, কেউ ব্যস্ত চাল ধুতে। কেউ ব্যস্ত মুরগীর মাংস কাটতে। আবার কেউ কেউ ব্যস্ত রান্না করা খাবার ট্রাকে তুলে বিভিন্ন গন্তব্যে গিয়ে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে। এই দৃশ্য নরসিংদী পৌরসভার বাসাইল এলাকার শাপলা চত্বর এলাকার।
সোমবার (২৫ মে) ঈদুল ফিতর উপলক্ষে পৌর মেয়র মো. কামরুজ্জামান কামরুলের উদ্যোগে পৌর এলাকার ২৫ হাজার মানুষকে খাওয়ানো হয়েছে মোরগ-পোলাও, ডিম, মিষ্টি ও ফিরনী। সঙ্গে দেওয়া হয়েছে একটি বোতলজাত পানিও।
এর আগে তিনি করোনা সংকটে মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত, অসহায়, দুস্থ, কর্মহীন শ্রমিকসহ নানা শ্রেণী পেশার ২০ হাজার পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন। পাশাপাশি পুরো রমজান মাসব্যাপী প্রতিদিন ৫ হাজার মানুষকে ইফতার করিয়েছেন। এছাড়া পৌরবাসীর মধ্যে ৫০ হাজার মাস্ক, ২৫ হাজার হ্যান্ড স্যানিটাইজার, জেলার চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তার জন্য ২ হাজার পার্সোনাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্ট (পিপিই) বিতরণ করেন।
পৌর মেয়র মো. কামরুজ্জামান কামরুল বলেন, আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আল্লাহ তায়ালার কাছে ও নরসিংদীবাসীর কাছে। নরসিংদী হচ্ছে শিল্পসমৃদ্ধ জেলা। বর্তমানে চলমান করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে এখানকার শিল্পকারখানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কর্মহীন হয়ে পড়েছে এখানকার বিভিন্ন পেশার শ্রমজীবীরা। এরমধ্যে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের সংখ্যাই বেশি। দীর্ঘদিন ধরে সারাদেশে চলমান লকডাউনে তাদের পরিবারে খাদ্য সংকট দেখা দেওয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মেনে আমার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে এসব কর্মসূচী গ্রহণ করেছি।
এই কাজটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কপিরাইটযুক্ত এবং অনুমোদিত। আপনি কেবলমাত্র আপনার ব্যক্তিগত, অবাণিজ্যিকব্যবহারের জন্য অথবা আপনার সংস্থার মধ্যে ব্যবহার করার জন্য এই উপাদানটিকে অনির্দিষ্ট ফর্মের মধ্যে ডাউনলোড, প্রদর্শন, মুদ্রণ এবং পুনরায় তৈরি করতে পারেন (এই বিজ্ঞপ্তিটি ধরে রেখে)।
